অন্তহীন আমাদের পথচলা,জীবনের বাঁকে-বাঁকে গতির পরিবর্তন। আর চাওয়া - পাওয়ার অসম সমীকরণ। এই নিয়েই আমাদের জীবন সময়টা ১৯৪৭ । এ ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি দেশ । পাকিস্তান নামক দেশের অতি শক্তিধর অথচ অবিবেচক ও অদূরদর্শী শাসকরা নবীন দেশটি পূর্নগঠন বাদ দিয়ে ভোগবিলাসিতায় মত্ত হয়ে ওঠেন।
পূর্বপাকিস্তান মানে এই বাংলা প্রদেশের পাটের পয়সায় তারা বিদেশ থেকে দামি দামি গাড়ি ও অন্যান্য বিলাস দ্রব্য আমদানি করতে থাকেন। এতে করে পাকিস্তান নামক দেশটির অর্থনৈতিক ভিত্তি দূর্বল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে ভারত সেইসময় থেকেই তার সীমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়েছে। তারা বিদেশের নিত্য নতুন মডেলের গাড়ি আমদানি করেনি। নিজদেশে তৈরী বেঢপ সাইজের এম্ব্যাস্যাডার গাড়িটাই তারা ব্যবহার করেছে।
বিদেশ থেকে দামি বিলাস দ্রব্য আমদানি করে ভোগ করার পরিবর্তে নিজেদের পণ্য ভোগ করেছে। এতে করে তাদের লাভ হয়েছে দুই ধরণের । এক ,তারা তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠিক রাখতে পেরেছে । দুই,ভারতের বিশাল বাজার ধরতে বিদেশী কোম্পানিগুলো ভারতে তাদের নিজস্ব পণ্যের কারখানা স্থাপন করেছে। এর ফলে ভারতের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আজ যে ভারতে টাটা,মারুতি,সুজুকি গাড়ি,ইন্টেল ও নকিয়ার মত প্রযুক্তিপণ্যের সমারোহ তা ভারতের দূরদর্শী নীতিনির্ধারকদের চিন্তার ফসল। তাদের কিছু সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে আজ ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ।
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালে। কিন্তু পাকিস্তান থেকে বের হয়ে যেতে পারলেও আমরা এর অর্থনৈতিক মেরুকরণ থেকে বের হতে পারিনি। যার ফলে আমাদেরকে চলতে হচ্ছে নাজুক অর্থনীতি নিয়ে।
পুনশ্চ :দেশি পণ্যের প্রতি আমাদের অনুরাগ জন্ম নিক। এই দেশেই তৈরি হোক ভাল ভাল পণ্য । আর বদল হোক আমাদের বিদেশমুখী মানসিকতার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।