আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ সরকারের নানা সহায়তার পরও গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে মাওলানা ফরিদউদ্দিন মাসউদের মহাসসমাবেশে কোনো সাড়া মেলেনি। সকাল ১১টায় শ’দেড়েক লোক নিয়ে শুরু হওয়া সমাবেশে বিকালে সর্বশেষ উপস্থিতি ছিল হাজার খানেক লোক। আওয়ামীপন্থী ও শাহবাগি আলেম হিসেবে পরিচিত মাওলানা মাসউদের এই সমাবেশে উল্লেখযোগ্য কোনো আলেম-ওলামা যোগ দেননি। বেশ কয়েকদিন ধরে ব্যাপক প্রচারণা আর নানা আয়োজন সত্ত্বেও সমাবেশ ফ্লপ হলেও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মতিঝিল ও আশপাশ এলাকা দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখায় জনদুর্ভোগ ছিল চরমে। রাষ্ট্রীয় শোকদিবস উপেক্ষা করে সমাবেশের নামে ব্যাপকসংখ্যক মাইকের বিকট আওয়াজে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
সমাবেশের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধসহ নানা বিদ্বেষ। এমনকি সমাবেশে লাখ লাখ ওলামা ও তৌহিদি জনতা জমায়েত হয়েছে বলে কয়েকবার মিথ্যাচার করেন মাওলানা মাসউদ। তিনিসহ অনেকে দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে কটাক্ষ এবং নাস্তিক মুরতাদদের উসকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া সমাবেশের কারণে পাশেই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আয়োজিত মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কুলখানি অনুষ্ঠান বিঘ্নিত হওয়ারও অভিযোগ ওঠে। সমাবেশের জন্য সারাদেশ থেকে লোক আনতে সরকারের কাছ থেকে ৪-৫ কোটি টাকাও নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশাল মঞ্চ আর সামনে ব্যাপক জায়গায় ত্রিপল বিছিয়ে সমাবেশের জায়গা প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু সকাল ১০টা থেকে ১০-১২ জন লোক মহাসমাবেশের মঞ্চ থেকে জামায়াতবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। ১১টা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও লোকজন উপস্থিত না হওয়ায় মাইকে ঘোষণা করা হয় যে সারাদেশ থেকে তাদের লোকজন বাসে করে ঢাকায় আসছেন। তারা এসে পৌঁছলে জোহরের নামাজের পর মূল সমাবেশ শুরু হবে। ততক্ষণে মাইকে ইসলামি গান আর স্লোগান চলতে থাকে।
তবে জোহরের নামাজের পর দুপুর আড়াইটায় যখন মূল বক্তব্য পর্ব শুরু হয় তখনও মঞ্চের সামনে শ’দেড়েক লোক উপস্থিত ছিল। এমনকি ৩টা ৫০ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য শুরুর সময়ও এ সংখ্যা দাঁড়ায় শ’পাঁচেক। আর শেষ পর্যায়ে এসে উপস্থিতি ছিল হাজার খানেক। এদের মধ্যে অনেকে ছিল ফরিদউদ্দিনের নিজের ও তার অনুসারী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক। তাছাড়া উত্সুক কিছু লোক সেখানে এসে জড়ো হয়।
(সুত্র: দৈনিক আমারদেশ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।