আগের পর্ব-
Click This Link
গেনটিং হাইল্যাণ্ডে দেড় প্রহর
কুয়ালা লামপুরের নিকটবর্তী ট্যূরিস্ট স্পটের মধ্যে শীর্ষ নাম গেনটিং হাইল্যাণ্ড। গাড়ীতে গেলে কারাক হাইওয়ে দিয়ে ঘন্টাখানেক লাগে। আমরা গেছি বাস পারসিয়ারানে। কেএল সেন্ট্রাল থেকে ট্রেনে এবং শেষে বাসে যাওয়া যায়। বাসে যেতে পারবেন।
কুয়ালা লামপুরে অনেক জায়গা থেকে বাস ছাড়ে সকাল আটটা থেকে ( দুয়েক জায়গায় সাতটাতে বাস পাবেন)। পুডুরায়া, কেএল সেন্ট্রাল, গোমবাক, হানতুয়া প্রভৃতি জায়গা থেকে বাস ছাড়ে। পকেট গরম থাকলে হেলিকপ্টারও ভাড়া করতে পারেবেন।
বাতু কেভস থেকে বের হয়ে যতোই গেনটিংয়ের দিকে যাচ্ছিলো মাইক্রো ততোই রোমাঞ্চিত বোধ করছিলাম। কারণ গতবার গেনটিং সুন্দরীর সাহচর্য পাইনি।
গ্যানটিংয়ের পথে
ধীরে ধীরে পাহাড়ের দিকে ঊঠছিলো আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখ ভাসিয়ে দিচ্ছিলো। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ফুট উঁচু এই গেনটিং হাইল্যাণ্ড। আক্ষরিক অর্থেই মেঘের দেশে চলে গেলাম। আমাদের নেয়া হলো কেবল কার স্টেশনে।
৩.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ্ রোপ ওয়ে এ অঞ্চলের মধ্যে দীর্ঘতম এবং সব চেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন। আর যে পরিমান খাড়া উঠেছে ভয়ে জান উড়ে যাবার দশা। অনেক নীচে ঘন জঙ্গল। ছিঁড়ে পড়লে লাশ খুঁজে পাবার আগে বাঘেরা লাঞ্চ সেরে নেবেন।
কেবল কার কেবল উঠতেই থাকে !
প্যাকেজের সাথে টিকিটের দাম ৫ রিঙিত নেয়া ছিলো।
গাইড বললেন আরো ১০ রিঙিত দিলে ১৫ রিঙিত দামের এক্সপ্রেস টিকিট মিলবে। ফলে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ঘন্টাখানেক বেশী অপেক্ষা করতে হবে না। অপেক্ষা এড়াবার জন্য ১০ রিঙিত বের করে দিলাম। এক্সপ্রেস গতিতেই চড়ে বসলাম কেবল কারে।
আমাদের কপালে জুটলো এরকম একটা
প্রথমে ভালোই লাগছিলো।
পিঠাপিঠি সিটে ৪ জন করে আট জন উঠলাম। আমার পাশে বসলো এক চীনা জুটি। রঙের মেলা বসিয়ে দিলো কেবল কারের ভেতর। মেঘের দেশে ঢুকে পড়ার পর আমার মুখ ভয়ে সাদা। আর চীনা সুন্দরীর মুখ লাল !
মেঘের কোলে রোদ হাসে না
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।