আগের পর্ব -
Click This Link
ব্লগার সত্যচারীর সাথে রাতের পুত্রাজায়ায়
আগের দিন আয়োজকদের আয়োজনে গেনটিং হাইল্যাণ্ডের মায়াবী ভূবনে ঘুরে এলাম। রঙের মেলায় রঙের ছোপ বাড়িয়ে তোলে চকচকে ক্যাসিনো। এক টুকরা লাস ভেগাস বসে আছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ফুট উঁচুতে ! আমরা দুর্বল টাকাই ডলার নিয়ে ওপথ মাড়ালাম না। তেলতেলে আর গরম পেট্রো ডলারওয়ালাদের ওপর ছেড়ে দিলাম ক্যাসিনোর ভার। মালয়ী গাইড বললেন এটা এ অঞ্চলের সব চেয়ে বড়ো ক্যাসিনো।
পর দিন নিজ দায়িত্বে পুত্রাজায়া যাবার পালা। ছোট বাসে ১১ জনের বেশী বসা কঠিন। আবার ১৩ জনের জন্য বড়ো বাস নিলে ভাড়ায় পোষাবে না। আমি এর আগের বার ৩ দফা (সকাল, দুপুর আর বিকেলে) পুত্রাজায়া গেছি বলে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলাম। যাওয়া আসা আর অপেক্ষার জন্য মিলে জনপ্রতি ৫৫ রিঙিতে ( প্রায় ২০ ডলার ) রফা হলো।
সবাই বের হলেন পুত্রাজায়ার পথে। আমি মাইডিন আর হানিফার পথে।
আগের দিন ব্লগার সত্যচারীর সাথে ফোনে কথা হলো। তিনি সন্ধ্যায় আমাকে নিয়ে যাবেন রাতের রঙিন আলোয় ঝলমলে পুত্রাজায়ায়।
রাতের পুত্রাজায়ায় ঢোকার পথে
ট্রাফিক কনজেশন পেরিয়ে সত্যচারী এলেন রাত প্রায় সাড়ে আটটায় ! নিজেই গাড়ী ড্রাইভ করছেন।
পাশে বসেছেন ভাবী সাহেবা ( সত্যচারিণী ? হা হা হা ! )। আরো ছিলেন তার বন্ধু প্রবাসী দেশী লোক মাহবুব সাহেব। আমি আর মাহবুব সাহেব বসলাম পেছনে।
দূর থেকেই দেখা যাচ্ছিলো পুত্রাজায়ার রঙিন চেহারা ! নানা রঙের আলোতে স্বপ্নিল লাগছিলো সুন্দর শহরটিকে। পুত্রা মসজিদের কাছে গিয়ে নামলাম।
দেখলাম আরো অনেকেই সপরিবারে এসেছেন ঘুরতে। রাত তখন পৌনে দশটা। ছোট ছোট বাচ্চারা ছুটাছুটি করছিলো খোলা মাঠে। সম্পূর্ন অন্য এক সৌন্দর্যে জ্বলজ্বল করছিলো পুত্রা মসজিদ।
টুংকৃ মিজান জয়নুল আবেদীন মসজিদ ( লোহার মসজিদ) ভবনটিকে দিনের বেলায় দারুন চকচকে লাগে স্টেইনলেস স্টিলের রূপালী ঝলকের সাথে সূর্যালোকের খেলায়।
রাতের বেলায় সেই সৌন্দর্যে লাগে ভিন্ন ছাপ।
তবে সব চেয়ে চমকে দিয়েছে ব্রীজ সুন্দরী। একটু সময় পরপর রঙের লহরী তুলে রঙ বদলায় সে। অনেক সময় দাঁড়িয়ে বিমুগ্ধ চোখে দেখলাম রঙ বদলের খেলা।
(চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।