আগের পর্ব-
Click This Link
মাঝ রাতের খাবার
পুত্রাজায়া থেকে ফিরতে ফিরতে প্রায় মাঝ রাত হয়ে গেলো। বুকিত বিনতাং ফিরে ব্লগার সত্যচারী ও সত্যচারিনীসহ আমরা খাবারের সন্ধানে চললাম। ভীষণ ভীড়। গাড়ী রাখার জায়গা নেই। অনেক খুঁজে একটা গলি মিললো।
গাড়ী সাইড করতে গেলেই এক পাকিস্তানী সিকিউরিটি গার্ড এগিয়ে এলো। বললো গাড়ী রাখলে চার্জ দিতে হবে ১৫ রিঙিত ( প্রায় সাড়ে ৫ ডলার)। অগত্যা রনে ভঙ্গ দিয়ে অন্যত্র ছুটলাম। ঘুরে ঘুরে পেলাম একটা বেসরকারী পার্কিং। সেটা চালাচ্ছে আমাদের দেশীরা।
সেখানে চার্জ ৬ রিঙিত। অনেক চেষ্টায় সেটা ৫ রিঙিতে সুরাহা হলো। আমরা বাংলাদেশী হলেও খুব বেশী খাতির মিললো না দেশী প্রবাসীদের কাছে। কুয়ালা লামপুরে বিপুল গাড়ীর কারণে পাকিং একটা বড়ো সমস্যা। রিঙিত গুনে দিয়ে পার্কিং করতে হয়।
বেশীর ভাগ রাস্তা ওয়ান ওয়ে বলে কোন রাস্তা ভুল করে মিস করলে অনেক ঘুরে আসতে হয়। ট্রাফিক কনজেশন তো আছেই। বিশেষত: রাতে।
তাই পাকিস্তানী এক রেস্তোরাঁয় বসতে বসতে মাঝ রাত হয়ে গেলো। তাই রাতের খাবার হয়ে গেলো মাঝ রাতের খাবার।
তবে গরম গরম গোস্ত, রুটি, কাচ্চি বিরানী ইত্যাদি মিলে খাবারটা জমপেশই হলো। খাবার পর পরই নোয়াখালী স্টাইলে বিদায় নিলাম। ( জেনুইন নোয়াখাইল্যা বলে কথা ! সদয় জ্ঞাতার্থে জানাতে হয়, সত্যচারীও নোয়াখাইল্যা। তবে সত্যচারিনী তা নন। )
ড.এলেন মারে
আমাদের পরের সপ্তাহের রিসোর্স পারসন ড. এলেন মারে।
ইনিও ডেভিডের মতো আইরিশ কানাডিয়ান। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। পরে পিএইচডি করেছেন পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা করেছেন ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে গত বছর যোগ দেবার আগে ৫ বছর কানাডার জাতীয় জ্বালানী বের্ডের সদস্য ছিলেন।
এখান থেকে ফিরে আবার যোগ দেবেন ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ওপর তাঁর লেখা বই আছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা রেফারেন্স বই হিসাবে তালিকাভুক্ত আছে।
মধ্যাহ্ণভোজে আমাদের সাথে ড.এলেন মারে
ইনি গভীর পাণ্ডিত্যের অধিকারী। তবে ডেভিডের মতো খুব দ্রুত সবার মন জয় করতে পারেননি।
তার ক্লাসও আমাদের ভালো লেগেছে। শেষ পর্যন্ত ড. মারেও আমাদের মন জয় করলেন। কিন্তু ডেভিডের মতো করে নয়।
টুইন টাওয়ারে আরেকবার
আয়োজকদের উদ্যোগে টুইন টাওয়ারে গেলাম। সাথে ছিলেন ড. মারে।
আমার জন্য সেটা দ্বিতীয় দফায় স্কাই ব্রীজে আরোহন। বিকেলের সোনারোদে ভালোই লাগছিলো টুইনটাওয়ার। দল বেঁধে আর ছোট ছোট দলে কিংবা একা দোকা ছবি তোলা হলো অনেক। এক সময় ডাক পড়লো। ঝড়ো বেগের লিফটে চড়ে ৪১ সেকেণ্ডে নেমে এলাম ৪১ তলা থেকে।
উঠতেও লেগেছিলো ৪১ সেকেণ্ড।
স্কাই ব্রীজে দল বেঁধে
ব্রীজ থেকে নেমে এক দল ঢুকলো কেএলসিসি শপিং মলে। আরেক দল হানিফা মাইডনের পথ ধরলো। আমার প্রিয় হানিফা। তাই ওই দলে মিশে গেলাম।
(চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।