যারা অন্যের সাথে প্রতারণা করে তারা প্রথমে নীজের সাথে প্রতারণা করে,কিন্তু নির্বোধ বলে তারা তা বুঝে না। আর প্রতরণার মধ্য দিয়ে প্রতারক মানুষরুপী শয়তান ও প্রেতে পরিনত হয়। কিন্তু অজ্ঞনতার ধরুন বিবেক তাদের ধ্বংশন করে না। ফলস্বরুপ,তারা পাপাচারে সুখ ভোগ করে। মনে হচ্ছে সেদিন ডুবাই আসলাম।
দেখতে,দেখতে একযোগ পাড় হতে চলেছে। এই চোখের সামনে অনেক সহচর বন্ধুদের পদোন্নতি হল। সেই সহচর পদোন্নীত স্যারদের আমি এখন চা বানিয়ে দেই। তারা যা আদেশ করেন আমাকে,আমি তাই পালন করি,করছি। ওদের কথা ভাবতেই আমার খুব হিংসা হয়।
বিশেষ করে আমি যখন ওদের সম্মুখীন হই,তখন সেই হিংসার আগুনে আমি পুড়ি,খুব পুড়ি,পুড়ছি। এখন আমার মন পোড়ার গন্ধে ঘুম আসেনা,চিন্তা হয়,খুব চিন্তা হয়। আর গভীরভাবে চিন্তা করে পাই,আমার বাবাই এর জন্য দায়ী। ছোট বেলায় বাবা শিখাতেন,ছোটদের সাথেও আপনি সম্বোধন করে কথা বলবা। বড়দেরকে সম্মান,শ্রদ্ধা,ভক্তি সহ আপনি সম্বোধন করে কথা বলবা।
কেউ যেন বলতে না পাড়ে গুনটিয়ার ইয়াদ আলী মিয়ার ছেলে বেয়াদব। তাছাড়া জীবকে ভালবাসার মধ্যদিয়ে আল্লাহকে ভালবাসা হয়। আর তুমি আল্লাহকে জানতে চায়লে স্বামী বিবেকানন্দের এই বাক্যটি স্বরন রেখ,ঈশ্বর নয় মানুষ,মানুষের মধ্যেই ঘটবে ঈশ্বরের পূর্ন প্রকাশ। আমি স্বামী বিবেকানন্দের বাক্যটি অন্তরে ধরে, বাবার কথা অক্ষরে,অক্ষরে পালন করেছি,করছি,করব। আমার কর্মস্হানে আজ যে যোগ দেয় তার সাথেও আপনি সম্বোধন করে কথা বলি।
কোন জীব দুঃখ পাবে সে আচরন আমার মধ্যে বিদ্ব নাই। কারন আল্লাহ দুঃখ পাবে সেই ভয়ে। কিন্তু আমি জানলাম, প্রবাস জীবনে আল্লাহর জন্য দুঃখ সৃষ্টি ব্যাতীত কেউ পদোন্নতী বা উন্নতি করতে পাড়ে না। বড় আফসোস হয় বাবার প্রতি। আমার বাবা যদি ফেরাস্তার মত না হয়ে শয়তানের মত হতেন।
তাহলে আমার পদোন্নতী হত। শয়তানের স্বভাব,চরিত্র দ্বারা আমি মানুষের ক্ষতি করে,মানুষের রিজিক ধ্বংস করে,দুর্নীতিবাজদের তেল মালিশ করে,আল্লাহর জন্য দুঃখ সৃষ্টি করে হিংসার নরক থেকে মুক্ত থাকতাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।