বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় এবং হেফাজতে ইসলামীর সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা দমনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করলেও সরকার এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
‘ব্লাড অন স্ট্রিট: দি ইউজ অব এক্সেসিভ ফোর্স ডিউরিং বাংলাদেশ প্রোটেস্ট’ শিরোনামে ৪৮ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত শক্তিপ্রয়োগ বন্ধে সরকারের এখনই ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। সেই সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করে শিশুসহ শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ঘটনার তদন্ত এবং বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িতে যে কোনো ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।”
সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখার জন্য জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূতকে (রেপোটিয়ার) বাংলাদেশ আসার সুযোগ দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।
সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে অস্ত্র ও বলপ্রয়োগে জাতিসংঘের নীতিমালা অনুসরণ করে- তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
সরকারের পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও বিবেচনাবোধের পরিচয় দিতে বলেছে এইচরাডব্লিউ।
এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, “বিরোধী দলে থাকা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং হেফাজতের মতো সংগঠনগুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে তাদের কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা ভিন্নমতের কারো ওপর হামলা বা বেআইনি কর্মকাণ্ডে না জড়ায়।”
এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, “এর সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি জড়িত। সব দায়িত্বশীল নেতারেই উচিৎ কর্মীদের শান্ত রাখার চেষ্টা করা এবং সহিংসতার পথ পরিহার করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।