মানুষ আসলে নষ্ট হতে চায় কিন্তু সারা জীবন ভালো থাকার অভিনয় করে মানবজমিন ডেস্ক: ভাইয়ের ছেলেকে হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে কুয়েতের যুবরাজ শেখ ফয়সাল আল আবদুল্লাহ আল সাবাহকে। কুয়েতের অনলাইন নিউজ পোর্টাল আল আন জানিয়েছে, ভাইয়ের ছেলে শেখ বাসিল সালেম সাবাহ আল সালেম আল সাবাহকে হত্যার অপরাধে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে। কুয়েতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কুয়েতের সেনাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত শেখ ফয়সাল ২০১০ সালের জুন মাসে শেখ বাসিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মাসিলান প্রাসাদে গিয়েছিলেন। অন্যান্যদের সঙ্গে দুই যুবরাজও প্রাসাদের একটি কক্ষে বসেছিলেন। একপর্যায়ে অভিযুক্ত শেখ ফয়সাল তার ভাইয়ের ছেলে শেখ বাসিলকে একান্তে কথা বলার জন্য পাশের কক্ষে ডেকে নিয়ে যান।
এর কয়েক সেকেন্ড পরেই গুলির শব্দ পাওয়া গিয়েছিল। এরপর লোকজন পাশের কক্ষে গিয়ে শেখ বাসিলকে আহত অবস্থায় দেখে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বাসিলকে মৃত ঘোষণা করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কাছ থেকে শেখ বাসিলকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি গুলি করা হয়েছিল। পুলিশ হত্যার সন্দেহে শেখ ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে।
এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। ৫২ বছর বয়সী শেখ বাসিল ছিলেন কুয়েতের দ্বাদশ আমীর শেখ সাবাহ আল সালেম আল সাবাহর নাতি। তিনি ১৯৬৫ সালের ২৪শে নভেম্বর থেকে ১৯৭৭ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়েতের ক্ষমতায় ছিলেন। বাসিলের বাবা শেখ সালেম সাবাহ আল সালেম আল সাবাহ ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ভেনিজুয়েলায় কুয়েতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর তিনি ২০০১ সাল পর্যন্ত কুয়েতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
শেখ বাসিল কুয়েত সরকারের কোন পদের দায়িত্বে ছিলেন না। তাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলে কুয়েতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।