লেখা দেখুন; লেখককে নয় । চলমান বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি ও ৫৫ শতাংশ কোটা ব্যবস্থার সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কিছু বলার নাই। পুলিশের ও ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের সাথে সাধারণ ছাত্রদের সঙ্ঘর্ষ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ ও গ্রেপ্তার করা নিয়েও কিছু বলবো না। ফেবু,ব্লগ ও অনলাইন পত্রিকা (নট প্রথম আলু ) এর সৌজন্যে সবাই মোটামুটি কাহিনি জানে ( যদিও হাইব্রিডদের অনেকেই জানে না। গতকাল তিনজন NSU এর ছাত্রের সাথে কথা হইল।
দুইজন কিছুই জানে না, একজন কিছুটা শুনসে কিন্তু তার ধারনা এতা নাস্তিক শাহবাগীদের সাথে কোনও গণ্ডগোল । এর মধ্যে একজন আবার আমার ভাগ্নে! কই যাই?) । কে কারে ফকিন্নির পুত ডাকসে, এইটা নিয়াও মাথা ব্যথা নাই। কেউ ডাইকা মজা পাইলে পাক, অসুবিধা কি?
কালকে সকল পাবলিক ভার্সিটিতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। খুব ভাল।
কিন্তু কথা হইলো, এই ধর্মঘট কোনও বিশেষ দল ডাকে নাই। শুধুমাত্র সাধারন ছাত্রদের জন্য, সাধারণ ছাত্রদের ডাকা। উপরন্তু সরকারদলীয় ছাত্রসংঘটন ছাত্রলীগের এটাতে প্রত্যক্ষ বিরোধিতা আছে। তাই অনেকেই হয়তো ক্লাসে না চাইলেও যেতে বাধ্য হবে।
সকলের কাছে অনুরোধ একদিনের জন্য হইলেও ক্লাসে যাইস না/যেও না/ যাবেন না।
বাকি জীবন বহুত ক্লাস করতে পারা যাবে, একদিন না গেলে এমন কিছু হবে না।
অনেকেই হয়তো ভাবছে আমি না গেলেও অন্যেরা তো ঠিকই যাবে; ৫ জন গেলেও স্যার ক্লাস নিবে,তখন তো আমার অ্যাটেনড্যান্স মিস; দেখি অন্যেরা কি করে ইত্যাদি ইত্যাদি ...। অন্যের চিন্তা পড়ে; আগে নিজে। " আমি নিজে ক্লাস করব না,অন্যে করলে করুক" এই ধারনা থাকা উচিত। এতে অন্তত নিজের বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকা যাবে।
সমস্যা হইলো আমরা বড় বেশি অন্যের মুখাপেক্ষি। অন্যে কি করে সেইটা দেখে গড্ডালিকায় গা ভাসাই । আমরা বলতে সবাই, ১-২ জন না; ৯৯% ই এরকম(আমি নিজেও) । কিন্তু কথা হইলো এখন যদি প্রতিবাদ না করি তাহলে আর কখনো করতে পারব না। সবকিছু সহ্য করতে করতে এখন মেরুদণ্ডই ব্যাকা হয়ে গেছে, কিছুতেই সোজা হয় না।
দেখা যাক, কালকে একটু সোজা করতে পারা যায় কি না । সবশেষে একটাই কথা ঃ
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার শ্রেষ্ঠ সময় তার। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।