জগ কোন আন্দোলনকে বিতর্কিত করার একটি সহজ ও পুরোনো কৌশল হলো সেই আন্দোলনকারীদের সম্পর্কে এমন কিছু কথা প্রচার করা যা শুনে সাধারণ মানুষরা সেই আন্দোলনকারীদেরকে ঘৃণা করতে শুরু করবে। এই কৌশল সৃষ্টির শুরু থেকে পৃথিবীর সর্বত্র অনুসৃত হয়ে আসছে। আসুন দেখা যাক বাংলাদেশের শাহবাগপন্থীরা এই কৌশলটিকে কীভাবে প্রয়োগ করছে।
সিদ্ধান্ত: বৈষম্যমূলক কোটা প্রথার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলনকে দমাতে হবে।
...
কর্মসূচি-১: প্রচার করো কোটাবিরোধীরা "মুক্তিযোদ্ধার দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে" এই ধরনের স্লোগান দিয়েছে।
সুতরাং এই আন্দোলন আসলে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন।
কর্মসূচি-২: মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের খবর দাও, জামায়াত শিবিরকে দমাতে সবাই যেন যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শাহবাগ চলে আসে।
কর্মসূচি-৩: এবার ছাত্রলীগকে মাঠে নামাও। আন্দোলনকারীদেরকে লাঠিপেটা করো।
কর্মসূচি-৪: পুলিশকে পাঠাও টিযার শেল, রাবার বুলেট, মরিচের গুড়া নিয়ে ওদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য।
কর্মসূচি-৫: ওদের গ্রেফতার করো, মামলা দাও।
কর্মসূচি-৬: পুলিশের টেয়ার শেল থেকে বাঁচতে কোটাবিরোধীদের লাগানো আগুনের দৃশ্য মিডিয়ার মাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার করো। সবাইকে বুঝাও এরা আসলের কোটার বিরুদ্ধে নয়, সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য এই সন্ত্রাসী কাজে নেমেছে।
কর্মসূচি-৭: অমি পিয়াল, আরিফ জেবতিকসহ শাহবাগী ফেইসবুকারদেরকে ফেইসবুকে নামাও কোটাবিরোধীদের নিয়ে বিষোদগার করার জন্য।
কর্মসূচি-৮: শাহবাগী পেজগুলো থেকে প্রচার করো কোটা উঠে গেলে মুক্তিযোদ্ধারা না খেয়ে মরবে।
তো এই হলো শাহবাগীদের কৌশল। এই খবিশগুলো মনে করেছে আন্দোলনে নামা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে এভাবেই দমিয়ে দেবে তারা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বল প্রয়োগ ও বিষোদগার করে কোন আন্দোলনকে যে দমানো যায় না বরং এর বহুগুণ মাশুল দিতে হয়, হেফাজতে ইসলামের উপর ক্র্যাক-ডাউনের ফলাফল দেখেও তা উপলব্ধি করতে পারছে না তারা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।