আমি খুব ভীতু মনের এক মানুষ। মনুষের সাহস দেখলেই আশ্চর্য হই। চারপাশে বড়সড় কোন ঘটনার আভাস পেলেই ভয়ে লুকিয়ে পড়ি সবার আড়ালে। আর তখনই লুকানো অনেক কিছুই দেখতে পাই স্পষ্ট। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতের কাহিনীটা সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করাটাই আমার একমাত্র দু:সাহস।
ঢাকা শহরের যানজট নিয়ে জার্মানির এক গবেষণা সংস্থা সাম্প্রতিক সময়ে একটা জরিপ প্রকাশ করেছে । জরিপে উঠে এসেছে এক আজব তথ্য।
যানজটের অন্যতম কারণ প্রাইভেট কার এটা আমরা সবাই জানি। আজব তথ্যটা হচ্ছে এই প্রাইভেট কার ঢাকা শহরের মোট রাস্তার প্রায় ৭০ শতাংশ জায়গা দখল করে রাখে। আর এর থেকেও ভয়ংকর খবর হল এখানকার মোট অধিবাসির মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ প্রাইভেট কার ব্যাবহার করে।
বিষয়টা অন্যভাবে বললে , মাত্র ৪ শতাংশ মানুষের জন্য ৭০ শতাংশ রাস্তা বরাদ্দ রেখেছি আমরা। আর বাকি ৩০ শতাংশ রাস্তা হাসিমুখে ঠেসেঠুসে ব্যবহার করি শতকরা প্রায় ৯৬ জন ।
কি ? বিষয়টা খুব অমানবিক মনে হচ্ছে না?
এটা যদি অমানবিক মনে হয় তাহলে আরেকট তথ্য বলি শুনুন। প্রথিবীতে একটা গণতান্ত্রিক দেশ আছে যে দেশে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে বড় যে চাকরির ব্যবস্থা করে , সেখানে অর্ধেকেরও বেশি আসন থাকে সংরক্ষিত। মাত্র ৭ শতাংশ মানুষের জন্য অন্যায়ভাবে ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষন করে রাখে রাষ্ট্র নিজেই।
সহজ কথায় বললে ১০০ টি আসনের মধ্যে ৫৫ টা আসনই থাকে সংরক্ষিত। তার মানে যদি ১০০ জন নিয়োগ পায় তাহলে ৫৬ তম ব্যাক্তির নিয়োগ না হয়ে ১০০০ তম ব্যাক্তি নিয়োগ পেতে পারে।
এর একটা জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে ২০০৬ সালে ২৫ তম বিসিএস এ মেধা তালিকায় নিয়োগ পায় প্রথম থেকে ২২৮ জন। রাষ্ট্র কর্তৃক জারিকৃত অদ্ভুত কোটা ব্যবস্থার কল্যাণে ২২৯ তম জন নিয়োগ না পেয়ে ১৬১১ তম জন পেয়েছিলেন পররাস্ট্র ক্যাডারে, ৫১০৪ তম জন পেয়েছিলেন প্রশাসন এমনকি ৫৩৭৭ তম জনও পেয়েছিলেন পুলিশ ক্যাডার।
এই অদ্ভুত দেশটির নাম হল বাংলাদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।