যাকে মৃত বলা হয়েছিল সে চাঁদপুরের একটি মাদ্রাসায় ক্লাস করছে
৫ মে হেফাজত-জামায়াতের ভয়াবহ তা-রের পর রাতে অবস্থান সরাতে চালানো অভিযান নিয়ে দেশে-বিদেশে দফায় দফায় হত্যার কাল্পনিক তথ্য ছড়িয়ে এবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে মানবাধিকার সংগঠনের নামে সক্রিয় গ্রুপ ‘অধিকার’। দিনের পর দিন সংগঠনটি রীতিমতো হেফাজত-জামায়াতের ভাষায় ৬২ জনকে হত্যা ও কয়েক শ’ নিখোঁজের জন্য সরকারকে দায়ী করে রিপোর্ট প্রকাশ করে চললেও এখন সেই তথ্য স্পষ্ট করতে পারছে না। মানবাধিকারের ধোয়া তুলে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতসহ উগ্রবাদীদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের সুযোগ করে দিয়ে অধিকার এখন তাদের আবিষ্কৃত ‘নিহতদের নাম, পিতার নাম, গ্রামের বাড়িসহ ঠিকানার তথ্য দিতে ব্যর্থ। তথ্য মন্ত্রণালয় নিহতদের পরিচয় চাইলেও চলছে লুকোচুরি। এদিকে কেবল অধিকার নয়, মাদ্রাসার গরিব ছাত্রদের পুুঁজি করে ফায়দা লুটতে তিন হাজার নিহত ও কয়েক হাজার নিখোঁজের দাবি করে চুপসে গেছে বিএনপি জামায়াতের স্নেহধন্য হেফাজত।
দুই মাসেও হেফাজত তিন হাজার তো দূরের কথা নিহতের কোন তালিকাই প্রকাশ করতে পারেনি।
রাজধানীর শাপলা চত্বর অভিযানে নিজেদের তিন হাজার নেতাকর্মী নিহত ও হাজার হাজার নিখোঁজ হয়েছে বলে দাবি করেছিল হেফাজতে ইসলাম। ঘোষণা দেয়া হয়েছিল মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় অনুসন্ধান চালিয়ে এসব নিখোঁজের তালিকা করা হবে। তদন্ত কমিটি গঠন করে হেফাজত নেতারা কাজও করেছে দুই মাস ধরে। কিন্তু শতচেষ্টা করেও আজ পর্যন্ত সেই তালিকা প্রকাশ করতে না পারায় দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তদন্তের সঙ্গে হেফাজত নেতারাই বলছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য যাচাই বাছাই না করে হতাহত নিয়ে প্রচার চালানো ঠিক হয়নি। অনেক ইসলামী দল ও সংগঠন হেফাজতের এ অপপ্রচারের ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে অভিহিত করেছে। ঘটনা গত ৫ মে রাতের। ঘড়ির কাটায় তখন রাত ১২টা। পবিত্র ধর্মের নামে ফায়দা লুটার চেষ্টায় দিনভর তা-বের পর রাতে চরম ভীতি নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন রাজধানীবাসীসহ পুরো জাতি।
হেফাজতে ইসলামের নামে হাজার হাজার উগ্রবাদী নেতাকর্মী মতিঝিলজুড়ে লাগাতার অবস্থন নিয়ে বসে থাকার ঘোষণায় শান্তিপ্রিয় কোটি কোটি মানুষ তার নিজের জীবন ও দেশের ভবিষ্যত নিয়ে ছিলেন উদ্বিগ্ন। কোন দিকে যাচ্ছে দেশ? এরা কি রাষ্ট্র দখল করতে চায়? এদের সরিয়ে দিয়ে দেশবাসীকে কি রক্ষা করা আদৌ কি সম্ভব? পুরো জাতির এমন উদ্বেগজনক চিন্তা যেন নিমিষেই দূর হয়ে গেল গভীর রাতের র্যাব-পুলিশ ও বিজিবির যৌথ এক সফল অভিযান। দিনের পর দিন অবস্থান নিয়ে সরকারকে ফেলে দিয়ে ১৩ দফার নামে তালেবানি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান অপচেষ্টা হওয়ায় উড়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাত্র কয়েক মিনিটের দক্ষ ও কৌশলী অভিযানের কাছে। লক্ষাধিক উগ্রবাদীর বিরুদ্ধে অভিযানে যেমন ক্ষয়ক্ষতি ছিল কম প্রাণহানি তেমনি রক্ষা করা হয়েছে ধর্মব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে আসা হাজার হাজার শিশুর জীবন। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হেফাজত নেতাদের কথা ছিল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টায় মধ্যে সমাবেশ শেষ করে রাজধানী ছেড়ে চলে যাবেন।
জনজীবন স্বাভাবিক হবে। কিন্তু দিনভর তা-ব চালিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় হেফাজত নেতারা ঘোষণা দেন, ১৩ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান নেবেন। তখনো লক্ষাধিক নেতাকর্মী-সমর্থন রাজধানীজুড়ে। রাতের সেই ঘোষণার পর জনমনে উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। এর আগে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে সন্ধ্যার আগে সমাবেশে শেষ করে ঢাকা ছাড়ার আহ্বান জানায় আওয়ামী লীগ।
কিন্তু কোন কিছুতেই পাত্তা দেয়নি বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নেতাদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা উগ্রবাদী হেফাজত নেতারা। এর পর সরকার, রাষ্ট্র ও জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় ক্রমেই পাল্টাতে থাকে পরিস্থিতি। শক্ত হতে বাধ্য হয় প্রশাসনসহ পুরো সরকার। সন্ত্রাসীমূলক কর্মকা-ে হেফাজত ও তাদের মদদপুষ্টদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভও বাড়তে থাকে। হেফাজতকে সরাতে রাত ১০টা পর থেকেই মতিঝিলে অভিযানের প্রস্তুতি নিতে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রাত আড়াইটায় এ্যাকশনে নামেন তারা। প্রথমে হেফাজত নেতাকর্মীদের ভদ্রভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। কর্মকর্তারা ভেতরে প্রবেশ করেও বার বার বলেছেন, আপনারা চলে যান। দাবির বিষয়ে দেখা হবে। আপনারা এখান থেকে চলে যান।
কিন্তু কোন কথায় কান না দিয়ে উল্টো পুরো অঞ্চলে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে নেয়া হয় অপকৌশল। আইল্যান্ড ও দেয়াল ভেঙ্গে রাস্তায় বেরিকেড তৈরি করে তারা। গাছ কেটে ও রড দিয়েও তৈরি করে অবরোধ। কেবল তাই নয়, যারা শহীদ হতে প্রস্তুত তাদের নিয়ে তৈরি করা হয় মানবপ্রাচীর। ঘোষণা দেয়া হয় জীবন দিয়ে হলেও এই প্রাচীর দিয়ে অবস্থান ধরে রাখা হবে।
কয়েক হাজার কর্মী এ সময় শহীদ হওয়ার ঘোষণা দেয়। এর ভেতরে অবস্থান নেয় সাধারণকর্মীদের কয়েক স্তরের মানবপ্রাচীর। শান্তিপূর্ণভাবে সেদিন তাদের সরিয়ে দেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছে। অভিযানের প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই শাপলা চত্বর ফাঁকা হয়ে যায়। অভিযানের কৌশলও ছিল ব্যতিক্রম।
রাত আড়াইটায় একযোগে মতিঝিল এলাকার ৫টি পয়েন্ট দিয়ে শাপলা চত্বরে প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হেফাজত কর্মীদের যাওয়ার সুযোগ দিতে পুরোপুরি ফাঁকা রাখা হয় ইত্তেফাক মোড়ের রাস্তা। একই কারণে শিথিল ছিল নটর ডেম কলেজের রাস্তাও। টিকতে না পেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক সেদিক পালিয়ে যায় হেফাজতের কর্মীরা। হেফাজতের কর্মীরা এ সময় টিকাটুলি ও ইত্তেফাকের মোড়ের দিকে পিছু হটে যায়।
তবে পালিয়ে গেলেও চলে যাওয়ার সময় হেফাজতকর্মীরা মতিঝিল ও দিলকুশা এলাকার ছোট ছোট দোকান ও ভবনের ফটকে আগুন দেয় এবং রাস্তার পাশে থেমে থাকা গাড়ি ভাংচুর করে, চালায় তা-ব। পথে যে যা পেয়েছে তাতেই তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে শান্তিপূণভাবে উগ্রপন্থীরা পালিয়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক কাটলেও কিছটু বিগড়ে যায় হেফাজতের নেতাসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। যেন সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার মতো দলগুলোর অবস্থা। এবার নতুন অপকৌশল নিয়ে মাঠে নামে উগ্রবাদী এ চক্র।
বলা শুরু হয় সরকার হাজার হাজার আলেমকে রাতের আঁধারে হত্যা করেছে। বিএনপির দাবিও একই। আর এরই মধ্যে তাদেরই মতাদর্শের একটি মানবাধিকার সংগঠন অধিকার নিজেরা কোন তদন্ত ছাড়াই দেশ-বিদেশে হত্যার কাল্পনিত তথ্য নিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ শুরু করে। দফায় দফায় চলে সংবাদ সম্মেলন। জামায়াতীরা তাদের আশির্বাদপুষ্ট দেশ ও বিদেশের গণমাধ্যমে তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্ট সরবহরাহ করে প্রতিবেদন প্রকাশে মাঠে নেমে পরে।
দুই মাস ধরে দেশের রাজনীতি এমনকি নির্বাচনেও ১৮ দল ও হেফাজত ধর্মের নামে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ মুসল্লিদের সরকারের বিরুদ্ধে উস্কে দেয়। কিন্তু দুই মাস ধরে মানবাধিকারের নামে বিশেষ গোষ্ঠিকে রাজনৈতিক সুবিধা দিতে গিয়ে এবার গ্যাড়াকলে পরেছে সংগঠনটি ও তাদের আশির্বাদপুষ্টরা।
জানা গেছে, ৫ মে রাতে হেফাজতের ইসলামের অবস্থান সরাতে অভিযানে ৬২ জন নিহত হওয়ার দাবি করলেও তালিকা সরকারকে দিচ্ছে না ‘অধিকার’। তথ্য মন্ত্রণালয়, ‘নিহত’দের নাম, ঠিকানা, পিতার নাম ও গ্রামের বাড়িসহ বিস্তারিত তথ্য অধিকারকে চিঠি দিয়েও তথ্য পেতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযানে কেউ মারা যায়নি, সরকারী প্রেসনোটে এমন বলা হলেও অধিকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সেই রাতে ৬২ জনের মৃতু্যুর তথ্য পেয়েছে।
এছাড়া হেফাজত আরও ২০০ জনের তথ্য পেয়েছে। মাঠে ময়দানে প্রচার করলেও কোথাও নাম ঠিকানা এতদিন প্রকাশ করেনি তারা। কিন্তু এখন সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চেয়ে বসায় চুপ সংগঠনটি। সরকারের চাওয়া অনুযায়ী বিস্তারিত তথ্য কবে দেয়া হবে জানতে চাইলে অধিকারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অধিকারের প্রেসিডেন্ট দেশের বাইরে রয়েছেন। তিনি দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
অধিকার চিঠি না দিলে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত তথ্য সচিব মুর্তজা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, আমি শুধু জানি এখনও অধিকার আমাদের চিঠির জবাব দেয়নি। না দিলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আমি বলতে পারব না। তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ শহীদুল হক ভুঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন ভারপ্রাপ্ত তথ্যসচিব। শহীদুল হক ভুঁইয়া বলেন, আমরা অধিকারের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি দিলেও তাতে কোন সময় বেঁধে দেয়া হয়নি। আমরা এখনও চিঠির জবাবের অপেক্ষায় আছি।
জানা গেছে, অধিকারের চিঠির জন্য মন্ত্রণালয় আর তিন থেকে চারদিন অপেক্ষা করবে। এর মধ্যে জবাব না আসলে মন্ত্রণালয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়েছে সারাদেশে। এদিকে একই অবস্থা খোদ হেফাজতেরও। দুই মাস পরেও দাবি করা নিহতদের কোন নাম প্রকাশ করতে পারেনি হেফাজত।
যদিও তারা নিহতদের নাম ঠিকানা যোগাড় করতে কমিটি গঠন করেছিল। সেই রাতের অভিযান নিয়ে বিভিন্ন অনলাইনে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এখানও। হাইতিতে ভূমিকম্পে নিহতদের ছবি হেফাজতের ‘নিহত’ কর্মী বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। শাপলা চত্বর অভিযানে নিজেদের তিন হাজার নেতাকর্মী নিহত, হাজার হাজার নিখোঁজ বলে দাবি করেছিল হেফাজতে ইসলাম। তদন্ত কমিটি করে শতচেষ্টা করেও সেই তালিকা আজ পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে নিখোঁজদের তালিকা করতে গত ১১ মে থেকে সারা দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কমিটির নেতারা মাঠে নেমে পড়েন। মাদ্রাসায় মাদ্রাসায় গিয়ে খোঁজখবর করা হয়েছে। নিহত, আহত ও নিখোঁজ এ তিনটি তথ্য যাচাই করা হয়। কিন্তু নিখোঁজ আছে এমন একজনেরও সন্ধান পাননি তাঁরা। নিহত তো দূরের কথা যা পেয়েছে তা ৫ মে দিনের তা-বের সময়ের।
এখন উপায় না পেয়ে নেতারা বলছেন, কোন সন্ধান পেলে তারা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেবেন। সূত্র জানায়, তালিকা তৈরি করতে গিয়ে হেফাজত নেতারা জানতে পারছেন, শাপলা চত্বরে অভিযানের মুখে মাদ্রাসার বহু ছাত্র ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগি¦দিক পালিয়ে যায়। এর পর নিজেদের উদ্যোগেই তারা নিরাপদ অবস্থান খুঁজে নিতে থাকে। কেউ কেউ নিজেদের বাড়ি বা আত্মীয়স্বজনের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেয়। প্রথমদিকে ওই ছাত্রদের মাদ্রাসায় না পেয়ে তাদেরই নিখোঁজ বলে অপপ্রচার চালানো হয় হেফাজতসহ ১৮ দলের পক্ষে।
এখন তাদের সবাই নিজ নিজ মাদ্রাসায় ফিরেছে। বিভিন্ন স্থানে তালিকা করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়ে হেফাজত নেতারা এখন বেশ অস্বস্তিতে পড়েছেন। হেফাজতের মূখপাত্র আশরাফ আলী নিজামপুরী বলেছেন, বিভিন্ন স্থান থেকে দুই-তিনজন করে নিখোঁজের নাম আসছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা তিনি এখনও জানেন না। নিখোঁজের তথ্য পেলেই গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
চাঁদপুর জেলার হেফাজতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ারুল করিম বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে নিখোঁজের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। কমিটির লোকজন বিভিন্ন মাদ্রাসায় খোঁজখবর নিচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন নিখোঁজের সন্ধান মেলেনি। কমিটির কাজ শেষ হলেই কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে প্রতিবেদন দেয়া হবে। এদিকে এই জেলার এক মাদ্রাসার ছাত্রকে ওই দিন সরকার হত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল।
প্রথমদিন যাদের নাম হেফাজত ও ১৮ দল নিহত বলে প্রচার করে সে দিব্বি চাঁদপুরে মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছে বলে জানিয়েছেন ওই জেলার ইসলামী দলগুলোর নেতারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।