গণতন্ত্র হল এমন এক অস্তিত্বহীন মদ, যাতে সবাই মাতাল, কিন্তু কেউ কখনো পান করে নি।
বাংলাদেশে শাপলার দুটি প্রজাতি পাওয়া যায়। এর প্রথম প্রজাতিটি আবার দুটি রঙের হয়, সাদা ও লাল (গোলাপী)। সাদাটি আমাদের জাতীয় ফুল। অন্যটির নাম নীল শাপলা।
নামেই বলে দিচ্ছে এর রং নীল।
সাদা শাপলা
লাল শাপলা
নীল শাপলা
বংশ পরিচয়:
Kingdom: Plantae
Division: Magnoliophyta
Class: Magnoliopsida
Order: Nymphaeales
Family: Nymphaeaceae
শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম: Nymphaea pubescens
নীল শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম: Nymphaea stellata
তিন শাপলা একসাথে:
নীল শাপলার সাথে বাকি দুটো পার্থক্য হল নীল শাপলা একদলীয় (রাজনৈতিক ব্যাপার না, পাপড়ি Single) আর বাকি দুটো Semi-double.
শাপলা শুধু ফুলই নয়। সর্বভুক মানুষ শাপলা খায়ও। এবং খাওয়ার একাধিক পদ্ধতি আছে। এই শাপলা থেকেই হয় একটি চমৎকার খাবার।
ফুলের মাঝখানের বোটার উপড়ে অর্থাৎ গর্ভাশয়ে গুড়ি গুড়ি বীজ থাকে। ছোটবেলায় আঙ্গুল দিয়ে খুটে সেই বীজ বের করে খেতাম। খেতে খারাপ না। আর সেই বীজ দিয়ে আরেকটি সুস্বাদু খাবার হয়। নাম ঢ্যাপের খৈ।
খুব হালকা এই ঢ্যাপের খৈ। খাওয়ার সময় যদি ভুলে নিঃশ্বাস ছাড়তাম দেখতাম কখনো হাত খালি কখনো অল্প কয়েকটা আছে। শাপলা শালুক সারা বছর টুকটাক ফুটলেও শরৎ কালে এরা ফুটে মহাসমারোহে। আর এখন ঢ্যাপের খৈয়ের সময়। কিন্তু বাজারে ঢ্যাপের খৈ নেই।
কারন মানুষ শাপলা সব্জি হিসেবে রান্না করে খেয়ে ফেলছে। খৈ বানানোর মত শাপলা থাকে না। ঢ্যাপের খৈ আমার খুব পছন্দের জিনিস। কেউ বেচতে দেখলে জানাবেন।
বি. দ্র.: বাংলাপিডিয়ায় নীল শাপলাকে শালুক বলা হয়েছে।
কিন্তু শালুক শাপলারই একটি অংশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।