আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

র‍্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস চাই, এইটাই মূল দাবি ।

আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিং (মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন) করার নামে চলছে অমানুষিক নির্যাতন। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বষের্র ২৬ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩ দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, ক্যান্টিন, গোলচত্বর, প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন স্থানে র‌্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছে সদ্য ক্লাস শুরু করা চুয়েটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

সাইফ নামের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, ‘কয়েকদিন হলো আমরা ক্যাম্পাসে এসেছি। দিনে ক্লাসের পর রাতে চলে আমাদের ওপর চলে র‌্যাগিং নামের নির্যাতন। ’ র‌্যাগের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘হলে কয়েকবার ঘোরাসহ একপায়ে তিন-চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এছাড়া আরো অনেক কিছুই করতে হয়েছে, যা কখনো কল্পনাও করিনি। ’ শুধু সাইফই না।

তার মতো আরও অনেকেই র‌্যাগিংয়ের ভয়ে ক্যান্টিন কিংবা ডাইনিংয়ে খাবার খাওয়া, পড়ালেখার জন্য খাতা কেনা ও ফটোকপি করতেও বাইরে যেতে পারছেন না। চুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, ‘গত ৭ মে থেকে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে লেভেল-১ এর ক্লাস শুরু হয়। ওইদিনই ভর্তি হওয়া ছাত্রদেরকে হলে আসন বরাদ্ধ দেওয়া হয়। ’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আসন বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই নতুন এই ছাত্রদের ওপর শুরু হয় হয় ভয়াবহ র‌্যাগিং। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে আসার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে নানা পন্থায় তাদের হেনস্থাসহ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা হয়।

বিশেষ করে রাতের বেলায় চুয়েটের বিভিন্ন বর্ষের একাধিক ছাত্র এক হয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগ দেয়। ’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র‌্যাগিংয়ে অভিযুক্ত এক ছাত্র বলেন, ‘নতুন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছে তাদের আমরা বিভিন্নভাবে যাছাই বাছাই করছি। ’ এদিকে এ ঘটনায় বুধবার রাত প্রায় ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হলে সি-২১৪ ও সি-২০৩ নম্বর কক্ষে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ‘র‌্যাগিং’এর সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে বিভিন্ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাদের কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৭টায় নতুন হল প্রভোস্ট ড. আশুতোষ সাহা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৬ জনের নাম সম্বলিত কারণ দর্শানোর নোটিস প্রকাশ করা হয়।

জড়িতদের পৃথকভাবে আগামী ১৭ মে সন্ধ্যো ৭ টায় হাজির হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। চুয়েটের নতুন হলের প্রভোস্ট ড. আশুতোষ সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। নতুন হলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র‌্যাগ দেওয়ার সময় দ্বিতীয় বর্ষের ২৬ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে লিখিত জবাব দিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। ’  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.