আম্মু এখন যে পরিমান মনোযোগ দিয়ে টিভি নিউজ দেখে আর পত্রিকা পড়ে,জীবনেও এত মনোযোগ দিয়ে উনি রান্না-বান্নাও বোধ হয় করেননি কোনদিন ! রাজনীতি, সড়ক দুর্ঘটনা, ঢাবি রিলেটেড কোন খবর এই গুলোতে তার মনোযোগ থাকে সবচেয়ে বেশি । তার এই পরিবর্তনের কারন অবশ্যই আমি । দেখা গেল, জগন্নাথ,রাজশাহী,জাহাংগীরনগর, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সমস্যা হইছে,পল্টনে কোন সংঘর্ষ হইছে... সাথে সাথেই বাসা থেকে আম্মুর ফোন, তোর কিছু হইনি তো ??!! আমি কইলাম, মা আমাদের ক্যাম্পাসে কোন সমস্যা হয়নি তো । আমি সাধারনত রাতে বাসায় কথা বলি, দিনে বাসা থেকে ফোন আসা মানেই হলো আম্মু টেনশনে আছে! অনেক সময় দেখা যায়, ক্যাম্পাসে কোন সমস্যা হইছে, সেই খবর আমরা জানার আগেই মিডিয়ার কল্যাণে আম্মু জেনে বসে আছে! আর সাথে সাথে ফোন! আর যদি হরতাল দিয়েছে তো বিপদ আমারই বেশি! আম্মু ফোন দিয়ে বলবে, না খেয়ে থাকলেও হল থেকে বের হবি না!! আমি মজা করে কইলাম, মা শুনলাম এইবার হরতাল নাকি একটানা ৩-৪দিন থাকবে ! ৩-৪দিন না খাইলে কি আমি বাঁচব??!! ( যদিও আমি হলের ভিতরেই খাওয়া-দাওয়া করি!! ) আম্মু বলে, ৩-৪দিন না খাইলে মানুষ মরে না ! এখন আম্মুর সাথে যতক্ষন কথা বলি, এর সিংহ ভাগেই থাকে তার আমাকে নিয়া টেনশন । দরকার ছাড়া বাইরে যাবি না...ক্লাস খুব গুরুত্বপুর্ন না হলে বাসায় চলে আয়! মাকে সারাজীবন কষ্টই দিয়ে এলাম । কিছু কষ্ট নিজের দেয়া আর কিছু কষ্ট আমাদের আশে-পাশের পরিবেশ তাকে প্রতিনিয়ত দিচ্ছে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।