ছোটবেলায় কিংবা বড়বেলায় আমরা সবাই কমবেশি প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েছি। এইচ এস সি তে আমার জন্য একজন প্রাইভেট শিক্ষক রাখা হয় যিনি ছিলেন একজন বুয়েটিয়ান। উনি বুয়েট এ EEE তে পড়তেন। ওনার সম্পর্কে আমার বেশ শ্রদ্ধা ছিলো, কারন তখন বুয়েট আমার কাছে স্বপ্নের দেশ।
যেকোন কারনেই হোক না কেনো প্রথম থেকেই দেখতাম আমাকে পড়ানোর চেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকার প্রতি ওনার আগ্রহ বেশি।
এটা ভাবার কোনো কারন নাই যে উনি আমার প্রতি ভালবাসা বশত অথবা প্রেম বশত আমাকে দেখতেন। কারন উনি আমাকে বলেছেন যে ওনার প্রেমিকা সিলেট এ থাকেন। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় পড়েন।
উনি পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে হঠাৎ আমার হাত ধরে ফেলা, আংগুল ধরে ফেলা, সিনেমার নায়ক দের মত কব্জি ধরে চোখে চোখ রাখা ইত্যাদি কাজে সময় ব্যয় করতেন।
আমি আবার আতেল মারকা স্টুডেন্ট ছিলাম, তাই ওনার টাংকি বাজি তে তেমন উৎসাহিত হতে পারতাম না।
তারওপর মাথায় পরীক্ষার টেনসন। তাছাড়া আমাদের মাদের স্বভাব তো সকলেরই জানা, ওনারা মেয়েদের পড়ার ঘরে ঊকি দিতে খুবি ভালবাসেন, আরো যদি তখন কমবয়শি মা্স্টার থাকে তাহলে তো কথাই নাই।
যাহোক ওনার এসব আচরনে বিরক্ত হয়ে আমি বেশ কয়েকবার হুমকি দিলাম,ওনার প্রেমিকাকে বলে দেয়ার ভয় ও দেখালাম। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি। ওনার কোনো পরিবর্তন হৈল না।
একদিন আমি লেখছিলাম, সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াতে আমি ওনাকে লাইট জালাতে বললাম। উনি লাইট জ্বালাতে উঠলেন, জালালেন এবং আমার কাঁধে একটা চুমা দিয়ে নিজের জায়গায় বসলেন।
এই ঘটনার পর ওনার কি হৈলো তা আমার জানা নাই, কারন এই ঘটনা আমি আমার বড় ভাই(যিনি ওনাকে দিয়েছিলেন) কে বলে দেই এবং (ওনার দ্বারা আরো কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগে) আমার মা্স্টার কে আসতে মানা করে দেই।
বি:দ্র:
১। আমি ওনার সামনে শ্লীল জামা পরিধান করিতাম এবং ওনাকে কোনোরুপ ইশারা ঈঙ্গিত করিতাম না,তাই আমাকে দোষ দেবার কোনো কারন পাইনা।
২। ওনার নাম সাখা্ওয়াত হোসেন সোহেল।
৩। এই পোস্ট দ্বারা আমি বুয়েটিয়ান দের প্রতি কোনো ঈঙ্গিত করিনাই। খারাপ মানুষদের কোনো ঠিকানা থাকেনা।
৪। এইরকম গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে নিরাপদে থাকবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।