আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুয়েটিয়ান স্মৃতি-১

মানুষ পরাজিত হতে পারে কিন্তু কখনো ধ্বংস হয় না। - আর্নষ্ট হেমিংওয়ে
প্রারম্ভিক: এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়াই বাসা- আত্মীয় স্বজন সবদিক দিয়াই চাপে পড়ছিলাম বুয়েট অথবা মেডিকেলে চান্স পাইতেই হইবো। অথচ তখন আমার মেডিকেল বা বুয়েটের পড়াশুনা বা সাবজেক্ট সম্পকে বিন্দুমাত্র ধারনা আছিলো না। পরীক্ষা শেষ হওনের এক সপ্তাহের মধ্যে ওমেকায় ভর্তি করায় দিলো। সেই থাইকা বুয়েটের সাথে পরিচয়।

পরে ভাগ্যগুনে চান্স পাইলাম। তাতেও সবার মন ভরাইতে পারলাম না। আমার প্লেছ আছিলো ৩৪২। হেইডাতে সি এস সি বা ইইই কোনডাই পাই না। ইইই না হওনের মায়ের মন খারাপ।

এই দিকে আবার আর্কিতে হইছি ৩২। এহন কি পরুম এইডা নিয়া ক্যাচাল লাগছে। মরার উপর খাড়ার ঘা-এর মতো রাজশাহী মেডিকেলে ও চান্স হইয়া গেছে। আত্মীয় স্বজনের মধ্যে মতোবিরোধ আমি কি পরুম হেইডা লইয়া। আমার নিজস্ব মতামত কেউ লয় না।

বন্ধু বান্ধবরা হুমকি দিছে ডি ইউ -এর ভর্তি এক্সাম-এ আমারে দেখলে সেইখানেই আমার লাশ ফালাইবো। সব শেষে বহু অভিজ্ঞ ও গুরুজনের পরামর্শ মতে সিভিলে ভর্তি হইলাম। এইডাতে আমার নিজস্ব কোন ভুমিকা আছিলো না। ওয়ান ওয়ান@বুয়েট: বুয়েট সম্পর্কে কোচিং-এ বিগ ব্রাদাররা অনেক কিছু বলছে। তবে প্রথম দিন যাইয়া আমার বুয়েটের ক্যাফেটা দেইখা খুব ভালো লাগছে, বুয়েটের ক্যাফেরই আমি শুধুএ প্লাস দিতে পারি।

প্রথম দিনের কথা আমার এখন খুব বেশি মনে নাই। সিভিল বিল্ডিং-এ কেলাস। রুম মে বি ২০৩ অথবা ২০৪। সকাল আটটায়। আমি বরাবরই লেট লতিফ এবং ব্যাকবেন্চার ।

দৌড়াদৌড়ি কইরা রুম খুইজা, পিছে যাইয়া কোনার দিকে বইলাম। পাশের পোলাডা আছিলো মে বি বিশ্বজিৎ। কেমিস্ট্রি কেলাশ। নজরুল ইসলাম স্যার আইসা, ঢুইকাই অবাক। ১৩ মায়া প্রথম বাম সারির প্রথম দুই বেন্চিতে আর পিছনে ধু ধু।

আর বাকি ৪৭ ডা পোলা চিপাচিপি কইরা ডান সারিতে। স্যার কইলো, এইটা কি, এইটা ইউনিভার্সিটি। বি স্মার্ট। যাও ওইদিকে যাইয়া বসো। কিন্তু কারো মধ্যে স্মার্টনেস দেখা গেল না।

কেউ নড়ে না। শেষে স্যার পিছনের বেন্চির দিকে ইশারা দিলো অ্যাই উঠো ওইদিকে যাইয়া বসো। দূর্ভাগ্যক্রমে/সৌভাগ্যক্রমে আমি আছিলাম শেষের দিকে। উঠতে হইলো। আমরা সেই দিন যারা যারা বামপাশে বইছি ,সারা বুয়েট লাইফই বামপাশেই বইছি।

আমরা আমারদের গর্বিত লেফ্টিস(বামপন্থী) বইলা দাবী করতাম। আর মেয়েগো পিছনে কন্টিনিউয়াসলি বসার দরুন আমাগো লগে মেয়েদের খাতির হইলো তাড়াতাড়ি। চলবে................... (বুয়েট লাইফে থাকতে কতই না আফসোস করছি -ক্যান যে বুয়েটে আইছিলাম, এইখানে কুনু চার্ম নাই, সুন্দর মাইয়া নাই, বাঁশ খাইতে খাইতে োয়া লুজ হইয়া গ্যাছে,আজ শ্যাষ বেলায় আইসা ক্যান জানি খারাপ লাগতাছে। )
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.