মানুষ পরাজিত হতে পারে কিন্তু কখনো ধ্বংস হয় না। - আর্নষ্ট হেমিংওয়ে
২৯ অ্যান্ড আই বি:
রশীদ হলের ২০১১ ছিলো আমগো আড্ডা রুম। টু-ওয়ান-এ থাইকা পুরা রুম আমাগো ব্যাচের পোলাপাইনরা নিয়া নেয়। আমাগো রকিব, মেকার শফিক ও শোয়েব, কেমির রাশেদ এই চার জন। তবে ওগো চাইতে ২০১১-তে বেশি থাকতাম আমরা সিভিলের আবু, আদনান, আমি।
প্রথম প্রথম ২৯ খেলা হইতো। যেইখানে অবসর, সেইখানে। ক্যাফেতে, অডিটরিয়ামের নিচে, ক্লাশে বইসা। আমাগো প্রতি টার্মে দীপ নতুন কার্ড স্পনসর করতো। ভালো প্লাস্টিকের কার্ড রঙচঙ্গা।
পরে ফোর ওয়ানে উইঠা আই বি খেলা ধরলাম। আবু হায়েস্ট ডাউন ৫ নটে ৮০০। নটে এমুন ডাউন আশা করাই যায়। আমি হায়েস্ট ৬০০ পর্যন্ত খাইছি। ডাউন খাওয়াটা আই বিতে একটা আর্ট বইলা আমি মনে করি।
ডাউন খামু বাট রাফ করতে দিমু না এইটা আমার নীতি।
কার্ড খেলা নিয়া মনমালিন্যও হইছে প্রচুর। মিটমাটও হইছে। ক্যাফেতে কার্ডের পার্টি মিস করি।
কার্ড খেলায় কিছু স্ল্যাং ইউজ করতাম আমরা
অম্লীল মনে হইতে পারে....
১. দুধে বাড়ি দ্যান : রঙ বাড়ি দ্যান
২. চুদেন : ওভার ট্রাম্প করেন।
৩.বেলুয়া ছিড়া :পার্টনার যদি আশানুরুপ কার্ড না খ্যালে বা না পায়
৪. গোয়াম দিছি : ডাক উঠে গ্যাছে
৫. পট্টিতে : ২৯-এ ৫ কালায় গেলে
৬. সিংহাসনে : ২৯-এ ৫ লালে গেলে
৭. কুত্তা / বকরি: সব ট্রিক জিতলে (বিষেশ করে ২৯-এ)
আনন্দ ও ফুর্তি:
আবু ভালো ডার্টি জোকস কইতো। এর লাইগা তার আরেক নাম আছিলো ডি জে। ক্লাসে প্রায় দেখা যাইতো অনেকগুলা মাথা গোল হইয়া মাথার লগে মাথা লাগাইয়া আছে,মাঝখানে আবু জোকস কইতেছে। তারপর একলগে সব মাথা হো হো হো শব্দে ছিটকায়া উঠতেছে।
আবুর সেন্স অফ হিউমার দারুন।
তার মতে আনন্দ হইলো নিজের বউরে নিয়া মানুষ যা করে সেইটা আনন্দ। আর পরের বউরে নিয়া মানুষ যা করে সেইটা ফুর্তি।
স্টুডেন্ট না ছাত্র:
প্রথম প্রথম কেউ টিউশনি পাইলেই আমাগো কোয়েস্চন কি পড়াস, স্টুডেন্ট নাকি ছাত্র????????????
আমার জোকস:
পুরা বুয়েট লাইফে আমি একটাই জোকস বলছিলাম(আবুর জোকস বইলা পপুলার হওনে ইর্ষান্বিত হইয়া, কিন্তু বুঝলাম সবাইরে দিয়া সব কিছু হয় না)। সম্ভবত ওয়ান টুতে। জোকস আছিলো এক রাশিয়ান দাবারু নিয়া।
বিশাল হাইথট জোকস। একমাত্র বুদ্ধিমান প্রজাতির মানুষরাই একমাত্র এই জোকসের মর্মোদ্ধার করতে পারে। আমি যখন বলি সবাই খুব মনোযোগ দিয়া মাথা ঢুকাইয়া শুনতেছিলো। বাট জোকস শেষ করার পর সবার মুখের দিকে তাকাইলাম প্রতিক্রিয়ার জন্য। কেউ দেখি হাসে না।
প্রায় ২-৩ মিনিট সব পোলাপাইন চুপ। বুঝেই নাই আমি কি কইছি!!!!! দেন সব হা হা হা কইরা হাসতে লাগলো। সবাই কয় তুই এইটা কি জোকস শুনাইলেরে নকী। হা হা হা হা।
এরপর থাইকা আমি যখনই কই দোস্ত একটা জোকস শোন, সবাই সাথে সাথে হা হা কইরা হাসতে থাকে।
নকী জোকস কইবো এইটাই নাকি বড় জোকস...............
পুরানা লিংক:
বুয়েটিয়ান স্মৃতি-৩ বুয়েটিয়ান স্মৃতি-২
বুয়েটিয়ান স্মৃতি-১
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।