‘লাইলী-মজনু’র কাহিনি নিয়ে অনেক চলচ্চিত্রই নির্মিত হয়েছে। নতুন করে আবারও নির্মিত হচ্ছে অমর এ প্রেমকাহিনি। তবে একটু ভিন্নভাবে। গল্পটুকুর সারমর্ম নিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্মিত হচ্ছে লাইলী-মজনু আখ্যান। আর এ যুগের লাইলী-মজনু হয়েছেন নাদিয়া ও আনিসুর রহমান মিলন।
তিনটি অমর প্রেমকাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র নিয়ে নির্মিত হচ্ছে এনটিভি’র দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘নীল রঙের গল্প’। সেগুলো হচ্ছে নিজামী গানজাভির ‘লাইলী-মজনু’, শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস-পার্বতী’ এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ‘রোমিও-জুলিয়েট’। চরিত্রগুলো বর্তমান প্রেক্ষাপটে আধুনিক ঢঙে একটি গল্পে এসে একত্রিত হয়েছে। এখানে দেখা যাবে, দেবদাস-মজনু-রোমিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাঁদের তিনজনের মধ্যে রয়েছে দারুণ বন্ধুত্ব।
তাঁদের জীবনে প্রেম আসে। ধীরে ধীরে পূর্ণতা পায় দেবদাস-পার্বতী, লাইলী-মজনু এবং রোমিও-জুলিয়েটের প্রেম।
বর্তমানে ‘নীল রঙের গল্প’ ধারাবাহিকের শুটিং চলছে। এরই মাঝে শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন লাইলী-মজনু জুটি নাদিয়া-মিলন, রোমিও-জুলিয়েট জুটি নিলয়-জেনি এবং দেবদাস-পার্বতী জুটি নিশো-তিশা। ‘নীল রঙের গল্প’ ধারাবাহিকটি রচনা করেছেন জাকারিয়া সৌখিন।
পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন কৌশিক শংকর দাশ।
মজনু চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে মিলন বলেন, ‘অভিনয়শিল্পীদের জীবনে কিছু স্বপ্নের চরিত্র থাকে। মজনু তেমনই একটি চরিত্র। এমন একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। ’
লাইলী চরিত্রের অভিনেত্রী নাদিয়া বলেন, ‘নাটকের গল্প-ভাবনাটি অসাধারণ।
একেবারে আধুনিকভাবে নাটকটি নির্মিত হচ্ছে। আমার ধারণা, নাটকটি দর্শকের পছন্দের তালিকায় থাকবে। ’
নির্মাতা কৌশিক শংকর দাশ বলেন, ‘এটাই আমার প্রথম ধারাবাহিক। এটি নির্মাণ করার জন্য আমি অনেকদিন অপেক্ষা করেছি। কারণ আমি নতুন ধরনের গল্প-ভাবনা খুঁজছিলাম।
দর্শকদের নতুন কিছু দেওয়ার জন্য আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তাঁদের ভালো লাগলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।