ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না কিছুদিন আগে দেখলাম এই শহরের Expo center এর উন্মুক্ত চত্বরে Toyota কোম্পানি প্রাডো সহ বিভিন্ন মডেলের জীপ, কার নিয়ে এক মেলার আয়োজন করছে যেখানে লোকজন ফ্রি ফ্রি গাড়িতে উঠে চক্কর দিচ্ছে, আবার যারা গাড়ি চালাতে পারে তাদের হাতে স্ট্যান্ড ছেড়ে দিয়ে ইন্সট্রাক্টররা পাশের সিটে বসে আছে. চত্বরটাকে ৩ টা অংশে বিভক্ত করেছে- এক জায়গায় হাই স্পিডের গাড়িকে পার্কিং করার স্বাদ, আর একটাতে ৪৫ ডিগ্রী এঙ্গেলে স্টিল দিয়ে বানানো অস্হায়ী ব্রিজে উঠে যাচ্ছে যেখানে পাহাড়ি ঢালু রাস্তার স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে. অন্যটাতে বালু দিয়ে বানানো রাস্তায় মরুভূমির স্বাদ কিংবা চাকা দিয়ে বানানো রাস্তায় কাদা মাটির স্বাদ কিংবা স্প্রিংয়ের নেট দিয়ে এমনভাবে বানানো যার এক পাশ থেকে অন্যপাশ ৩০/৪০ ডিগ্রীর মত উঁচু ...ওখানে গাড়ি একপাশে কাত হয়ে হেলেদুলে চলছে. স্কুলে থাকতে দেখতাম nescafe/ maggi নুডলসের গাড়ি এসে আমাদেরকে ফ্রি ফ্রি খাওয়াইতো, বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দেওয়ার পর দেখলাম Djuice সবাইরে ফোনে এমনই কথা কওয়া শিখাইলো যে লোকজন এখন গাটের পয়সা খরচ করে কয় "আমি এখন খাচ্ছি, তুমিও হা কর তো! একটু খাওয়াইয়া দেই"_ আহ্ ফোনে পাঠানো খাবারের কি স্বাদ ! মুরুব্বীদের কাছে শুনেছি, চা কোম্পানিগুলোও নাকি আগে ফ্রি ফ্রি চা খাওয়াইছে. ভবিষ্যতে হয়ত দেখা যাবে হেলিকপ্টার কোম্পানিও মানুষরে ফ্রি ফ্রি আকাশে উড়াইয়া লোভ লাগাইয়া দিবে :p তবে যে জিনিসটা আমারে অবাক করেছে, লোকজনের ভিড় নাই. ৩টা সেকশন মিলিয়ে গাড়িতে উঠতে ইচ্ছুকদের জন্য ৩০ টার মত চেয়ার হবে অথচ ২টা সেকশনেই সিট খালি. মাত্র ১টা সেকশনে চেয়ারগুলো ফিল আপ আর কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে, ফ্রিতে প্রাডো গাড়ি চালানোর লোক নাই! মনে পড়ে আন্ডাকালের কথা যখন দাদা বাড়ি গেলে একটা পোস্টারের জন্য সবাই ক্যানভাসারের পেছন পেছন ঘুরতাম
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।