মুক্তিযুদ্ধকালে জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমীর গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ ও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। আজ সোমবার রায়ের পর পরই সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর কক্ষে সাংবাদিকদের কাছে যৌথভাবে তাঁরা এ প্রতিক্রিয়া জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্ত দিক বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক মান ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমার মনে হয়, এটা দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল এবং দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বয়স বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ড না দেওয়া আন্তর্জাতিক রীতি বলে মনে করি।
’ তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত যে রায় দিয়েছে তা সবাইকে মানতে হবে। ’
সরকারের সঙ্গে কোন ধরনের সমঝোতায় এ রায় দেওয়া হয়েছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের কোনো সমঝোতা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। ’ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রোসিকিউশনের ওপর। ’
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের রায়ে তাঁকে একাত্তরের ঘাতকদের শিরোমণি বলা হয়েছে। তাঁর মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে বয়স বিবেচনায় তাঁকে ৯০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এতে অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু দেখছি না। আশা করি সরকারের মেয়াদেই দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজনের রায় কার্যকর করতে পারব। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।