আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ে খায়রুলের সই

সংবিধানের যেই ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করা হয় সেটি বাতিল করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা চূড়ান্ত হল বৃহস্পতিবার। নিজের লেখা ৩৪২ পৃষ্ঠার রায়ে এদিন সই করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। অপর বিচারকদের সই হওয়ার পর তা প্রকাশ পাবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। দুই বছর আগে খায়রুলের নেতৃত্বেই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাত বিচারকের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চ এ বিষয়ে কয়েক মিনিটের মৌখিক রায় দিয়েছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকের মতামতের ভিত্তিতে। ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের ওই রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করা হয়।

একইসঙ্গে রায়ে বলা হয় ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পরবর্তী দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। তখন আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়েছিল, সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে আপিল মঞ্জুর করা হলো। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আইন, ১৯৯৬ (আইন-১: ১৯৯৬) এখন থেকে বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হলো। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন উল্লিখিত সংশোধনীর অধীনে হতে পারে।

আইনের বহু পুরোনো নীতি এই— কোনো কিছু বেআইনি হলে প্রয়োজনের তাগিদে তা বৈধ হতে পারে, রাষ্ট্র ও জনগণের নিরাপত্তা হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারকদের রাখার বিধান বাতিলে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদের স্বাধীনতা রয়েছে। এর আগে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাই কোর্ট বিভাগ। ওই রায়ের বিরুদ্ধে পরের বছরই আপিল করা হয়। ২০১১ সালের ১ মার্চ আপিল বিভাগে এ আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।

আদালতে আপিলকারী ও রাষ্ট্রপক্ষ ছাড়াও শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে শীর্ষস্থানীয় আট আইনজীবী বক্তব্য দেন। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, এম আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম ও রোকনউদ্দিন মাহমুদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। তবে ব্যরিস্টার রফিক-উল হক ও এম জহির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে মত দেন। অপর অ্যামিকাস কিউরি আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা সংবিধানের মৌল কাঠামোর পরিপন্থী।

১০ দিন শুনানি শেষে ৬ এপ্রিল আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। এরপর ৫ মে কার্যতালিকায় বিষয়টি রায় ঘোষণার জন্য আসে। মাত্র কয়েক মিনিটে রায় ঘোষণা করেন আদালত । সুত্র View this link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.