সীমান্তে ফেলানী খাতুন হত্যা মামলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিশেষ আদালতের রায় সম্পর্কে ‘ধিক্কার’ জানিয়েছেন সে দেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী কবির সুমন। একই সঙ্গে তিনি ভারতের নাগরিক হিসেবে ফেলানীর পরিবার ও স্বজনদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
আজ বুধবার নিজের ফেসবুক পাতায় কবির সুমন এই ধিক্কার জানান।
সুমন লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মেয়ে ফেলানি খাতুন ২০১১ সালের ৭ই জ্যানুয়ারি তার বাবার সঙ্গে ভারত থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছিলেন দালালকে টাকা দিয়ে, সীমান্তের (ঘৃণ্য) কাঁটাতারের বেড়া টপকে-একটি বাঁশের মই-এর সাহায্যে। ফেলানির বাবা পেরিয়ে যেতে পারলেন।
ফেলানি পারলেন না। ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বি এস এফের ১৮১ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল অমিয় ঘোষ তাঁকে গুলি করে মারে। ফেলানির মৃতদেহ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে ঝুলছিল কাঁটাতারের বেড়া থেকে। —ফেলানি খাতুন হত্যা মামলার রায় বেরিয়েছে। তাতে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএসএফের নিজস্ব আদালতে এই বিচার হয়। বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানি বিএসএফ সেপাই অমিয় ঘোষের গুলিতে প্রাণ হারান। অমিয় ঘোষ দোষ স্বীকারও করেছিল। তারপর এই রায়। এই রায়-এর পক্ষে যুক্তি: ফেলানিকে হত্যা করার জন্য অমিয় ঘোষ গুলি চালায়নি।
—এই খবর আমি জেনেছি বাংলাদেশের প্রথম আলো পত্রিকা থেকে। বিএসএফ আদালতের এই রায় সম্পর্কে আমি ধিক্কার জানাচ্ছি। আমার প্রতিবাদে, ধিক্কারে কার কী আসে যায়। তাও প্রকাশ্যে ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ফেলানি হত্যা ঘটনার ও আদালতের রায়ের। ভারতের নাগরিক হিসেবে ফেলানি খাতুনের পরিবার ও স্বজনদের কাছে ক্ষমা চাইছি।
‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় ছবি দেখলাম—ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর গুলিতে নিহত কিশোরীটির মৃতদেহ কাঁটাতারের বেড়া থেকে ঝুলছে। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।