পৃথিবী বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগ, ওজোন স্তর সম্পর্কে আমাদের ধারণা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পর অবশেষে মাটিতে আছড়ে পড়েছে নাসার কৃত্রিম উপগ্রহ ইউএআরএস। আজ শনিবার এটা খণ্ড খণ্ড হয়ে পৃথিবীর বুকে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে নাসা। ছয় টন ওজনের কৃত্রিম উপগ্রহটির বেশির ভাগ বর্জ্য পড়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। কানাডার ওকোটোকস শহরে উপগ্রহটির অল্প কিছু অংশ পড়েছে বলে টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম।
১৯৯১ সালে পৃথিবীর উপরিভাগের বায়ুমণ্ডল, বিশেষত ওজোন স্তরের ওপর নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য ইউএআরএস উেক্ষপণ করে নাসা। এরপর প্রায় ১৪ বছর ধরে ওজোন স্তর ও বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগের পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে এই উপগ্রহটি। ওজোন স্তরে ফুটো হয়ে যাওয়ার খবরটাও আমরা জেনেছিলাম এই ইউএআরএসের কল্যাণে। ২০০৫ সালে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পর ২০১০ সালে এটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় নাসা। তবে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি মহাকাশে উেক্ষপণের সময় নাসা চিন্তা করেনি যে আবার পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার সময় এটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
ফলে এখন পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার সময় তারা কিছু ধারণা দিতে পারলেও নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু জানাতে পারছে না।
অনিয়ন্ত্রিতভাবে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে—এমন মহাকাশযানের মধ্যে এই ৩৫ ফুট লম্বা ও ১৫ ফুট ব্যাসের এই উপগ্রহটি অন্যতম। তবে পৃথিবীতে এর আগেও আছড়ে পড়েছে আরও বেশ কিছু কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশযান। নাসার ৭৫ টন স্কাইল্যাব স্টেশন পৃথিবীতে নামিয়ে আনা হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। ২০০১ মালে প্যাসিফিক মহাসমুদ্রে নিয়ন্ত্রিতভাবে আছড়ে ফেলা হয়েছিল রাশিয়ার শেষ স্পেস স্টেশন মির।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় নাসার এই আপার অ্যাটমোসফিয়ার রিসার্চ স্যাটেলাইটটির বেশির ভাগ অংশই পুড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তবে ২৬টি খণ্ড আছড়ে পড়বে পৃথিবীতে। যার ওজন প্রায় ৫০০ কেজি। তবে এতে কারও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম বলে আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা।
গতকাল শুক্রবার কৃত্রিম উপগ্রহ ইউএআরএস মাটিতে আছড়ে পড়বে বলে নাসা জানিয়েছিল।
তবে গতকাল এর অল্প কিছু অংশ পৃথিবীতে পড়ে। রয়টার্স। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।