আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু প্রশ্ন নিজের কাছে আর কিছু প্রিয়জনদের কাছে…।।(যদিও হারানো সভ্যতার মত বেশির ভাগ প্রিয়জনেরাই এখন যাদুঘরে)

কল্পিত সুখ শুধু কল্পনায় সুন্দর বাস্তবতায় খুব বেমানান। আজ কাল নিজেকে বড্ড বেশি অচেনা লাগে। ওনেকেই বলে আমি নাকি ভীষণ রকম বদলে গেছি, নিজের কাছেও তাই মনে হয়। প্রশ্ন হল- কেন? আমার বদলে যাওয়াটা কার কাছে আদিক্ষেতা আর কারো কাছে অকারন অগোছালো জীবনকে প্রশ্রয় দেয়া। কিন্তু এই বদলে যাওয়াটা আমার কাছে কি তা জানার সময় কিংবা ইচ্ছা বোধ করি কারোই নেই।

যে যে যার যার মন্তব্য আর খোঁচা দিতেই ব্যস্ত। সম্ভবত এটা আমার আপনার আমাদের সবারই একটা সাধারণ সমস্যা তা হল নিজের দুঃখ টাকে সবার থেকে বড়ো করে দেখা। ভুল ও কিছুনা কারন যার যার কাছে তার দুঃখটাই বড়ো, কিন্তু আমদের সংকুচিত মস্তিস্ক এটা মেনে নিতে সবসময়ই নারাজ। কিন্তু আমরা কখনো একবারো কি ভেবে দেখি দুঃখটা যত বড়ো কিংবা ছোট-ই হোক না কেন যার দুঃখ তার সইবার ক্ষমতা কতোটুকু? না দেখিনা কারন তখন অতি সহজেই আমরা তাকে বলি “এত দুঃখ বিলাস ভালো না”। প্রিয়জনদের কাছে প্রশ্ন –“দুঃখ যাকে প্রতি মুহূর্তে গ্রাস করে তার কি দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা করার প্রয়োজন হয়?” জীবনে চলার পথ সবসময় কণ্টকময় হবে তা জরুরী নয়, এটাও জরুরী নয় যে পথ সবসময় এ মসৃণ হবে।

কার পথের গল্প কখন মোড় নেয় সেটা কি কেও আগে থেকেই নির্ধারণ করতে পারে? তবে ভাগ্য-বিধাতা কে?? কেনই তার চর্চা, কেনই বা তাতে বিশ্বাস?? মূর্খের মত প্রশ্নটা করলাম যার উত্তর যারা বিশ্বাস করে তাদের কারো কাছে নেই। কারন যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্য কন যুক্তির প্রয়োজন হয়না। সুতরাং এই প্রশ্নের উত্তর দেবার প্রয়োজন ও তাদের নেই। যখন মস্তিস্কে যুক্তি ফুরিয়ে যায় সম্ভবত তখনই প্রশ্রয় পায় আবেগ। আবেগ নিয়ে বেশি কিছু বলার দরকার হয়না।

কারন জীবনের বেশীর ভাগ সময় আমরা আবেগ দিয়ে পরিচালিত কিংবা প্রতারিত যাই বলিনা কেন আবেগই এখানে একচ্ছত্র অধিপতি। কিছু কিছু সময় আমরা এতটাই অসহায় বোধ করি তখন সান্ত্বনা গুলোকে মনে হয় ফরমালিন দেয়া কোন পন্য বিক্রির বৃথা চেষ্টা। কথাটা যদি একটু অন্যভাবে কাব্যরস মিলিয়ে লিখতাম আপনাদের পড়তে ভালো লাগতো কিন্তু আমাদের অবভস্ততার কথাটাও তো ভাবা দরকার। কি বলে, কি শুনে আমরা অভ্যস্ত...তাই না? এত কিছু বলার কারন টা হল যদি কারো দুঃখে দুঃখিত হতে না পারি কিংবা তাকে সহযোগিতা করতে না পারি অন্তত আমরা তাকে যেন বিভ্রান্ত কিংবা অশান্ত না করি। ।

যাই যাক যতটুকুই যাকনা কেন, যার যায় সেই বুঝে তার আবেগ আর তার পেছনের যুক্তি। তার আবেগ যদি আমাদের চোখের পাশ কাটিয়ে যায় কিংবা যুক্তি যদি আমাদের অলক্ষে অন্যত্র হারিয়ে যায় তবে এটা তার দোষ কি? কষ্টের এমন মুহূর্তে সে যদি তার আবেগ কিংবা যুক্তি দেখানোর পরিস্থিতিতে থাকতো তবে সে তো ভালই থাকতো। কষ্টে থাকতো না। প্রিয়জনদের কাছে প্রশ্ন- আমার কষ্ট কি তুমি আর তোমাদের না ভাবায় তবে তোমরা ভেবনা কিন্তু আমরা কষ্টকে নিলামে তুলছো কেন? আমার কষ্টের ভাগ না নিতে পার, নিওনা তবে আমার কষ্টকে কষ্ট দিচ্ছ কেন? তোমরা যদি ভাবো কষ্ট আমার সাময়িক বিলাসিতা, ভাবো...তবে আমার কষ্টের বিলাসিতায় তোমাদের কমদামি চেতনার বিস্তার ঘটাচ্ছ কেন? হ্যাঁ, আমি আবেগ কে প্রশ্রয় দিয়েছি, আবেগ কে প্রশ্রয় দেয়া যদি ভুল হয় তবে আমি ভুল করেছি, এই ভুল সবাই করে আমিও না-হয় করলাম ক্ষতি কি??? নিজের কাছে প্রশ্ন- কেন প্রিয়জন দের কাছে এত প্রশ্ন? কেনই বা তাদের অস্থির মনভাবনা কে আমি প্রশ্নবিদ্ধ করছি? আদৌ কি আমার কিংবা তাদের কিছু এসে যায়? প্রিয়জন দের তো যুক্তির মারপ্যাঁচে অনেক আগেই হারিয়েছি...আবেগের যুগে তারা সম্ভবত যাদুঘরে। যুক্তির যুগে যাদের হারিয়েছি আবগের যুগে তাদের প্রশ্ন করে আরও একবার বোকা সেজে কি লাভ? ঠিক এই মুহূর্তে নচিকেতার একটি গানের কয়েকটি লাইন খুব মনে পরছে- যখন এ মনে প্রশ্নের ঝর, ভেঙ্গে দেয় যুক্তির খেলাঘর তখন বাতাস অন্য কথাও শোনায় তার উত্তর।

। যখন আমার ক্লান্ত চরণ অবিরত বুকে রক্ত ক্ষরণ খুঁজে নিয়ে মন, নির্জন কোন কি আর করে তখন? স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন...স্বপ্ন দেখে মন। । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.