আমরা খুব সহজে বলি, কিন্তু করতে গিয়ে পিছলে পড়ি ! ঘুম থেকে জাইগা চোখ ঢলতে ঢলতে ফেস বুকে হান্দাইতেই ঝন ঝন শব্দ কইরা উঠল। পুরা দেয়াল জুড়ে হৃদয় ভাংগার টুকরা ছড়াইয়া ছিটাইয়া পইড়া রইছে, দূরে গিয়া মর কইয়া টিভি ছারলাম- সেখানেও দেখি খান খান শব্দ হয়। এমনিতে ঠান্ডা জনিত কারনে কানে সমস্যা তার মধ্যে আবার ভাংগা ভাংগির সুরে গাওয়া- “সুখের এই পৃথিবী, সুখের এই অভিনয়, যত আড়ালে রাখ, আসলে কেউ সুখি নয়” অচাম গান, বন্ধ করে দিলাম। চেনা পরিচিতজনরাও খালি ভাংগনের কাহিনী শোনায়, কেউ ভাইংগা সুখি, কেউ আবার ভাইংগা দুঃখি, চারিদিকে শুধু ভাংগনের শব্দ শুনি, হৃদয়ের ভাংগন। পৃথিবীতে দুঃখ নিয়ে বিলাসিতা আমরাই করি, দুঃখ আমাদের বাসর রাতের পালঙ্ক।
বাসর রাত ঠিকই হইবো কিন্তু পালঙ্ক কখনো ভাংবো না।
কেউ কেউ আবার দুঃখ ফেরি করে বেড়ায়, কারো কারো দুঃখ এতোই দামি তা তুলনা করা সম্ভব নয়- (আবেগ উথলিয়ে বলে) “আমার মতো দুঃখ যেন আর কারো না হয়”, কানার হাটবাজারের মতো- এক কানা কয় আরেক কানারে, চলো এবার ভবুগুরে ।
এই যে চারিদিকে এতো দুঃখ, হৃদয়ের ভাঙ্গন- এর পিছনে কি কারন? আল্লামা শফি বলছেন এর পিছনে দায়ী – তেঁতুল, তেঁতুল, তেঁতুল কিন্তু আমার মতে-তেঁতুল আপনি খান আর না খান, দুঃখ আপনার হবেই চিরকাল। তেঁতুলের মন বুঝতে পারেনি স্বয়ং ঈশ্বর, আমি কোন বালেশ্বর! আবার তেঁতুলের দুঃখও কিন্তু কোন অংশে নয় কম। একেক জনের দুঃখ একেক রকম, আপনার দুঃখের কারন আপনি বাইচ্ছা লন।
নইলে চলেন কবিতা পড়ি, দুঃখকে একটু দিয়ে ছুটি -
দৈর্য ধর্ মন, দৈর্য ধারন কর
দৈর্য্যে পাবি মুক্তি, দৈর্য্যে বাড়বে বল।
এইতো আর কয়টা দিন
ফুরোবে তোর দুর্দিন
অপার সুখের ভেলা
সাদা সাদা বকের মেলা, তাই-
দৈর্য ধর্ মন, দৈর্য ধারন কর
পাথর চেপে বুকে, থাকিস অবিচল ।
দৈন্যতার কষাঘাত
তুলে নেয়নি চামরা
বেঁধে ছালা পিঠে
থামেনি পথ চলা, তাই একটু –
দৈর্য ধর্ মন, দৈর্য ধারন কর
সূর্য উদয়ে বাকী, আছে অল্প ক্ষন।
প্লাটফর্মে থাক তৈরী হয়ে
চলে যা তুঁই স্বপ্ন পুরে
যেথায় স্বপ্ন ভেংগেনা তো
অনন্ত কাল ধরে, আর না
দৈর্য ধর্ মন, দৈর্য ধারন কর
উড়ে যা নীল আকাশে, ডানায় করে ভর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।