বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সালাত আদায়ের পদ্ধতি - পর্ব ১
ড. সায়িদ ইব্ন আলি ইব্ন ওহাফ আল-কাহতানি
অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা : ড. মো: আব্দুল কাদের
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে সালাত আদায় করেছেন ঠিক সেভাবে সালাত করাই সালাতের বিশুদ্ধ পদ্ধতি। মালেক ইব্ন হুয়াইরিস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
... صلوا كما رأيتموني أصلي.
“তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখ, সেভাবে সালাত আদায় কর”। [1] তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ন্যায় যে সালাত আদায় করতে চায়, তার উচিত এ পুস্তকে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে সালাত আদায় করা:
১. পরিপূর্ণরূপে অযু করা, যেরূপ আল্লাহ তা‘আলা তার বাণীতে নির্দেশ দিয়েছেন:
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا قُمۡتُمۡ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغۡسِلُواْ وُجُوهَكُمۡ وَأَيۡدِيَكُمۡ إِلَى ٱلۡمَرَافِقِ وَٱمۡسَحُواْ بِرُءُوسِكُمۡ وَأَرۡجُلَكُمۡ إِلَى ٱلۡكَعۡبَيۡنِۚ وَإِن كُنتُمۡ جُنُبٗا فَٱطَّهَّرُواْۚ وَإِن كُنتُم مَّرۡضَىٰٓ أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوۡ جَآءَ أَحَدٞ مِّنكُم مِّنَ ٱلۡغَآئِطِ أَوۡ لَٰمَسۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدٗا طَيِّبٗا فَٱمۡسَحُواْ بِوُجُوهِكُمۡ وَأَيۡدِيكُم مِّنۡهُۚ مَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيَجۡعَلَ عَلَيۡكُم مِّنۡ حَرَجٖ وَلَٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمۡ وَلِيُتِمَّ نِعۡمَتَهُۥ عَلَيۡكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ٦﴾ [سورة المائدة: 6]
“হে মুমিগণ, যখন তোমরা সালাতে দণ্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাকনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর।
সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিআমত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর”। [2]
আব্দুল্লাহ ইব্ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«لا تقبل صلاة بغير طهور، ولا صدقة من غلول»
“পবিত্রতা ব্যতীত সালাত কুবল করা হয় না, এবং খিয়ানতের সদকাও কবুল করা হয় না”। [3] অতএব, সালাত আরম্ভ করার পূর্বে প্রত্যেক মুসলিমের অবশ্য জরুরি পরিপূর্ণরূপে পবিত্রতা অর্জন করা।
২. কিবলার দিকে মুখ করে দাঁড়ানো, অর্থাৎ মক্কায় অবস্থিত পবিত্র কাবা ঘর সম্মুখে রেখে দাঁড়াবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿قَدۡ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجۡهِكَ فِي ٱلسَّمَآءِۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبۡلَةٗ تَرۡضَىٰهَاۚ فَوَلِّ وَجۡهَكَ شَطۡرَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِۚ وَحَيۡثُ مَا كُنتُمۡ فَوَلُّواْ وُجُوهَكُمۡ شَطۡرَهُۥۗ ١٤٤﴾[البقرة:144]
“আকাশের দিকে বার বার তোমার মুখ ফিরানো আমি অবশ্যই দেখছি। অতএব আমি অবশ্যই তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরাব, যা তুমি পছন্দ কর। সুতরাং তোমার চেহারা মসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকেই তোমাদের চেহারা ফিরাও। আর নিশ্চয় যারা কিতাবপ্রাপ্ত হয়েছে, তারা অবশ্যই জানে যে, তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য এবং তারা যা করে, সে ব্যাপারে আল্লাহ গাফিল নন”। [4]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, ভুল নিয়মে সালাত আদায়কারীর ঘটনায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«إذا قمت إلى الصلاة فأسبغ الوضوء ثم استقبل القبلة...».
“যখন তুমি সালাতের জন্য দণ্ডায়মান হও, পরিপূর্ণরূপে অযু কর অতঃপর কিবলা মুখী হও...”[5]
৩. সালাত আদায়কারী ইমাম বা মুনফারেদ যেই হোক, সামনে সুতরা রেখে দাঁড়াবে।
সুবরা ইব্ন মা‘বাদ জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“তীর বা বর্শা দিয়ে হলেও তোমাদের প্রত্যেকে যেন সালাতে সুতরা কায়েম করে”। [6] আবু জর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«إذا قام أحدُكم يصلي فإنه يستره إذا كان بين يديه مثل مؤخرة الرَّحل،فإذا لم يكن بين يديه مثل مؤخرة الرحل فإنه يقطع صلاته: الحمار، والمرأة، والكلب الأسود».
“যখন তোমাদের কেউ সালাত আদায়ের জন্য দণ্ডায়মান হয়, তখন তার সামনে উটের উপর আরোহী ব্যক্তির হেলান দেয়ার জন্য পিছনে রাখা ঠিকার ন্যায় কোন কিছু সুতরা হিসেবে রাখাই যথেষ্ট, কারণ যদি অনুরূপ ঠিকা না থাকে, তাহলে তার সালাত গাধা, নারী ও কালো কুকুর ভঙ্গ করে দিতে পারে”। [7] সুতরার কাছাকাছি দাঁড়াবে ও তার নিকটবর্তী হয়ে সালাত আদায় করবে। আবু সাইদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«إذا صلى أحدُكم فليصلِّ إلى سترةٍ، وليدنُ منها».
“তোমাদের কেউ যখন সালাত আদায় করে, সে যেন সুতরার দিকে ফিরে সালাত আদায় করে ও তার নিকটবর্তী হয়”। [8] সুতরা ও তার মাঝখানে একটি বকরি অতিক্রম করার জায়গা ফাঁকা রাখবে, অথবা সেজদার জায়গা পরিমাণ খালি রাখবে।
তিন হাতের অতিরিক্ত ফাঁকা রাখবে না। অনুরূপ দুই কাতারের মাঝেও এর বেশী ফাঁকা রাখবে না। সাহাল ইব্ন সা‘দ সায়েদি বর্ণনা করেন:
«كان بين مصلى رسول الله ﷺ وبين الجدار ممر الشاة».
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতের জায়গা ও দেয়ালের মাঝে একটি বকরি অতিক্রম করার পরিমাণ জায়গা ফাঁকা ছিল”। [9] যদি কেউ তার সামনে থেকে অতিক্রম করতে চায়, তাকে প্রতিহত ও প্রতিরোধ করবে, সে বিরত না হলে শক্তি দ্বারা তাকে প্রতিহত করবে। আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শোনেছি:
«إذا صلى أحدكم إلى شيء يستره من الناس، فأراد أحد أن يجتاز بين يديه فليدفعْه، فإن أبى فليقاتلْه؛ فإنما هو شيطان».
“কোন ব্যক্তি যখন সুতরাং নিয়ে সালাত আদায় করে, যে তাকে মানুষ থেকে আড়াল করে রাখে, অতঃপর কেউ যদি তার সামনে থেকে যেতে চায়, সে তাকে প্রতিহত করবে, সে বিরত না হলে তার সাথে যুদ্ধ করবে।
কারণ সে শয়তান”। [10] মুসলিমের অপর বর্ণনায় আছে, “কারণ তার সাথে শয়তান রয়েছে”। [11]
মুসল্লির সামনে দিয়ে যাওয়া বৈধ নয়। আবু জুহাইম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«لو يعلمُ المارُّ بين يدي المصلي ماذا عليه لكان أن يقف أربعين خيرًا له من أن يمرَّ بين يديه»
“মুসল্লির সামনে থেকে অতিক্রকারী ব্যক্তি যদি জানত, তার উপর কি পরিমাণ পাপ হচ্ছে, তাহলে সামনে দিয়ে যাওয়ার চেয়ে চল্লিশ পর্যন্ত অপেক্ষা করা তার জন্য উত্তম ছিল”। এ হাদিসের একজন বর্ণনাকারী আবু নাদর বলেন: আমার মনে নেই তিনি কি বলেছেন: চল্লিশ দিন, অথবা চল্লিশ মাস অথবা চল্লিশ বছর”।
[12]
ইমামের সুতরাং তার পিছনে অবস্থানরত সকলের সুতরাং হিসেবে যথেষ্ট। আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্বাসের হাদিসে রয়েছে, তিনি একটি মাদী গাধার পিঠে চড়ে আগমন করেন, তখন সবেমাত্র তিনি সাবালক হয়েছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজে মিনায় দাঁড়িয়ে দেয়াল ব্যতীত মানুষদের নিয়ে সালাত আদায় করতে ছিলেন, ইব্ন আব্বাস প্রথম কাতারের কতক মুসল্লির সামনে দিয়ে গাধার পিঠে আরোহণ অবস্থায় অতিক্রম করেন, অতঃপর গাধার পিঠ থেকে নেমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে অন্যদের সাথে কাতারে শামিল হয়ে সালাত আদায় করেন। তার এ আচরণকে কেউ তিরষ্কার বা অপছন্দ করেনি। [13] আমি আমাদের শায়খ ইব্ন বায রাহিমাহুল্লাহুকে বলতে শোনেছি:“এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইমামের সুতরাং মুক্তাতিদের সুতরাং হিসেবে গণ্য, অতএব ইমামের সামনে সুতরাং থাকলে মুক্তাতিদের সামনে দিয়ে অতিক্রম করা দোষণীয় নয়”। [14]
৪. দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবিরে তাহরিমা বলা।
মুসল্লি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য যে নফল অথবা ফরয সালাত আদায়ের ইচ্ছা করেছে, অন্তরে তার নিয়ত করবে ও মুখে الله أكبر “আল্লাহু আকবার” বলবে, এবং সেজদার জায়গায় দৃষ্টি রেখে হাতের আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে উভয় হাত কাঁধ অথবা কান পর্যন্ত হাত উঠাবে। কারণ ভুল পদ্ধতিতে সালাত আদায়কারীর হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: «إذا قمت إلى الصلاة فكبر»
“যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াও, তাকবির বল”। [15] আল্লাহ তাআলা বলেন: ﴿وَقُومُواْ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ ٢٣٨﴾[البقرة:238 ] “এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে”। [16]
ইমরান ইব্ন হাসিন রাদিয়াল্লাহু আনহুকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
« صلِّ قائمًا، فإن لم تستطعْ فقاعداً، فإن لم تستطع فعلى جَنْبٍ»
“দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কর, যদি না পাড় তবে বসে সালাত আদায় কর, যদি না পাড় তবে কাত শুয়ে সালাত আদায় কর”। [17] ওমর ইব্ন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: «إنما الأعمال بالنيات» “নিশ্চয় নিয়তের উপর আমল নির্ভরশীল”।
[18]
নিয়ত মুখে উচ্চারণ করবে না, কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবায়ে কেরাম নিয়ত মুখে উচ্চারণ করেননি। আব্দুল্লাহ ইব্ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সালাত আরম্ভ করার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাঁধ বরাবর উভয় হাত উঠাতেন, যখন তিনি রুকুর জন্য তাকবির বলতেন ও রুকু থেকে মাথা উঠাতেন অনুরূপ হাত উঠাতেন, তবে সেজদা থেকে মাথা উঠানোর সময় তিনি অনুরূপ করতেন না। অন্য বর্ণনায় আছে:
« وإذا قام من الركعتين رفع يديه»
“যখন তিনি দু’রাকাত পূর্ণ করে উঠতেন, উভয় হাত উঠাতেন”। [19]
মালিক ইব্ন হুয়াইরিস রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদিসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকবির বলতেন, তখন তিনি উভয় কান বরাবর হাত উঠাতেন, যখন তিনি রুকু করতেন তখনও তিনি উভয় কান বরারব হাত উঠাতেন, রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে তিনি বলতেন: «سمع الله لمن حمده মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে: «حتى يحاذي بهما فروع أذنيه “তিনি উভয় হাত দু’ কানের লতি বরাবর করেছেন”। [20]
কখন উভয় হাত কান বা কাঁধ পর্যন্ত উঠানো হবে এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদিসগুলো তিন প্রকার:
প্রথম প্রকার: এ প্রকার হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগে হাত উঠিয়ে তাকবির বলেছেন।
ইব্ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
«كان رسول الله ﷺ إذا قام للصلاة رفع يديه حتى تكونا حذو منكبيه، ثم كبر»
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন, উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠাতেন অতঃপর তাকবির বলতেন”। [21] আবু হুমাইদ সায়েদি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
«كان رسول الله ﷺ إذا قام إلى الصلاة يرفع يديه حتى يُحاذيَ بهما منكبيه ثم يُكبِّر»
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন, তখন তিনি উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন, অতঃপর তাকবির বলতেন”। [22]
দ্বিতীয় প্রকার: এ প্রকারের হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবির বলার পর হাত উঠাতেন। আবু কালাবা থেকে বর্ণিত, তিনি মালেক ইব্ন হুয়াইরিসকে দেখেছেন, তিনি সালাত আদায়ের সময় তাকবির বলে অতঃপর উভয় হাত উঠাতেন... তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপ করতেন”। [23]
তৃতীয় প্রকার: এ প্রকারের হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, তিনি তাকবিরের সাথে হাত উঠিয়েছেন, তাকবির শেষ হাত উঠানোও শেষ।
আব্দুল্লাহ ইব্ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাতে তাকবির আরম্ভ করতে দেখেছি, তিনি তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠিয়েছেন”। [24]
অতএব যে ব্যক্তি এসব পদ্ধতির যে কোন একটির অনুসরণ করল, সে সুন্নতের উপর আমল করল। [25]
আর সেজদার জায়গায় দৃষ্টি রাখা, মাথা ঝুকিয়ে রাখা ও যমীনে দৃষ্টি নিক্ষেপ করার প্রমাণ হচ্ছে বায়হাকি ও হাকেম বর্ণিত হাদিস, যার স্বপক্ষে রাসূলের দশজন সাহাবি থেকে বর্ণিত হাদিস রয়েছে। [26]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«لينتهين أقوام يرفعون أبصارهم إلى السماء في صلاتهم، أو لتُخْطَفَنَّ أبصارُهم».
“যারা তাদের সালাতে আসমানের দিকে দৃষ্টি উঠায়, তারা অবশ্যই বিরত থাকবে, অথব তাদের দৃষ্টি হরণ করা হবে”। [27]
৫. উভয় হাত নিচে নামিয়ে বুকের উপর ডান হাত বাম হাতের পিঠ-কব্জি-বাহুর উপর রাখা।
ওয়ায়েল ইব্ন হুজর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সালাত আদায় করেছি, তিনি বুকের উপর বাম হাতের উপরে ডান হাত রেখেছেন”। [28] এ হাদিস রুকু থেকে উঠার পর দাঁড়ানো অবস্থাকেও শামিল করে। কারণ ওয়ায়েল ইব্ন হুজরের হাদিসের অপর শব্দে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি: “যখন তিনি সালাতে দণ্ডায়মান থাকতেন, ডান হাত দ্বারা বাম হাত পাকড়াও করতেন”। [29] এ হাদিসে ডান হাত দ্বারা বাম হাত পাকড়াও করা রয়েছে। অন্যান্য হাদিসে বুকের উপর ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা রয়েছে।
ইব্ন উসাইমিন রহিমাহুল্লাহ বলেন: “এ দু’ অবস্থায় বৈধ: প্রথমত ডান হাত দ্বারা বাম হাত পাকড়াও করা। দ্বিতীয়ত ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা”। [30] সাহাল ইব্ন সাদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “মানুষদেরকে বলা হত, পুরুষ যেন সালাতে তার ডান হাত বাম হাতের বাহুর উপর রাখে”। আবু হাযেম বলেন: এখান থেকে আমি নিশ্চিত যে, এটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ ছিল”। [31] আল্লামা ইব্ন বাজ রাহিমাহুল্লাহকে বলতে শোনেছি: “হতে পারে এটা আরেক প্রকার, আবার হতে পারে এর উদ্দেশ্য ওয়ায়েলের হাদিস অনুরূপ”।
[32]
৬. সালাত শুরু করার দোয়া দ্বারা সালাত আরম্ভ করা। সালাত শুরু করার অনেক দোয়া রয়েছে, সেখান থেকে যে কোন একটি দোয়া পড়া, তবে একাধিক দোয়া একসাথে না পড়া, বরং এক এক সময় এক এক দোয়া পড়া। সালাত আরম্ভ করার কতক দো‘আ:
এক. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবির বলে কিরাত আরম্ভ করার আগে কিছু সময় চুপ থাকতেন। আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর উৎসর্গ! আপনি তাকবির ও কিরাতের মধ্যবর্তী সময়ে চুপ থেকে কি বলেন? তিনি বললেন: “আমি বলি:
اللهم باعِدْ بيني وبين خَطايايَ كما باعَدْتَ بين المشرق والمغرب، اللهم نَقِّني من خَطايايَ كما يُنقَّى الثوبُ الأبيضُ من الدَّنس، اللهم اغْسلْني من خَطايايَ بالثلج والماء والبَرَدِ».
“হে আল্লাহ তুমি আমার ও আমার পাপের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি কর, যেমন দূরত্ব সৃষ্টি করে দিয়েছ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ তুমি আমাকে আমার পাপ থেকে পবিত্র কর, যেমন পবিত্র করা হয় সাদা কাপড় ময়লা থেকে।
হে আল্লাহ আমাকে আমার পাপ থেকে ধৌত কর বরফ, পানি ও ডাণ্ডা দ্বারা”। [33]
দুই. সালাত আদায়কারী ইচ্ছা করলে নিম্নের দোয়াও পড়তে পারে:
«سبحانك اللهم وبحمدك، وتبارك اسمك، وتعالى جدُّك، ولا إلهَ غيرُك» .
“হে আল্লাহ তোমার পবিত্রতা ও প্রশংসার মাধ্যমে তোমার তাসবিহ পাঠ করছি, তোমার নাম বরকতময়, তোমার সম্মান সুমহান, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই”। [34]
তিন. সালাত আদায়কারী ইচ্ছা করলে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত দোয়াও পড়তে পারে, আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন, বলতেন:
«وجهت وجهي للذي فطر السموات والأرض حنيفًا مسلمًا وما أنا من المشركين، إن صلاتي ونُسُكي، ومحياي، ومماتي لله رب العالمين، لا شريك له وبذلك أمرت وأنا من المسلمين، اللهم أنت الملك لا إله إلا أنت، أنت ربي وأنا عبدك، ظلمت نفسي واعترفت بذنبي فاغفر لي ذنوبي جميعًا، إنه لا يغفر الذنوب إلا أنت، واهدني لأحسن الأخلاق لا يهدي لأحسنها إلا أنت، واصرف عني سيئها لا يصرف عني سيئها إلا أنت، لبيك، وسعديك، والخير كله بيديك، والشر ليس إليك، أنا بك وإليك، تباركت وتعاليت، أستغفرك وأتوب إليك».
“আমি একনিষ্ঠভাবে আত্মসমর্পণ করলাম মহান আল্লাহর পানে, যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, আমি মুশিরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয়। নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ একমাত্র দু’জাহানের পালনকর্তা আল্লাহ তাআলার জন্য নিবেদিত, তার কোন শরিক নেই, আমাকে এরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত। হে আল্লাহ তুমিই মালিক, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তুমি আমার রব, আমি তোমার বান্দা, আমি আমার নফসের উপর যুলম করেছি, আমি আমার অপরাধ স্বীকার করছি, অতএব, আমার সকল পাপ মোচন কর।
নিশ্চয় তুমি ব্যতীত কেউ পাপ মোচন করতে সক্ষম নয়। আমাকে উত্তম আদর্শের দীক্ষা দান কর, যার দীক্ষা একমাত্র তুমি ব্যতীত কেউ দিতে সক্ষম নয়। তুমি আমার নিকট থেকে বদ আখলাক দূরীভূত কর, তুমি ব্যতীত কেউ তা দূরীভূত করতে সক্ষম নয়। আমি তোমার দরবারে হাজির, তুমি কল্যাণময়, সকল কল্যাণ তোমার হাতে, অকল্যাণ তোমার পক্ষ থেকে নয়, আমি তোমার উপর সোপর্দ এবং তোমার নিকটই প্রত্যাবর্তন করব। তুমি বরকতময় ও মহান।
আমি তোমার নিকট ইস্তেগফার করছি এবং তোমার নিকটই তাওবা করছি”। [35] সালাত আদায়কারী এ ছাড়া আরো অন্যান্য দোয়া পড়তে পারেন, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। [36]
৭. অতঃপর সালাত আদায়কারী বলবে: «أعوذ بالله من الشيطان الرجيم» কারণ আল্লাহ তাআলা বলেন:
﴿َإِذَا قَرَأۡتَ ٱلۡقُرۡءَانَ فَٱسۡتَعِذۡ بِٱللَّهِ مِنَ ٱلشَّيۡطَٰنِ ٱلرَّجِيمِ ٩٨﴾[النحل:98 ]
“সুতরাং যখন তুমি কুরআন পড়বে আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান হতে পানাহ চাও”। [37] অথবা বলবে:
«أعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم، من همزه، ونفخه، ونفثه».
“আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাই, তার আছর থেকে, তার অহঙ্কার থেকে ও তার খারাপ অনুভূতি থেকে”। [38]
৮. আস্তে بسم الله الرحمن الرحيم বলা।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবুবকর, ওমর ও উসমানের পিছনে সালাত আদায় করেছি, তাদের কেউ বিসমিল্লাহ জোরে বলেননি”। [39] বিসমিল্লাহ একটি সম্পূর্ণ আয়াত। [40]
৯. সূরা ফাতেহা তিলাওয়াত করা:
﴿ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ١ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ٢ مَٰلِكِ يَوۡمِ ٱلدِّينِ٣ إِيَّاكَ نَعۡبُدُ وَإِيَّاكَ نَسۡتَعِينُ٤ هۡدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلۡمُسۡتَقِيمَ٥ صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمۡتَ عَلَيۡهِمۡ٦ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ٧﴾[الفاتحة:1-7 ]
কারণ, উবাদা ইব্ন সাবেদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«لا صلاة لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب».
“যে ফাতেহা পড়ল না, তার কোন সালাত নেই”। [41]
প্রত্যেক মুসল্লির সূরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব, জেহরি বা সিররি উভয় সালাতের মুক্তাদিগণ এ নিদের্শের অন্তর্ভুক্ত। কারণ উবাদা থেকে বর্ণিত পূর্বের মারফূ হাদিসে রয়েছে:
«لعلكم تقرؤون خلف إمامكم»
“হয়তো তোমরা ইমামের পিছনে তিলাওয়াত কর”।
আমরা বললাম: হ্যাঁ, দ্রুত পড়ি হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন:
«لا تفعلوا إلا بفاتحة الكتاب؛ فإنه لا صلاةَ لمن لم يقرأْ بها».
“ফাতেহা ব্যতীত অন্য কিছু পড় না, কারণ যে ফাতেহা পড়বে না তার কোন সালাত নেই”। [42]
মুহাম্মদ ইব্ন আবি আয়েশা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জনৈক সাহাবি থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«لعلكم تقرؤون والإمام يقرأ»؟
“খুব সম্ভব ইমামের তিলাওয়াত করার সময় তোমরাও তিলাওয়াত কর”। তারা বলল: আমরা এরূপ করি। তিনি বললেন:
«لا، إلا أن يقرأ أحدكم بفاتحة الكتاب»
“এরূপ কর না, তবে তোমাদের কেউ ফাতেহা পড়লে ভিন্ন কথা”।
[43]
তবে যে মসবুক ইমামকে রুকু অবস্থায় পায় তার থেকে ফাতেহা পড়ার আবশ্যকতা উঠে যাবে। কারণ আবু বকরার হাদিসে রয়েছে, তিনি যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পৌছেন, তখন তিনি রুকু অবস্থায় ছিলেন, আবু বকরা কাতারে শামিল না হয়েই রুকু করেন, এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললে, তিনি বলেন: “আল্লাহ তোমার আগ্রহ বাড়িয়ে দিন, তবে এরূপ কখনো কর না”। [44] এখানে লক্ষ্য করছি, সে যে রাকাতের রুকু পেয়েছে, সে রাকাতের কিরাত তাকে কাজা করার নির্দেশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেননি, যদি কিরাতবিহীন সে রাকা‘ত অশুদ্ধ হত, তবে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ তাকে পুনরায় তা আদায় করার নির্দেশ দিতেন।
মুক্তাদিরা যদি ভুলে যায় অথবা না জানে, তাহলে তাদের থেকে সূরা ফাতেহা পড়ার আবশ্যকতা রহিত হয়ে যাবে।
১০. সূরা ফাতেহার শেষে বলবে: آمين ‘আমীন’ যদি জেহরি সালাত হয় জোরে, আর সিররি সালাত হলে আস্তে বলব।
‘আমীন’ এর অর্থ হচ্ছে: হে আল্লাহ কবুল কর। কারণ আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতেহা শেষ করে উচ্চ স্বরে আমীন বলতেন”। [45] তার থেকে আরেকটি হাদিসে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ইমাম যখন আমীন বলে, তোমরাও আমীন বল, কারণ যার আমীন ফেরেশতাদের আমীনের সাথে মিলে যাবে, তার পূর্বের সকল পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে”। [46] তার থেকে আরো বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ইমাম যখন বলে, ﴿ غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ ﴾ তোমরা বল آمين। কারণ যার আমীন ফেরেশতাদের আমীনের সাথে মিলে যাবে, তার পূর্বের পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে”।
[47] যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহা পড়তে অক্ষম, সে কুরআনের অন্য কোথাও থেকে তিলাওয়াত করবে। যদি কুরআনের কিছুই না জানে, তাহলে বলবে:
سبحان الله، والحمد لله، ولا إله إلا الله، والله أكبر، ولا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم».
কারণ আব্দুল্লাহ ইব্ন আবু আওফা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলে: আমি কুরআনের কোন অংশ গ্রহণ করতে সক্ষম নই, অতএব আমাকে তার পরিবর্তে অন্য কিছু শিক্ষা দিন, তিনি বললেন: “তুমি বল[48]:
سبحان الله، والحمد لله، ولا إله إلا الله، والله أكبر، ولا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم».
--------------------------------------------------------------------------------
[1] বুখারি, কিতাবুল আযান: (৬৩১)
[2] সূরা মায়েদা: (৬)
[3] মুসলিম: (২২৪)
[4] সূরা বাকারা: (১৪৪)
[5] বুখারি: (৭৯৩), মুসলিম: (৩৯৭)
[6] হাকেম: (১/২৫২), তাবরানি ফিল কাবির: (৭/১১৪), হাদিস নং: (৬৫৩৯), আহমদ: (৩/৪০৪), “মাজমাউজ জাওয়াদে” লিল হায়সামি: (২/৫৮)
[7] মুসলিম: (৫১০)
[8] আবু দাউদ: (৬৯৮), আলবানী সহিহ আবু দাউদে (১/১৩৫) বলেন, হাদিসটি হাসান ও সহিহ। লেখক বলেন: আমি শোনেছি শায়খ ইব্ন বাজ রাহিমাহুল্লাহ ‘বুলুগুল মারাম’ এর (২৪৪) নং হাদিসের টিকায় বলেন: “এ হাদিসের সনদ খুবই সুন্দর, এ হাদিস দ্বারা সুতরা ও তার নিকটবর্তী হয়ে সালাত আদায়ের গুরুত্ব প্রমাণি হয়”।
[9] বুখারি: (৪৯৬), মুসলিম: (৫০৮), “সুবুলুস সালাম” লি সানআনি : (২/১৪৫)
[10] বুখারি: (৫০৯), মুসলিম: (৫০৫)
[11] মুসলিম: (৫০৬), লেখক বলেন: আল্লামা ইব্ন বাজকে আমি “বুলুগুল মারাম” এর (২৪৮) নং হাদিসের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: “এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যখন কোন ব্যক্তি মুসল্লি ও তার সুতরার মধ্য দিয়ে যেতে চায়, তখন মুসল্লির জন্য বৈধ রয়েছে তাকে প্রতিহত করা। অন্যান্য হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, মুসল্লি তার সামনে দিয়ে অতিক্রমকারীকে বাঁধা দিবে, তার সামনে সুতরাং থাক বা না থাক, তবে দূর দিয়ে অতিক্রম করলে ভিন্ন কথা।
আর অতিক্রমকারীকে সহজতর পদ্ধতি দ্বারা প্রতিরোধ করবে, যেমন উটের বাচ্চাকে প্রতিরোধ করা হয়”।
[12] বুখারি: (৫১০), মুসলিম: (৫০৭)
[13] বুখারি: (৪৯৩), মুসলিম: (৫১৪)
[14] বুখারির (৪৯৩) নং হাদিসের ব্যাখ্যায় রিয়াদে অবস্থিত ‘জামে সারা’য় ১০/০৬/১৪১৯হি. তারিখে আমি তার এ বক্তব্য শ্রবণ করি।
[15] বুখারি: (৭৯৩), মুসলিম: (৩৯৭)
[16] সূরা বাকারা: (২৩৮)
[17] বুখারি: (১১১৭)
[18] বুখারি: (১), মুসলিম: (১৯০৭)
[19] বুখারি: (৭৩৫) ও (৭৩৯), মুসলিম: (৩৯০)
[20] বুখারি: (৭৩৭), মুসলিম: (৩৯১)
[21] মুসলিম: (৩৯০)
[22] বুখারি: (৭৩৭), মুসলিম: (৩৯১)
[23] বুখারি: (৭৩৭), মুসলিম: (৩৯১)
[24] বুখারি: (৭৩৮), মুসলিম: (৩৯০)
[25] দেখুন: ফাতহুল বারি লি ইব্ন হাজার: (২/৩২৮), সুবুলুস সালাম: (২/২১৭)
[26] সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকি: (২/২৮৩), (৫/১৫৮), হাকেম: (১/৪৭৯), হাকেম হাদিসটি সহিহ বলেছেন এবং জাহাবি তার সমর্থন করেছেন। আহমদ: (২/২৯৩), আলবানী তার “সিফাতুস সালাত” গ্রন্থে অনুরূপ হাদিসকে সহিহ বলেছেন।
[27] মুসলিম: (৪২৯)
[28] সহিহ ইব্ন খুজাইমাহ: (১/২৪৩), হাদিস নং: (৪৭৯), লেখক বলেন: আমি আল্লামা ইব্ন বাজ রহ.কে বুলুগুল মারামের (২৯৩) নং হাদিসের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: “ইমাম আহমদও কুবাইসা সূত্রে তার পিতার সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উভয় হাত বুকের উপর রাখতেন, এ হাদিসের সনদ হাসান”।
[29] নাসায়ি: (৮৮৭), আলবানী সুনানে নাসায়িতে হাদিসটি সহিহ বলেছেন: (১/১৯৩)
[30] “শারহুল মুমতি”: (৩/৪৪)
[31] বুখারি: (৭৪০)
[32] বুলুগুল মারামের (২৯৩) নং হাদিসের ব্যাখ্যার সময় আমি এ কথা শোনেছি।
[33] বুখারি: (৭৪৩), মুসলিম: (৫৯৮)
[34] মুসলিম: (৩৯৯), মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক: (২৫৫৫-২৫৫৭), ইব্ন আবি শায়বাহ: (১/২৩০), (২/৫৩৬), ইব্ন খুজাইমাহ: (৪৭১), হাকেম: (১/২৩৫), হাকেম হাদিসটি সহিহ বলেছেন এবং ইমাম জাহাবি তার সমর্থন করেছেন। ইব্ন তাইমিয়া বলেন: “ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এ দোয়াটি উচ্চস্বরে পড়ে মানুষদের শিক্ষা দিতেন। যদি এটা স্বীকৃত সুন্নত না হত, তিনি তা করতেন না, অন্যান্য মুসলিমরাও তা মেনে নিতেন না”। দেখুন: কায়েদা ফিল ইস্তেফতাহ: (পৃ.৩১), যাদুল মায়াদ লি ইব্ন কাইয়িম: (১/২০২-২০৬), ইমাম আহমদ দশটি কারণে সালাতের শুরুতে ওমর থেকে বর্ণিত হাদিসটি গ্রহণ করেছেন।
দেখুন: যাদুল মা‘য়াদ: (১/২০৫), লেখক বলেন: আমি ইমাম আব্দুল আযিয ইব্ন বায রহ.কে “রাওজুল মুরবি” (২/২৩) গ্রন্থের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: “এ হাদিসটি এক দল সাহাবি থেকে বর্ণিত”। আমি (লেখক) বলছি: এ হাদিসটি আবু বকর, ওমর, উসমান, আয়েশা, আনাস, আবু সাঈদ ও আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ বর্ণনা করেছেন, এ দো‘আর মাধ্যমে ওমর, আবু বকর ও উসমান তাদের সালাত আরম্ভ করতেন। দেখুন: আল-মুনতাকা মা’আ নাইলুল আওতার”: (১/৭৫৬)
[35] মুসলিম: (৭৭১)
[36] ইব্ন তাইমিয়া রহ. “কায়েদাহ ফি আনওয়ায়িল ইস্তেফতাহ” (পৃ.৩১) গ্রন্থে উল্লেখ করেন: সালাত আরম্ভ করার দোয়া «سبحانك اللهم বা «وجهت وجهي বা এ ধরণের অন্য কোন দোয়ার সাথে খাস নয়, বরং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্নিত যে কোন দোয়ার মাধ্যমেই সালাত আরম্ভ করা যায়, তবে কোনটি পড়া বেশী উত্তম এটা প্রমাণিত হয় অন্য দলিলের ভিত্তিতে। আমি (লেখক) আল্লামা আব্দুল আযীয ইব্ন বায রহ.কে “বুলুগুল মারাম” এর (২৮৭) নং হাদিসের ব্যাখ্যায় বলতে শোনেছি: “সালাত আরম্ভ করার একটি দোয়াই যথেষ্ট, একাধিক দোয়া এক সাথে পড়বে না, নফল সালাতে যে দোয়া পড়া বৈধ, ফরজ সালাতেও তা পড়া বৈধ, তবে যেসব দোয়া লম্বা তা রাতের সালাতে পড়াই উত্তম”। আমরা এখানে সালাত আরম্ভ করার আরো কিছু দোয়া উল্লেখ করছি:
চার. আব্দুর রহমান ইব্ন আউফ বলেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করি, কোন দোয়ার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত আরম্ভ করতেন? তিনি বলেন: তিনি যখন রাতে সালাতের জন্য উঠতেন, তখন তিনি নিম্নের দোয়া দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেন:
«اللهم ربَّ جبرائيل وميكائيل وإسرافيل،فاطر السموات والأرض، عالم الغيب والشهادة، أنت تحكم بين عبادك فيما كانوا فيه يختلفون، اهدني لما اختلف فيه من الحق بإذنك إنك تهدي من تشاء إلى صراط مستقيم».
“হে আল্লাহ তুমি জিবরাঈল, মিকাঈল ও ইসলাফিলের রব, আসমান ও যমীন সৃষ্টিকারী, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, তুমিই বান্দাদের বিতর্কিত বিষয়ে ফয়সালা প্রদানকারী।
মানুষের বিতর্কিত বিষয়ে তুমি আমাকে সঠিক পথের দিশা দান করুন, নিশ্চয় তুমি যাকে ইচ্ছা কর সঠিক পথের দিশা প্রদান কর”। মুসলিম: (৭৭১)
পাঁচ. আনাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি সালাতের কাতারে অনুপ্রবেশ করে, যখন নিশ্বাস তাকে কাবু করে ফেলেছিল, সে বলে:
«الحمد لله حمدًا كثيرًا طيبًا مباركًا فيه»
“আল্লাহর জন্য অধিক, পবিত্র ও বরকতময় প্রশংসা”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “আমি দেখেছি বারো জন ফেরেশতা এর সাওয়াব উঠিয়ে নেয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করছে”। মুসলিম: (৬০০)
ছয়. ইব্ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাথে সালাত আদায় করতেছিলাম, আমাদের থেকে একজন বলল:
«الله أكبر كبيرًا، والحمد لله كثيرًا، وسبحان الله بكرة وأصيلاً»
“আল্লাহ মহান, তার জন্য অগণিত প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যায় তারই পবিত্রতা”। : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “এ দো‘আ শোনে আমি আশ্চর্য হলাম, এর জন্য আসমানের দ্বার খুলে দেয়া হয়েছে”।
: (৬০১)
সাত. আসেম ইব্ন হুমাইদ বলেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাত কিসের মাধ্যমে আরম্ভ করতেন? তিনি বলেন: তুমি আমাকে এমন একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছ, যার সম্পর্কে তোমার পূর্বে কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি, তার অভ্যাস ছিল দাঁড়িয়ে, “দশবার তাকবির বলতেন, দশবার তাহমিদ তথা আল-হাদুল্লিাহ বলতেন, দশবার তাসবিহ তথা সুবহানাল্লাহ বলতেন, দশবার তাহলিল তথা লাইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার বলতেন, দশবার ইস্তেগফার বলতেন, অতঃপর বলতেন:
اللهم اغفر لي، واهدني، وارزقني، وعافني، أعوذ بالله من ضيق المقام يوم القيامة».
“হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর, আমাকে হিদায়াত কর, আমাকে রিযক দান কর, আমাকে আফিয়াত তথা নিরাপত্তা দান কর, আমি আল্লাহর নিকট কিয়ামতের দিন সংকীর্ণতা থেকে পানাহ চাচ্ছি”। আবু দাউদ: (৭৬৬), নাসায়ি: (১৬১৭), আহমদ: (৬/১৪৩), এ হাদিসটি আলবানী “সিফাতুস সালাত” (৮৯) ও “সহিহ আবু দাউদে” (১/১৪৬) সহিহ বলেছেন।
আট. ইব্ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুতের জন্য উঠে বলতেন:
«اللهم لك الحمد، أنت نور السموات والأرض ومن فيهن، ولك الحمد أنت قيِّم السموات والأرض ومن فيهن [ولك الحمد أنت رب السموات والأرض ومن فيهن] [ولك الحمد لك ملك السموات والأرض ومن فيهن] [ولك الحمد أنت ملك السموات والأرض] [ولك الحمد] [أنت الحقُّ، ووعدك الحق، وقولك الحق، ولقاؤك الحق، والجنة حق، والنار حق، والنبيون حق، ومحمد ﷺ حق، والساعة حق] [اللهم لك أسلمت، وعليك توكلت، وبك آمنت، وإليك أنبت، وبك خاصمت، وإليك حاكمت، فاغفر لي ما قدَّمتُ، وما أخَّرْتُ، وما أسررْتُ، وما أعلنتُ] [أنت المقدِّم، وأنت المؤخِّر، لا إله إلا أنت] [أنت إلهي لا إله إلا أنت]،
“হে আল্লাহ সকল প্রশংসা তোমার জন্য, তুমি আসমান-যমীন ও উভয়ের মধ্যবর্তী নূর, তোমার জন্যই সকল প্রশংসা, তুমি আসমান-যমীন ও উভয়ের মধ্যে বিদ্যমান সকল বস্তুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণকারী, তোমার জন্য সকল প্রশংসা, তুমি আসমান-যমীন ও উভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর মালিক, তোমার জন্য সকল প্রশংসা, তুমি আসমান ও যমীনের প্রভু, তোমার জন্য সকল প্রশংসা, তুমিই সত্য, তোমার ওয়াদা সত্য, তোমার কথা সত্য, তোমার সাক্ষাত সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মদ সত্য, কিয়ামত সত্য, হে আল্লাহ তোমার নিকট আত্ম সমর্পণ করলাম, তোমার উপর তাওয়াক্কুল করলাম, তোমার উপরই ঈমান আনয়ন করলাম, তোমার দিকেই মনোনিবেশ করলাম, তোমার মাধ্যমেই আমি তর্ক করি এবং তোমার নিকটই আমি ফয়সালা চাই, অতএব তুমি আমার অগ্র-পশ্চাৎ, দৃশ্য ও অদৃশ্য সকল পাপ মোচন কর, তুমিই আদি এবং তুমিই অন্ত। তুমি আমার ইলাহ, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই”। বুখারি: (৬৩১৭), (৭৩৮৫), (৭৪৪২), (৭৪৯৯), মুসলিম: (৭৬৯), আরো দো‘আর জন্য দেখুন: “যাদুল মা‘য়াদ”: (১/২০২-২০৭)
[37] সূরা নাহল: (৯৮)
[38] আহমদ: (৩/৫০), আবু দাউদ: (৭৭৫), তিরমিযি: (২৪২) ইত্যাদি।
[39] আহমদ: (৩/২৬৪), নাসায়ি: (৯০৭), ইব্ন খুজাইমাহ: (১/২৪৯), হাদিস নং: (৪৯৫), আলবানী “সহিহ নাসায়িতে”: (১/১৯৭) হাদিসটি সহিহ বলেছেন।
[40] লেখক বলেন : আমি আব্দুল আযিয ইব্ন বাজ রহ.কে “বুলুগুল মারাম” গ্রন্থের (২৯৭-৩০০) নং হাদিসের ব্যাখ্যা প্রদানের সময় বলতে শোনেছি: “বিসমিল্লাহ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আয়াত, এটা ফাতেহা কিংবা অন্য কোন সূরার অংশ নয়, দুই সূ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।