আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিন্দু যুবক কর্তৃক মুসলিম কিশোরীকে নির্যাতনের নিন্দা

অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এ ধরনের কাজ করার দুঃসাহস বেড়ে যাচ্ছে মুসলিম কিশোরীকে অপহরণ করে হিন্দু যুবক কর্তৃক পাশবিক নির্যাতন চালানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম। তারা বলেন, আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের কতিপয় কুলাঙ্গার একটার পর একটা অঘটন ঘটিয়ে যাচ্ছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়ায় এ ধরনের কাজ করার দুঃশাহস বেড়ে যাচ্ছে। অবিলম্ব তারা সমীর গং এর গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানান। বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম : মুসলিম এক কিশোরীকে অপহরণ করে ১৩ দিন ধরে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে হিন্দু যুবক সমীর গং।

এ বর্বরতার নিন্দা করার ভাষা আমাদের নেই। আমরা শুধু এতটুকু বলবো, শতকরা নববই ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। এ দেশে মধ্যযুগীয় কায়দায় যে বর্বরতার শিকার মুসলিম কিশোরী, যারা তার সতীত্ব হরণ করলো এ কুলাঙ্গারদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামবৃন্দ। বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের কতিপয় কুলাঙ্গার একটার পর একটা অঘটন ঘটিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়ায় এহেন কাজ করতে দুঃসাহস বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে সম্প্রদায়-সম্প্রীতি বিনষ্ট করবে।

অদূর ভবিষ্যতে এ অন্যায়ের দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকারকেই বহন করতে হবে। তাই আমরা আবারও দাবি করছি ঢাকার জুরাইন এলাকার নরসুন্দর সমীর, শুভসহ যে ৪/৫ জন যুবক মুসলিম কিশোরীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় ধর্ষণ ও অপহরণ করলো তাদের শাস্তি প্রদান করে মুসলিম জাতিকে শান্ত করুন। অন্যথায় এ ব্যাপারে তৌহিদী জনতা তাদের ঈমানী দায়িত্ব পালনে রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মুফতি মাওলানা আব্দুর রহমান, মুফতি মাওলানা ফয়জুল্লাহ, মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান, মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল জববার, মুফতি মাওলানা নুর হুসাইন, মাওলানা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমিন, মাওলানা মুহাম্মদ শাহ আলম, মাওলানা মুহাম্মদ হাফিজুদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ সাবিবর আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদ উল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মদ নবী হোসেন, মাওলানা মুহাম্মদ মুজাহিদ, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মাওলানা মুহাম্মদ জিয়ায়ুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ ইব্রাহিম, মাওলানা মুহাম্মদ জহিরুল হক প্রমুখ। জাতীয় ফতোয়া বোর্ড : বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ।

এ দেশে সব ধর্মের লোক একত্রে বসবাস করে বিশ্বের মধ্যে সম্প্রীতির নমুনা স্থাপন করেছেন। এ সুযোগের যারা অপব্যবহার করে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। এ শত্রু কুলাঙ্গারগণ হলো সমীর, শুভসহ ৪/৫ জন হিন্দু যুবক খোদ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইনে মুসলিম কিশোরীকে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে তীব্র ঘৃণা, ক্ষোভ ও জোর প্রতিবাদ করছি। অনতিবিলম্বে শুধু গ্রেফতার নয় দ্রুত বিচার আইনে সোপর্দ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয় ফতোয়া বোর্ড নেতৃবৃন্দ।

জাতীয় ফতোয়া বোর্ড নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শ হলো যার যার ধর্ম পালন করবে জোরজবরদস্তি নেই। অথচ এ সরলতার কারণে সমীরগং যে কুকীর্তি চালিয়ে দিল এটা এদেশের তৌহিদী জনতা কোন অবস্থাই মেনে নিতে পারে না। তাই নেতৃবৃন্দের দাবি এ নরপশুদের শাস্তি দিলে আর নব্য নরপশু এ ধরনের অন্যায় করতে দুঃসাহস পাবে না। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন : প্রফেসর মুফতি ড. মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী, ড. ইয়াহইয়ার রহমান, মুফতি মাওলানা নূর হুসাইন আল কাশেমী, মুফতি ড. মাওলানা খলিুর রহমান মাদানী, মুফতি মাওলানা আবুল বাশার, মুফতি মাওলানা শাহ আরিফ বিল্লাহ, মুফতি মাওলানা ডা. এম আব্দুল কাইয়ুম আল আযহারী, অধ্যাপক মুফতি মাওলানা আ.ন.ম. রফীকুর রহমান মাদানী, মুফতি ড. সিকান্দার আলী মাদানী, মুফতি ড. তরিকুল ইসলাম মাদানী, মুফতি মাওলানা লুৎফর রহমান আলমাদানী, মুফতি মাওলানা নূরুল্লাহ আলমাদানী, মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ আল-মাদানী, ড. মুফতি নিজামুদ্দীন, মুফতি আবুল কালাম পাটোয়ারী, ড. মুফতি মাওলানা আবু ইউসুফ খান, মুফতি ড. মানজুর-এ-ইলাহী আল-মাদানী, প্রফেসর মুফতি ড. আবুল কালাম আযাদ আল মাদানী (লন্ডন), প্রফেসর মুফতি আবদুর রহমান মাদানী, ড. মুফতি মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী প্রমুখ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.