একটা কথা শুনতে খুবই খারাপ লাগে তা হল ও তুমি কি হিন্দু?খারাপ লাগে এইজন্য যে শাশ্ত্রের কোথাও উল্লেখ নেই আমার ধর্মের নাম হিন্দু। এটা সত্য যে প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সিন্ধুনদের অববাহিকায় আর্য সভ্যতা বিকশিত হয়েছিল। আর্য শব্দের অর্থ হল যিনি তার জীবনের মূল্য বোঝেন এবং যার জীবনধারা বৈদিক অগ্রগতির ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। তখন অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোক বিশেষ করে মুসলমানরা সিন্ধু শব্দটি উচ্চারন করতে পারতো না। তারা সিন্ধু কে হিন্দ বলে উচ্চারন করত।
এইভাবে হিন্দ থেকে আস্তে আস্তে হিন্দু শব্দটির উৎপত্তি হয়। এইকথা সবারই জানা। কিন্তু কথা হচ্ছে তারা ভুল করেছে তা বলে আমরা কেন এর মাসুল দেব?সরকার কতৃক প্রদত্ত ধর্মীয় পাঠ্যপুস্তক এর নাম হিন্দু ধর্ম শিক্ষা। বাহ,অবাক কান্ড। কারা সেগুলো রচনা করছে?তথাকথিত হিন্দু সমাজের মূর্খ ব্যাক্তিরা।
মূর্খ এইজন্য বলছি জে,যারা তাদের ধর্মের সঠিক নামই জানে না তারা কিভাবে বুদ্ধিমান হতে পারে?তারা এতটাই মূর্খ যে মায়ের সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা তারা জানে না। তারা তাদের মা দুর্গাদেবীর সামনে মদ,গাজা বা অন্যান্য মাদক গ্রহন করে অশ্লীল ভাবে নৃত্য করে। এরচেয়ে অন্যান্য ধর্মের লোকেরা অনেক ভাল অন্তত তারা পবিত্র স্থানে এই সকল বেয়াদবিমূলক কার্যকলাপ করে না। এরজন্য তারা আবার প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করে। আমি অশ্লিল কাজ করব আমাকে নিরাপত্তা দাও।
আজকালকার পূজা গুলোতে সঠিক পরিবেশ নেই। তা হয়ে উঠেছে বিপরীত লিঙ্গ দর্শন এবং তাদের শরীরের স্পর্শ পাওয়ার উৎসব। অনেকে আবার পূজার নিমন্ত্রন পত্রে শারদীয় দূর্গা পূজা বাদ দিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসব লেখা শুরু করেছেন। শাস্ত্রে বলা হয়েছে দেবদেবীর সর্বমোট সংখা তেত্ত্রিশ কোটি। তারা কেন হাতেগোনা ৫-৭ জনের পূজা করছে?তারা বলবে যারা প্রধান তাদের পূজা করছি।
তাহলে ব্রক্ষ্মা যিনি সৃষ্টি করেছেন,ইন্দ্র যিনি বৃষ্টিপ্রদান করছেন,পবনদেব যিনি বাতাস প্রবাহ করছেন তারা কি দোষ করল?তারা কি প্রধান নয়?তারা বুঝতে চেষ্টা করে না যিনি এই সকল দেবদেবীদের সৃষ্টি করেছেন তার পুজা করলেই তো সবকিছু সম্পন্ন হয়। তাদের দর্শন হচ্ছে দুধও খাবো তামাকও খাবো। গীতায় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,সর্বধর্মান পরিত্যাজ্য ………..(১৮/৬৬)। কিন্তু তারা তা মানছে না। আবার তারা মুখে বলছে গীতা তাদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ।
এইভাবে ধর্মের নাম ভুল করার সাথে সাথে তারা তাদের ধর্মীয় আচার আচরনে ভুল করছে যার ফলে তারা ক্রমশ অধপতিত হচ্ছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।