আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সোনাদিয়া দ্বীপ (ফটোব্লগ) - ৩

এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা । আমরা ভ্রমণ বাংলাদেশ এর সদস্যরা সারা বছরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর দিয়ে থাকি, সাধারণত ঈদের পরের ট্যুরগুলো একটু বিশালার হয়ে থাকে ।

এবার আমাদের ট্যুরে সদস্য ছিলাম আমরা ৩৬ জন । আর ট্যুরের স্থান নির্বাচিত হয়েছে সোনাদিয়া দ্বীপ । “সোনাদিয়া” কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার একটি সুন্দর দ্বীপ। এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৭ বর্গ কিমি.। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিমি উত্তর-পশ্চিমে এবং মহেশখালি দ্বীপের দক্ষিনে সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত।

একটি খাল দ্বারা এটি মহেশখালি দ্বীপ থেকে বিছিন্ন হয়েছে। তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন এবং বিচিত্র প্রজাতির জলচর পাখি দ্বীপটিকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। সোনাদিয়া দ্বীপের মানব বসতির ইতিহাস মাত্র ১০০-১২৫ বছরের। দ্বীপটি ২টি পাড়ায় বিভক্ত। পূর্ব ও পশ্চিম পাড়া।

দ্বীপের মোট জনবসতি প্রায় ২০০০ জন। পূর্ব পাড়ায় তুলনামূলকভাবে জনবসতি বেশী। মাছ ধরা এবং মাছ শুকানো, চিংড়ি ও মাছের পোনা আহরন দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা। কিছু মানুষ ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও কাঠের সাধারন নৌকা এবং উহা চালানোর সহকারী হিসাবে কাজ করেও জীবিকা নির্বাহ করে। চারিদিকে নোনা পানি বেষ্টিত হওয়ায় এই দ্বীপে তেমন কোন খাদ্য শষ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয় না।

দৈনন্দিন প্রয়োজনাদি জিনিস পত্র সব মহেশখালি থেকে ক্রয় করে আনতে হয়। এই দ্বীপে ২টি মসজিদ, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি সাইক্লোন সেন্টার, আনুমানিক ১২টি গভীর নলকূপ রয়েছে। আমাদের ভ্রমণ বাংলার সভাপতি আরশাদ হোসেন টুটু ভাই, সব সময়ই এমন খোশ মেজাজে থাকেন..... সোনাদিয়া সুন্দরী........ ওখানের গুটিকয় নারকেল গাছে এমন হাজারো বাবুই পাখির বাসা রয়েছে, বাবুই পাখি ছাড়াও এই দ্বীপে অনেক রকম পাখি আছে । তার কিছু ছবি ও আমি তুলেছি । পরবর্তীতে শুধু ওখানকার পাখিদের নিয়ে একটি পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছে আছে ।

খাশি জবাই হয়েছে, সুতরাং রাতে একটা জমকালো খাবারের আশায় থাকাই যায় ছোট ছোট বালির টিলা গুলো দেখতে কিন্তু খুবই চমৎকার! চিংড়ি পোনা আহরণ করছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা....... ঝাউ বনের ভেতরের এই মিষ্টি পানির আধারগুলো দেখতে কিন্তু বেশ ! একমাত্র সাইক্লোন সেন্টারটি পূর্ব পাড়ায় অবস্থিত, পশ্চিম পাড়া হইতে যার দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার । এক ঝাঁক উরন্ত পাখির ছবি তোলার চেষ্টা, আসলে অপচেষ্টা.. বলুন তো কাকড়াটার সামনের অংশ কোনটা ?? দ্বীপবাসীর মোবাইলগুলো এভাবেই জেনারেটরের মাধ্যমে প্রতিদিন একবার চার্জ দেওয়া হয় । কিছু ঘরের ডিজাইন এমনই রাজপ্রাসাদ ষ্টাইল । তবে পরিকল্পিত পরিবারের সংখ্যা ওখানে নেই বললেই চলে । আগামী পর্বে সমাপ্ত......... সোনাদিয়া দ্বীপ (ফটোব্লগ) -১ সোনাদিয়া দ্বীপ (ফটোব্লগ)- ২  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।