এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
আমরা ভ্রমন বাংলাদেশ এর সদস্যরা সারা বছরই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর দিয়ে থাকি, সাধারণত ঈদের পরের ট্যুরগুলো একটু বিশালার হয়ে থাকে ।
এবার আমাদের ট্যুরে সদস্য ছিলাম আমরা ৩৬ জন । আর ট্যুরের স্থান নির্বাচিত হয়েছে সোনাদিয়া দ্বীপ ।
“সোনাদিয়া” কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার একটি সুন্দর দ্বীপ। এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৭ বর্গ কিমি.। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিমি উত্তর-পশ্চিমে এবং মহেশখালি দ্বীপের দক্ষিনে সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত।
একটি খাল দ্বারা এটি মহেশখালি দ্বীপ থেকে বিছিন্ন হয়েছে। তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন এবং বিচিত্র প্রজাতির জলাচর পাখি দ্বীপটিকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত।
সোনাদিয়া দ্বীপের মানব বসতির ইতিহাস মাত্র ১০০-১২৫ বছরের। দ্বীপটি ২টি পাড়ায় বিভক্ত। পূর্ব ও পশ্চিম পাড়া।
দ্বীপের মোট জনবসতি প্রায় ২০০০ জন। পূর্ব পাড়ায় তুলনামূলকভাবে জনবসতি বেশী। মাছ ধরা এবং মাছ শুকানো, চিংড়ি ও মাছের পোনা আহরন দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা। কিছু মানুষ ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও কাঠের সাধারন নৌকা এবং উহা চালানোর সহকারী হিসাবে কাজ করেও জীবিকা নির্বাহ করে। চারিদিকে নোনা পানি বেষ্টিত হওয়ায় এই দ্বীপে তেমন কোন খাদ্য শষ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয় না।
দৈনন্দিন প্রয়োজনাদি জিনিস পত্র সব মহেশখালি থেকে ক্রয় করে আনতে হয়।
এই দ্বীপে ২টি মসজিদ, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি সাইক্লোন সেন্টার, আনুমানিক ১২টি গভীর নলকূপ রয়েছে।
কক্সবাজারের ৬নং ঘাটে ট্রলারের অপেক্ষায় ভ্রমন বাংলাদেশের বন্ধুরা
সোনাদিয়া অভিমুখে ছুটে চলেছে আমাদের ট্রলার
আকাশে ছিল রোদে-মেঘের লুকোচুরি খেলা.....
মহেশখালির বাঁকে..........
সাগরের ঢেওয়ের তোড়ে আমাদের ট্রলার যখন মোচার খোলের মতো দুলছিল তখন আমরা অনেকেই ক্যামেরাকে এভাবে পলিথিনে বন্ধি করেছিলাম । ভয়টা অবশ্য অমূলক ছিন না এই জন্য যে, ভ্রমন বাংলাদেশের ২০০৯ সালের সোনাদিয়া ভ্রমনে ট্রলার ডুবি হয়ে সবার ল্যপটপ, ক্যামেরা এবং মোবাইল ফোন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ।
বাকখালি নদী ধরে আমাদের ছুটে চলা.........
প্যারাবনের উপর দেয়ে দেখা যাচ্ছে বাকখালির উপরের ব্রীজ, এই ব্রীজ সোনাদিয়া আর মহেশখালির সেতুবন্ধন ।
এই অপার সৌন্দর্যের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এভাবেই আমাদের ক্যামেরাগুলো সচল হয়ে উঠল...........
ওই দেখা যায় সোনাদিয়া
ট্রলার থেকে দেখা সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়াটা এমনই
আমাদের বড় ট্রলার স্বল্প পানিযুক্ত তীরে ভিরতে পারবে না, তাই ছোট নৌকার ব্যবস্থা.....
চলবে...................................
[img|]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।