আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বপ্নের সোনাদিয়া- ১

ছবি দেখুন । ঈদুল ফিতরে কোথায় যাওয়া যায় ? প্রশ্ন করতেই ভ্রমণ বাংলাদেশের অন্যতম নীতিনির্ধারক বদরুননেসা রুমা আপা বলল এবার আমরা সোনাদিয়া যাব । আমার আবার পানিতে ভয় । যদিও সাতাঁর না জানা আমি ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন গেছি ৩০ফিট একটি নৌকাতে যা সুনামিতে পড়েছিল ( ফ্যান্টাসিময় অভিযান : নৌকা বানিয়ে ঢাকা টু সেন্টমার্টিন ) । জিঞ্জেস করলাম কেন অন্য কোথাও গেলে হয় না ? তিনি বললেন না ।

সোনাদিয়াই যাব । কুফা ছুটাতে হবে । মনে পড়ল আমাদের ভ্রমণ জীবনের সবচাইতে দু:খজনক ঘটনাটি -যাত্রা সোনাদিয়া ও একটি নৌকাডুবি । কক্সবাজার শহর থেকে পশ্চিমে এবং মহেশখালী দ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত চারিদিকে সমুদ্র বেষ্টিত নৈসর্গিক দৃশ্য সম্বলিত দ্বীপ । মহেশখালী উপজেলার অর্ন্তগত হোয়ানক ইউনিয়নে অবস্থিত সোনাদিয়া দ্বীপটির আয়তন ৯ বর্গকিলোমিটার ।

অপরূপ সৌন্দর্যের আধার এ দ্বীপ কক্সবাজার শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে সাগর গর্ভে অবস্থিত। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমন পিপাসুদের ব্যাকুল করে তোলে। এটি দেশের প্রধান শুটকি মাছ প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র । এখানকার ম্যানগ্রোভ বন এবং উপকূলীয় বনভূমি, সাগরে গাঢ় নীল পানি, কেয়া বন, লাল কাঁকড়া, হরেক রকমের সামুদ্রিক পাখি পর্যটকদের মনে দোলা দেয় । চারদিকে গভীর সমুদ্রের সাগরের ঢেউ সমৃদ্ধ এটি মুলত প্যারাদ্বীপ নামে পরিচিতি ।

এ দ্বীপে সরকার গভীর সমুদ্র বন্দর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে । তা ছাড়া এটি জীববৈচিত্রের দ্বীপ নামে পরিচিতি এবং এ দ্বীপ প্রাকৃতিক সুন্দর্য পিপাসুদের জন্য অন্যতম পর্যটন স্থান । বঙ্গোপসাগরের গভীরে জেগে উঠা দ্বীপ সোনাদিয়া। প্রধানত দুটি কারণে দ্বীপটি প্রসিদ্ধ । প্রথমত এই দ্বীপের ব্যাপক এলাকা জুড়ে বিশেষ করে গ্রীষ্ম মৌসুমে প্রচুর মাছ আহরিত হয় ।

দ্বিতীয়ত শীত মৌসুমে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ থেকে হাজার হাজার অতিথি পাখি এখানে আগমন করে । এই দ্বীপে বসেই বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গমালা অবলোকন করা যায় । আমরাও বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গমালা দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম টুটু ভাই আর রুমা আপার কারনে । টুটু ভাই সোনাদিয়ার গিয়াসকে ফোন করে ট্রলার আর আমাদের থাকার জায়গা ঠিক করে রাখলেন । আমি গেলাম ইউনিক সার্ভিসে বাস ঠিক করতে ।

ইউনিকের ইয়াসিন ভাই আর আবুবকর ভাই সহায়তায় পেলাম পুরো বাস । বাজার করলো টুটু ভাই । তাকে সহায়তা করলো আমাদের টুলু বার্বুচি । যাত্রার তারিখ ঠিক করা হল ২ রা সেপ্টেম্বর । ঈদের দ্বিতীয় দিন রাস্তা ফাঁকা ।

একে একে সবাই আসতে লাগলো । রাত ১০.৫৫ মিনিটে ছাড়লো আমাদের বাস । যাচ্ছি আমরা ৩৩ জন । বিদায় জানাতে এল প্রিন্স, তাহসিন, রুবেল । দেখা হল অটবি গ্রুপের আশরাফ ভাইদের সাথে ।

তারা যাচ্ছে বান্দরবানে । কুমিল্লা পৌছালাম মাত্র ১.১৫ ঘন্টায় । কুমিল্লা থেকে আমাদের দলে যোগ দিচ্ছে কামরুল আর জান্নাত । আমাদের জন্য খাবারের অর্ডার করে রেখেছিল কামরুল । গিয়েই হাপুস হুপুস খাবার শেষ করলাম ।

চায়ের গ্লাস হাতে উঠে এলাম বাসে । বুবুর (রুমা আপার) কোলে ঘুমিয়ে চলে এলাম হাটহাজারীর কাছে । পথে নামাজের বিরতি । নামাজ পড়তে গেল আবু বকর, সাথে মা আর নানীকেও নিয়ে গেল । আরো অনেকেই নামাজ পড়লো ।

এবার আবার কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু । সকাল ৭টায় পৌছালাম কক্সবাজারে । ছবি দেখুন । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.