যখন যেখানে যেমন তেমন পাস করার পরদিনই ডিপার্টমেন্ট অফার করল লেকচারার( পার্ট- টাইম) হিসেবে জয়েন করতে। বেকার থাকার চেয়ে জয়েন কর, বাসা থেকে এই কথায় রাজি হয়ে গেলাম। রমজানে ক্লাস বন্ধ থাকে জন্য ১ দিন ও ক্লাস নেইনি, ১টা মাস খালি মনের সাথে যুদ্ধ করেছি, শিক্ষকতা করব কিনা, সব শেষে ছেড়েই দিলাম ( অবশ্য কোম্পানিতে চাকরির অফার পেয়েই)। ছাড়ার পর থেকেই সবার ১ টাই কথা, ভার্সিটির চাকরি ছেড়ে দিলা? সহজে বিদেশে স্কলারশিপ নিতে পারতা, ডক্টরেট ডিগ্রী থাকত তোমার, আরামের চাকরি ছিল, শিক্ষকতা মহান পেশা, ইত্যাদি ইত্যাদি। আর যখন শুনল যে কোম্পানির চাকরি করব, তখন সবাই ধরে নিল, বেতন বেশি তাই চলে যাব কোম্পানিতে, এমনকি আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরাও তাই ধরে নিলেন।
অথচ, টেলিকমিউনিকেশন পড়েছিলাম সাবজেক্ট টা ভালবেসে, তাই ভেবেছিলাম, শুধু বইয়ের পড়ার মাঝে নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিব, যা এতদিন বইয়ে পড়ে ভেবেছি, না জানি কোন যাদু, সেটা নিজে দেখব। আর বাইরে পড়তে যাওয়া, সেটা না হয় পরে দেখব। বইয়ের পোকা না হয়ে কিছু শিখি, ছাত্রদের কিভাবে পড়াব যেগুলো আমি নিজেই কখনো দেখি নি।
ভাবনা গুলো মনেই থেকে যায়, কাউকে বলা যায় না, বললে বলবে, তুমি তোমার আঁতলামি নিয়েই থাক, বাস্তব জীবন অনেক কঠিন। ( আঁতেল উপাধি অনেক আগেই পেয়েছি, প্রথম পেয়েছিলাম বন্ধুদের কাছে, বলেছিলাম, সিনিয়রদের নোট পড়ে না, বই পড়েই ভাল রেজাল্ট করব)
যা হোক, নিজের যা ভাল লেগেছে , তাই করেছি, আসলে মনটা অনেক খারাপ ছিল, তাই এতদিন পর ব্লগ এ বসে এলো মেলো ভাবে লিখে গেলাম।
তবে ১ টা প্রশ্ন মনে আসে--
সফল হবার কি ১টাই ফর্মুলাযুক্ত পথ? কেউ কি ভিন্নভাবে ভাবতে পারবে না? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।