The earth is the mother of all people, and all people should have equal rights upon it. আওয়ামী লীগ সরকারের গত আমলের শেষে ২৩তম বিসিএসের মাধ্যমে সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য একটি বিশেষ বিসিএস নেওয়া হয়। এরপর আটটি বিসিএস হলেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য কোনো বিশেষ বিসিএস নেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবার মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের পক্ষ থেকে বিশেষ একটি বিসিএস দেওয়ার দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, পোষ্য, উপজাতি ও অন্যান্য সব কোটায় একটি বিশেষ বিসিএস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মাধ্যমে হাজার দেড়েক পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ বিশেষ বিসিএস নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। সংগঠনটির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘শুধু যদি টেকনিক্যাল ক্যাডারে লোক নেওয়া হয়, তাহলে সেটি পরিহাস ছাড়া আর কিছু নয়। এ দেশে মুক্তিযোদ্ধারা যেমন বঞ্চিত, তেমনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরাও বঞ্চিত। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় এই বঞ্চনা আরও বেড়েছে। ’
সাধারণদের বক্তব্য
১।
প্রতিটা বিসিএস এ ৩০% কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পোষ্যদের জন্য বরাদ্দ থাকার পরও কেন আবারও বিশেষ বিসিএস নিতে হবে? যারা মেধার লড়াইয়ে টিকতে পারেনা তাদেরকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য এত কৌশলের কি আদৌ প্রয়োজন রয়েছে?
২। যেখানে দেশে হাজার হাজার বেকার ছেলে-মেয়ে বসে আছে, সেখানে এই বিশেষ বিসিএস জাতির জন্য অপমানকর...........আমার হাসি পাচ্ছে এই ভেবে যে আমাদের দেশে সবার নাকি সমান অধিকার
৩। দেশে লক্ষাধিক ভুয়া মুক্তিযোদধার সরটিফিকেট ? কাদের জন্য এই বিশেষ ব্যাবসথা ?
সংবিধান অনুসারে পশ্চাৎপদ গোষ্ঠীদের কোটা দেওয়া যেতে পারে, তাহলে কি সব মুক্তি যোদ্ধাই পশ্চাৎপদ? আর কোটা কোন যুক্তিতে ৩০%? আর কোটা দেওয়ার অর্থ হলো তাদের সমতা দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়, চাকুরি সব কিছুতে কোটা দিয়ে সাধারণ জনগণকে কি পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে না?
জনগণের **** বাঁশ দেওয়ার জন্য সরকার ও কতিপয় মেধাহীন গোরুর পাল উঠে পড়ে লেগেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।