আমিও চাষী পিতার কোল চাষ করি স্নেহের কবর আমি ক্যাফটেরিয়ার পেছন থেকে খোঁড়াতে খোঁড়াতে যাচ্ছি... পায়ে যে ব্যাথা আর রাস্তায় যে লোকসংখ্যা তাতে মনে হলো যে টি এস সি গিয়ে চুপ করে বসে থাকি- যে ২/১টা রিকসা আসবে তা নিয়েই বটতলা চলে যাওয়া যাবে। আসলে আরো আগেই ডিপার্টমেন্ট থেকে যে কোন ভাবে হোক একটা রিকশা ডাকিয়ে চলে যাওয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু আমি টিএসসি-ও যেতে পারলাম না এ্যাতোই ব্যাথা অনুভব হতে লাগলো। একটা রিকশা আসলো যেটাতে কোন এক বিভাগের কর্মচারী টিফিন ক্যারিয়ারে খাবার নিতে এসেছে বোধহয় তার বিভাগের কোন শিক্ষকের জন্য। সে রিকশাটা দাড় করিয়ে রেখে ক্যাফেটেরিয়ার টিচার্স লাউন্জ এ ঢুকলো।
আমি রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞাস করলাম- 'মামা আপনারে ছাইড়া দিবো না?' সে আমার খোঁড়ানীটা দেখলো এবং ভাবলেশহীন ভাবে বললো- 'না মামা ভাড়া আছে', সম্ভবত এটাই বলেছে কারন তার স্বল্পস্বর আমি বুঝি নাই। বেশ- তবে তাই হোক- কি আর করা, আমি বসে রইলাম ক্যাফেটেরিফার বারান্দায়। আমার আর এক পা ও চলার শক্তি নেই। ওদিকে তপু বলেছিলো যে রিকশা পেলে সে নিয়ে আসবে কিন্তু তারও কোনো লক্ষন পেলাম না। মনে মনে স্থির করলাম যে এখানেই বসে থাকি, একটা রিকশা আসলো টিএসসি তে, দে ডাক- 'মামা- খালি হবেন?' দিলাম গলা ফটিয়ে ডাক।
সে কি বললো না বললো বুঝলাম না, হাত দিয়ে কি কি যেন দেখালো, আমি বুঝে নিলাম যে তার প্যাসেন্জার তাকে ছাড়ে নাই। রিকশাওয়ালাদের গলার স্বরে জোর থাকেনা, আগেও লক্ষ্য করেছি। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রিকশাগুলো যারা চালায় তাদের তো জোর কমবেই। আমি বসে থেকে থেকে বিরক্ত। নাহ্, আমার আসলে একটা লাঠি লাগবে হাঁটার জন্য।
ভাবতে লাগলাম যে তারেক আহমেদের তো ভাঙা পা ভালো হয়ে গেছে, ওর ক্র্যাচ টা চাইতে হবে। একটু হলেও কম প্রেশার পড়বে পায়ে। এসময় পার্থ প্রতিম মজুমদার হেটে যাচ্ছিলো, আমি ডাকলাম-'পার্থ প্রতিম মজুমদার' সে আসলো এবং বুত্তান্ত শুনে বললো যে ঠিক আছে 'চলো তবে দুজনে আস্তে আস্তে হেঁটে হেঁটে যাই...' আমি বললাম যে "আমার হাটার মতো অবস্থা নাই'। সে বললো 'তাইলো আমি আগাই, যদি রিকশা পাই এদিক দিয়ে নিয়ে আসবো। ' পার্থ চলে যাবার পর একটা খালি রিকশা আসলো, তাকে ডাকলাম, তার ও গলার আওয়াজ বোঝা গেলো না এবং হাত দিয়ে কি কি যেন দেখালো, চলেও গেলো।
আমি বসে থেকে থেকে বিরক্ত এবং আমার পা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম। আসলেই কি লিগামেন্ট ছিড়েঁছে? আসলেই কি হাড্ডি বড় হয়ে যাচ্ছে? নাকি ক্যালসিয়াম সমস্যা? ইচ্ছে করছিলো ৫/৭ দিন রুমে ঢুকে আর বের ই হবোনা। আমি রিকশার অপেক্ষায় বসেই আছি আর ক্যাফেটেরিয়ার পাশে নেসক্যাফের ছাতার নিচে মানুষের বসে থাকা, বারান্দায় বসে থাকা, আড্ডা মারা এসব দেখছি। আর যে রিকশাটা কোন এক বিভাগের কেরানী নিয়ে এসেছিলো তার রিকশাওয়ালা টা ও রেস্ট নিচ্ছে। ভাবলাম যে এনাকে পটাই।
দেখি কিছু কাজ হয় কিনা। ঠিক এমন সময় এই রিকশাওয়ালা মামাকে সমস্বরে ২/৩ জন মিলে ডাকলো। আমি তাকিয়ে দেখলাম যে একটা ছেলে ক্র্যাচে ভরদিয়ে হাটছে, ওকে ধরে নিয়ে আসছে আরো ২ জন বন্ধু-বান্ধবী। ও মোর খোদা- খাইছে... এ যে আমার সাক্ষাৎ প্রতিযোগী হাজির। মামা উত্তর দিলো তাদের হাত নেড়ে- স্বল্পস্বরে।
ওরাও তো দেখি বসছে রিকশার জন্য। ঠিক আমার উল্টোপাশে। ধুর- এটা কিছু হলো? এখন তো কোন রিকশা এল ওকেই আগে নিয়ে যাবে। ও যেভাবে ক্র্যাচনিয়ে স্ববান্ধবে সুসজ্জিত আছে সেখানে ওর প্রতিযোগী হিসেবে নিজেকে খুবই অসহায়ই লাগছিলো। কি অবস্থা.. ঘন্টা খানেক বসে আছি- আমার সাথেও কেউ নেই- আর আমার সাথে ক্র্যাচও নেই।
গলায় বা অস্ত্রে আমি ওর থেকে পিছিয়ে। মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো। এখন কোন রিকশা এলে আমি যদি আগে ডাকি, ওরাও যদি ডাকে... ওরা তো নিশ্চই আমাকে বলবে যে 'ভাই অসুস্থ দেখছেন না?'। তখন আমি কি বলবো? বলবো যে 'ভাই আমিও অসুস্থ'। আর 'আমিও রিকশার জন্য অনেকক্ষন ধরে বসে' এটাও বলতে হবে।
কিন্তু ওরা কি বিশ্বাস করবে আমাকে? নাকি স্বার্থপর ভাববে? হ্যা স্বার্থপরতা আছে তবে আমার পা যখন ভালো ছিলো তখন আমি স্বার্থত্যাগ করেছি। এখনও কি সেটা করা উচিৎ? ওরা আমার ঠিক উল্টোপাশে বসে আছে, সুসজ্জিত হয়ে। আর আমি ওদের উল্টোপাশে। আমি জানি যে ওদের রিকশা লাগবে। ওরা জানেনা যে আমারও রিকশা লাগবে, বোধহয় খেয়ালও করেনী।
আমি জানি যে ও হাটতে পারছেনা, ওরা জানে না যে আমিও হাটতে পারছিনা। এইসব ভাবতে ভাবতে মনে হলো যে নাইমকে ফোন করে রিকশা নিয়ে আসতে বলি। তুবা থাকলে ও ই আমাকে রিকশা খুঁজে ওর বিভাগে যেতে বলতো এবং তারপর আমি আমার বৃত্তান্ত বললে কিছুক্ষন বিভিন্ন প্রশ্ন করে নিজেই রিকশা নিয়ে হাজির হতো। কিন্তু ও তো ক্লাশে। দিলাম নাইমকে ফোন, 'নাইম- মানে আমি এই ক্যাফেটেরিয়ায়, তুই কি একটা রিকশা নিয়ে আসবি আমার জন্য?' সে কি বুঝলো না বুঝলো জানিনা- বললো 'দাড়াও আমি দেখতাছি'।
ও কি দেখলো না দেখলো বুঝলাম না- তবে বুঝলাম যে ঐ উল্টোপাশের লোকটা আমার নতুন প্রতিযোগী। আগে কখনো রিকশা খুঁজতে গিয়ে ঐ লোক আমার সামনে পড়লে তাকে প্রতিযোগী ভাবতাম না, কিন্তু এখন কেন যেন ভাবছি। ভাবনার মেকানিজমটা বোঝার জন্য বেশ চেষ্টা করলাম। মেজাজটা খিঁচড়ে ছিলো আরো খিঁচড়ে গেলো। এমন সময় ঐ জনৈক করনিক নামলো এবং তার রিকশায় উঠে রওনা দিলো, আমি সচেতনে না অচেতনে না অবচেতনে তাকে থামালাম ডাক দিয়ে জানি না।
সে বললো 'কই যাবেন?' আমি বললাম 'বটতলা'। সে বললো- 'আসেন'। আমি উঠলাম রিকশায়। সে বললো 'আমি ফার্মেসী ডিপার্টমেন্টে গিয়ে খাবার টা রেখে স্যারের জন্য শাক আনতে যাবো বটতলা, ততক্ষন বসতে পারবেন তো?' আমি বললাম 'কোনো সমস্যা নাই, চলেন, আমি বসে থাকতে পারবো'। অনেকক্ষন চুপ থাকার পর তাকে জিজ্ঞাস করলাম 'আপনার নাম?' হাত বাড়িয়ে দিলাম হ্যান্ডশেকের জন্য।
নামটা আমার এখন মনে পড়ছে না.. আমার ঐ পরিচয় হওয়ায় বোধহয় তার নাম জানার বাসনা আসলে ছিলোনা... তবে তার সাথে হ্যান্ডসেকের ইচ্ছে ছিলো। পথিমধ্যে রসায়ন বিভাগের সামনে ক্যাম্পাসের জনৈক মাইক্রোবাস ড্রাইভারের সাথে সে কুশল বিনিময় করলো এবং বললো 'কি মিয়া, নতুন গাড়ি পাইছো দ্যাহা যায়?' এবং ঐ ড্রাইভার একটা বিজয়ীসুলভ হাসি দিলো। তারপর আমাদের রিকশা যাচ্ছে ফামের্সী বিভাগের দিকে। সে আমায় জিজ্ঞাস করলো 'আপনে কোন ডিপার্টমেন্টে?' আমি বললাম নৃবিজ্ঞান- ফোর্থ ইয়ার। সে বললো 'আরে আমি যাই তো আপনাগো বিল্ডিং এ'।
'মুস্তাহিদ স্যারের মেয়ে তো আমাদের ডিপার্টমেন্টের টিচার, কোন কাগজ-পত্র থাকলে নিয়া যাই'। 'আপনের বাড়ি কই?' আমি বললাম 'বরিশাল'। সে বললো 'ও- আমার বাড়ি কুমিল্লা.. ২ জন দুই দেশের, আমার আত্মীয় আছে বরিশালে... আমার দুই তালতো বোনরে বিয়া দিছি বরিশালে' আমি বললাম 'হ হ, কুমিল্লা-বরিশাল বিয়া.. আমারো চেনা পরিচিত আছে এইরকম'। সে বললো 'ঐ ব্যাবসা করতে যায় অনেকে তহন ভালো ছেলে পাইলে বিয়া দিয়া দেয়'। আমারও মনে পড়লো আমি যাদের চিনি কুমিল্লা-বরিশাল দম্পতি তাদের বিয়েও এভাবেই হয়েছিলো এবং তাদের বাসায় গিয়ে আমার মনে হয়েছিলো যে আমি কোনো বড়লোকের বাড়িতে এসেছি আর তাদের মেয়ে আমার কোনভাবে কলিগ হয় সে তার গাড়িটাকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলেছিলো যে 'এটা আমার হাজবেন্ড'- আমার মনে আছে।
আমি ফার্মেসী বিভাগের করনিক কে বললাম 'হ হ, আমার পরিচিত যে হ্যায়ও তো ব্যাবসায়ী'। আমি তখন কুমিল্লা-বরিশালের এরকম বিয়ে ও জ্ঞাতিসম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে ভাবতে লাগলাম।
লোকটাকে বটতলা পর্যন্ত ভাড়া প্রদানে অংশ নিতে চাইলাম কিন্তু উনি দিলো না। ধন্যবাদ দিয়ে মজা পেলাম না, মনে হলো ধন্যবাদ দিলাম কিন্তু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ যেন কোথায় আটকে আছে। বটতলায় অলির চায়ের দোকনে বসে আছি।
জয়দ্বীপ এলো এক এপ্লিকেন্ট ও তার মাকে নিয়ে নাকি এপ্লিকেন্টের মা ও তার মেয়ে যে কিনা এপ্লিকেন্ট তাকে নিয়ে। তারা আগের বারও ভর্তি পরিক্ষা দিতে এসেছিলো। সেই সুত্রে চেনা জানা। আমাকে বললো 'বাবা কেমন আছো?' আমি বললাম 'এই তো আন্টি' এবং আগেই বললাম আমার পায়ের ব্যাথাটার কথা। জয়দ্বীপ কোথায় যেন গেলো।
তারা মা-মেয়ে ফরম বের করলো, আমি বললাম 'কি ফরম পূরন করবেন নাকি?' আন্টি ফরম দুটো আমার হাতে দিয়ে বললেন 'নাও বাবা পূরণ করো' এমন ভাবে বললেন যেন মনে হলো 'নাও বাবা লাড্ডু খাও'। আমি আমার খিঁচড়ে থাকা মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে বললাম 'আন্টি আমার তো এসব কাজে প্রচুর ভুল হয়... আসলে....' পাশে ছিলো জয় সে আমার মুখের কথাটা কেড়ে নিয়ে বললো 'জি সিনা ভাই.. আমারও ভুল হয়.. আমার তো গতবার রেকর্ড সংখ্যক ভুল' আমি জিজ্ঞাস করলাম 'কয়টা কয়টা?' জয় বললো '৭টা মোট'। আমাদের কথা শুনে আন্টির আমাদের দিয়ে ফরম পূরন করানোয় ভাটা পড়লো। আমি বললাম 'আন্টি জয়দ্বীপ আসুক, ও এসব সুক্ষ্ম কাজ ভালো পারে 'বলে 'জয়দ্বীপ জয়দ্বীপ' করে দুটো ডাক দিলাম। কোথা থেকে যেন জয়দ্বীপ চলে এসে কিছুক্ষন গড়িমসি করে ফরম পূরণ করতে বসে গেলো অলির চায়ের দোকানের বেঞ্চে।
জয় চলে গেলো ক্লাশে। আমি প্রচুর বিরক্তির কারনেই মেয়েটিকে নিজের ফরম নিজেকে পূরণ করতে বলিনি, ২য় বার পরীক্ষা দিচ্ছে, এটুকু পারা উচিৎ। এখনো না পারলে কি আর করা? তোকে মাফ। আন্টির পাশে বসেই ভাবলাম এটা। আন্টিকে জিজ্ঞাস করলাম 'আন্টি খাবেন না?' উনি বললেন 'না আমরা খেয়েই আসছি'।
এমন সময় একটা ছেলে আসলো যে আমার বন্ধুর আত্মীয় এবং এপ্লিকেন্ট। তাদের সাথেই খেতে বসলাম। ছেলেটা আমাকে বললো যে ওদের ব্যান্ডের কোন একটা অ্যালবামে গান বের হচ্ছে কিন্তু নামের বানান ভুল ছাপা হয়েছে প্রচ্ছদে। তা উপায়? ও বলেলো 'এখন স্টিকার ছেপে লাগিয়ে দিতে হবে'। খেতে খেতে সে বটতলা এলাকার আদিবাসী শিক্ষার্থী-এপ্লিকেন্টদের দেখে বললো 'ইস আদিবাসী হলে ভালোই হতো'।
আমি জানতে চাইলাম 'ক্যান?' ও বললো 'যে তাইলে কোটায় চান্স পাওয়া যেত' । ওর কথায় বুঝলাম যে ওর আফসোস টা হলো যে আদিবাসী হলে ওর চান্স পাওয়া অনেক সহজ হতো, এতো প্রতিযোগীতা করতে হতো না। আমি ওকে কি বলেবো বুঝতে পারলাম না। আমার মনে হলো আমার ক্যাফেটেরিয়ার পাশের সেই প্রতিযোগীর কথা যার সাথে বন্ধু আছে, ক্র্যাচও আছে, রিকশা পাওয়ার সম্ভাবনা তারই ভালো। আর আমার কিছু নাই- বন্ধুসংখ্যা নাই সাথে, হাঁটার ক্ষমতাও নাই।
কিন্তু আমারও রিকশা লাগবে। আচ্ছা- আমি যখন ফার্মেসী বিভাগের করনিক এর রিকশায় উঠে চলে গেলাম তখন ও কি আমাকে দেখেছিলো? আমি ওকে প্রতিযোগী ভাবছিলাম কিন্তু ও কি আমায় প্রতিযোগী ভাবছিলো? আমি রিকশায় উঠে চলে গেলাম এটা দেখে কি ওর গা জ্বলছিলো? ও কি ভাবছিলো যে 'ইস সুস্থ ছেলেটা আমাকে দেখেও স্বার্থপরের মতো চলে গেলো'? সে কি এই পরিক্ষার্থীর মতো ভেবেছিলো যে 'ইস আমিও যদি ওর যায়গায় থাকতাম তবে রিকশাটায় উঠতে পেতাম'? যেমনি করে পরিক্ষার্থী বলেছিলো 'ইস আদিবাসী হলে ভালোই হতো'। আমার মনে হলো তাই কি?
আদিবাসী/ক্ষুদ্রগোষ্ঠীর/উপজাতি/অবাঙালী হলেই কি চান্স পাওয়া সহজ? কই? আমার তো রিকশা পাওয়া সহজ হয়নাই...... কেন যেন আমার ঐ প্রতিযোগীকে বাঙালী এবং নিজেকে ক্ষুদ্র কোন গোষ্ঠী মনে হলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।