বেকুব ছেলের বাবা সবসমায় চিন্তাতে থাকে ছেলেটা আবার কি বিপদ না ঘটিয়ে ফেলে। সম্প্রতি ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। কুটুমবাড়ীতে ছেলের জন্য তাকে কম হেনস্থা হতে হয়নি। তাই পারতে মানে ছেলেকে শশুরবাড়ী যেতে দেন না। তারপরও বিপদতো আর বলে কয়ে আসে না হঠাৎ করেই সংবাদ এলো শশুরের শরীর বেশ খারাপ কোন কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
শেষ দেখার জন্য সবাইকে খবর দেয়া হয়েছে। ছেলেতো লাফাচ্ছে শশুর মশাইয়ের অসুখ তাকেতো দেখতে যেতে হবে। বেকুব ছেলের বাবা বললো বাবা তোমার গিয়ে কাজ নেই বউমা গিয়ে তার বাবাকে দেখে আসুক। ছেলে নাছোর বান্দা সে যাবেই। অগত্যা বাবা বললেন তুমি যেতে পার তবে একটা শর্তে যদি রাজি থাক তবেই।
ছেলেটি বললো সে সব শর্তে রাজি। বেকুব ছেলের বাবা তখন বললো ঠিক আছে তোমাকে কথা দিতে হবে তুমি না বোধন কোন শব্দই উচ্চারন করবে না, যেমন ধরো তুমি বললে অআব্বা কোন ডাক্তার দেখাচ্ছেন উনি গ্রামের সেরা ডাক্তারই দেখাবেন তখন বলবে ভালো ভালো, উনিতো বেশ ভালো ডাক্তার, জি, জি এর বাইরে কোন কথা বলতে পারব না শুধু ভদ্রতা রক্ষার্তে শশুর মশাই কেমন বোধ করছেন? পথ্য কি খাচ্ছেন? এর বাইরে কোন প্রশ্ন করা যাবে না। কথার পরিপ্রক্ষিতে কথার উত্তরে প্রসংশা মুলক বচন বলা যেতে পারে। সব শিখিয়ে পড়িয়ে শশুরবাড়ী রওনা করিয়ে দিলেন। (বেকুবটার নামটা দিলাম আবুজাবু) বেকুব আবুজাবুর উপস্থিতি টের পেয়েই শশুর মসাই আরো অশুষ্থ হয়ে পড়লেন।
তবুও মেয়ে জামাই বলে কথা মুখের উপরতো কিছু বলতে পারেন না তাই অনেক কষ্টে নিজেকে সংবরন করে রাখলেন।
বেকুব আবুজাবু শশুরকে ছালাম করে বললেন আব্বা কেমন বোধ করতাছেন শশুর বললেন খুব কষ্টে আছি বাবা। বেকুব আবুজাবু বললো "ভালোই তো, ভালো"। বেকুব জামাইয়ের উত্তর শুনে তো শশুরের পিত্তি জ্বলে যাওয়ার উপক্রম তবুও নিজেকে শান্ত রাখলেন বেকুব আবুজাবু আবার বললো "আব্বা কোন ডাক্তার দেখাচ্ছেন" শশুর রেগে গিয়ে বললেন "যমেরে" দেখাইতাছি। বেকুব আবুজাবু বললো "খুব ভালো ডাক্তার, হা হা শুনেছি ওনার নাকি দারুন হাতযশ উনার বেশ সুনামও আছে"।
শশুরের মেজাজ সপ্তমে গিয়ে চরলো বেকুব আবুজাবু তো নির্বিকার ভাবে বললো "বাবা পথ্য কি খাচ্ছেন"। উনি তখন আর ওনাকে কাবুতে না রাখতে পেরে রাগে গজ গজ করতে করতে বললেন "পুটকি মারা খাচ্ছি"। বেকুব আবুজাবু কথাটা মাটিতে পড়তে দিল না উত্তরে বললো "তিন বেলাই পুটকি মারা খাবার চেষ্টা করেন, গুরুজনেরা বলেন পুটকি মারা খেলে নাকি রক্ত চলাচল বৃদ্ধিপায়"।
বি:দ্র: আমি আমার এক বন্ধু প্রতিম বড়ভাইএর কাছে এই চুটকিটি শুনেছিলাম তাই সেয়ার করলাম। চুটকিটি কারো জানা থাকলেও থাকতে পারে।
সূত্র
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।