আমরা এখন বাস করছি আধুনিক যুগে। চলে এসেছি ফ্যাশনের মাঝে। নিজেদেরকে সাজাতে ও নিজেদের ভালোর স্বার্থেই এখন অনেক স্বাস্থ্যসচেতন আমরা। সকালে ঘুম থেকে উঠে যা না করে কিছু খাওয়ার কথা ভাবাই যায় না, তা হলো দাঁতমাজা। কিন্তু দাঁত মাজতে গেলেতো কিছু একটা লাগে।
বিজ্ঞানীরা তাই নানা গবেষনা করে উদ্ভাবন করেছেন টুথপেস্ট। ব্রাশের সাথে পেস্ট লাগিয়ে দাঁত মাজলেই দাঁতের ভেতর জমে থাকা খাদ্যকণা, ময়লা বা প্লাক দূর হয়।
তবে, দাঁত মাজার কৌশলটা কিন্তু আবিষ্কার হয় অনেক আগেই, জানা যায় প্রায় পাঁচহাজার বছর আগে মিশর, চীন, মঙ্গোলিয়া ও ভারতে প্রথম দাঁত পরিচর্যা শুরু হয়। তবে উনিশ শতকের দিকে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও বেকিং সোডা দিয়ে পেস্ট তৈরী হলে শুরু হলে তা মানুষ সহজেই গ্রহন করে। তবে টুথপেস্ট তৈরী করে তা টিউবে ভরে বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয় আরও একটু পরে।
১৯১৪ সালে প্রথম ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহৃত হয়। অবশ্য সেসময় পেস্টগুলো মোটেও উন্নত ছিলোনা। ১৯৫৫ সালে ‘Procter & Gamble’ কোম্পানী প্রথম গবেষনাগারে পরীক্ষিত ফ্লোরাইড টুথপেস্ট বাজারজাত করে। বিভিন্ন উপাদানযুক্ত টুথপেস্টের মধ্যে ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট সবচাইতে জনপ্রিয়। এটি দাঁতের ক্ষয়রোধ করতে সহায়তা করে।
দাঁতের প্লাকও দূর করে। বিভিন্ন গন্ধক ও রঞ্জক পদার্থের টুথপেস্ট আছে। তবে সবচেয়ে বেশি নিমের গন্ধই ব্যবহৃত হয়। এছাড়া লেবু, ভ্যানিলা, আদা, কমলা, দারুচিনি, পাইন ইত্যাদির গন্ধ থাকে টুথপেস্টে।
তবে গন্ধবিহীন টুথপেস্টও রয়েছে।
যে ফ্লোরাইড নিয়ে এতো মাতামাতি সেই ফ্লোরাইড টুথপেস্ট গিলে ফেললে কিন্তু মুশকিলে পড়তে হয়। কারন অধিক পরিমানে ফ্লোরাইড পেটে গেলে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাই ব্যবহারের সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। বর্তমানে পেস্ট পাওয়া যায় নানারকম নান্দনিক টিউবে। কয়লা, পোড়ামাটির জায়গায় ফ্লোরাইডযুক্ত পেস্ট দাঁতের সৌন্দর্য বাড়াতে সত্যিই অতুলনীয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।