না বলা কথা... [বি:দ্র: এই ব্লগটি কাউকে না পড়ার জন্য অনুরোধ করিছ। এটি একান্তই ব্যক্তিগত ব্লগ। ধন্যবাদ। ] ১০ সেপ্টেম্বর ২০১১ শনিবার সকাল ১১:৩৩ ময়ূর ভিলা মোহাম্মদপুর ঢাকা
প্রিয় মৃন্ময়ী,
কলকাতার প্রখ্যাত গায়ক নচিকেতার একটি গান রয়েছে, যার কথা হলো- পুরুষ মানুষ দুই প্রকার- জীবিত- বিবাহিত। বিয়ে! বিয়েকে গণ্য করা হয় মৃত্যুর সমতূল্য।
বলা হয়, বিয়ে হলো দিল্লিকা লাড্ডু! খেলেও পস্তাবেন, না খেলেও পস্তাবেন।
আমাদের বন্ধু মনির আহমেদ মনির। সবাই ওর নাম দিয়েছে 'ডিজুস' মনির। এমনিতে আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়র। কিন্তু ইয়ার গ্যাপের কারণে আমাদের সাথে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করল।
গতকাল তার শুভ বিবাহ সম্পন্ন হলো। মেয়ের নাম রুবি। বাড়ি হচ্ছে কিশোরগঞ্জের জাগতপুর গ্রামে। এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটিতে আইনে তৃতীয় বর্ষে পড়ছে। মজার ব্যাপার হলো, মেয়েটির সাথে মনিরের পরিচয় হয় ফেসুবকে।
এক বছরের প্রেম। তারপরই সরাসরি বিয়ে। সরাসরি এই প্রথম ফেসবুক প্রেমের সফল সমাপ্তি দেখলাম। সমাপ্তি বলতে বিয়ে বুঝিয়েছি। আসল জীবন তো বিয়ের পর থেকে শুরু।
গতকাল ইমরান মুজাহিদ, রাকিব, ফাহিম, হাদি, কামরুল, শাকিল এবং আমি বরযাত্রী হিশেবে মনিরের সাথে কিশোরগঞ্জ গিয়েছিলাম। বেশ আনন্দে কেটেছে দিনটি। মনির আমাদের এই সাতজনকেই বলেছিল বরযাত্রী হিশেবে। আর কাউকে বলেনি। আমাকে বলায় আমি একটু অবাক হয়েছিলাম বৈকি!
যাই হোক, অনেক গল্প আছে।
সময় স্বল্পতার কারণে এখন লেখা যাবে না। আজকে বউভাত হবে দুপুরে। এখন সেখানে যাবো প্রস্তুতি নিয়ে। আজকে আমাদের অনেককেই সে দাওয়াত দিয়েছে।
মনিরের কোনো উপার্জন নেই।
সে কিছুই করছে না। অথচ গ্র্যাজুয়েশন শেষ হতে না হতেই বিয়ে করে ফেলল। নিজের পায়ে দাড়াতে না পারার পূর্ব পর্যন্ত আমি বিয়ে করার পক্ষপাতী নই। বাপের পয়সায় বউকে নিয়ে হানিমুন কিংবা বউর জন্য শাড়ি কেনার কোনো মানে হয় না!
যাই হোক, বিয়ে হয়েছে, এটাই এখন বাস্তবতা। নতুন দম্পতির সুখী-সমৃদ্ধ জীবন কামনা করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।