ভোরের তারা হয়ে একাকি পথ খুজি
নম নম গ্রামীনরে, আমগোরে নতুন জেনারেশন মানে ডিজুস জেনারেশন উপহার দেয়ার লাইগা। তাহাদের অতি আজব সাজ পোশাকে প্রায়ই বেক্কল হইয়া যাই। যেমন ধরেন এত নীচে প্যান্ট পড়ে আর সার্ট এত খাটো পড়ে যে নাভির নীচের বিপদজনক এলাকার দুই পাশের দাগ সুদ্বা দেখা যায়। আন্ডার প্যান্ট উকি মারে নিয়মিত। ওই দিনতো দেখলাম একজনের পশ্চাৎদেশের ওয়ান থার্ড বাইরায় রইছে।
ওগো প্যান্ট খুইলা নীচে পইড়া যাইবো এই আশংকায় আমিই আতংকিত হইয়া যাই। মনডা চায় প্যান্টটা ধইরা উপরে তুইলা দেই।
কিসব বিচিত্র দাড়ি মোছের ডিজাইন যে করে। ঠোটের নীচে তিন আঙ্গুলের এক চিমটি দাড়ি। ফ্রেঞ্চ কাটতো আছেই।
গহনাগাটির বাহার দেকলে মাতা ঘুরায়। পুলাপাইন কান বিন্দানিতে ভাটা দিয়া এখন ভুরুর মইধ্যে, ঠোটের মইধ্যে রিং পিন্দে। তাগো কি ব্যাথা বেদনা নাই কিছু? গলায় পুতি থেইকা শুরু কইরা পশুর দাতের, শিকলের, ব্লেডের মালা পর্যন্ত পড়ে। হাত ভর্তি চুড়ি ব্রেসলেটের কথা না হয় নাইবা কইলাম। শইল্যের মধ্যে উল্কি আকাআকির শিল্পকর্মতো আছেই।
কিযে বিশ্রী লাগে এইটা তারা বুঝে না। ঝোলার মত ব্যাগ একটা হাটুর কাছে ঝুলতে থাকে,মনে হয় আর কিছু না পাইয়া শেষমেষ শান্তিনিকেতনি ভাবেরে ডিজুস ইস্টাইলের মইধ্যে ফালায় দিছে।
হাফ হাতা ফুল হাতা এখন এক গেঞ্জির মধ্যেই থাকে। সামনে হয়তো হাফ প্যান্ট ফুল প্যান্টও এক প্যান্টের ভিতরেই পাওয়া যাইবো।
চুল নিয়া তাদের চুলচেরা বিশ্লেষন দেখার মত।
বলিউডি নায়ক জনাব আমির খান আবার এই ব্যাপারে নিত্য নতুন আবিষ্কার সাপ্লাই দিতাছেন। প্রথমে আইলো "চাইরদিকে তেমন চুল নাই হঠাৎই চাইর পাচটা চুল বেচমকা খাড়ায়া রইছে। এই ইস্টাইলের নাম বলে ইস্পাইক কাট (আমাগো প্রাক্তন মন্ত্রী জনাব বাবর সাহেবের মাথায়ও এই ইস্টাইলে চুল গুলা কিছুদিন হাওয়া মে উড়তা যায়ে হইয়া রইছিলো। এখন অবশ্য জামাতি ইস্টাইলে আছেন)"। আমার বেহুদা মন কইতো চুল গুলা নামায় দেখিতো আবার খাড়া অয়নি।
এরপর আইলো আগের ইস্টাইলের রিভার্স ভার্সন। মানে ওই খাড়া চাইর পাচটা চুলই ভাঙ্গা চিরুনির দাতের মত কপাল জুইরা নীচে নাইমা আইছে।
এরপর আইলো মাতার মাঝ দিয়া চুল গুলা খাড়ায় থাকবো ঘাড় থাইকা কপাল পর্যন্ত(আমির খান ভার্সন)।
তারপর দেখলাম আরেক আজিব ইস্টাইল লম্বা লম্বা চুল চোখ কান সব বুইজা রাখে। দেকলেই মনে অইতো ইয়াবা খাইয়া ডুলতাছে।
এখন আইছে পুরা মাতারে আউলা জাউলা কইরা রাখা ইস্টাইল। এইডা এখনও ইন্ডিয়ার বাজারে আছে তয় যেকুন সুময় ল্যান্ড করব। (আমারে আবার গবেষক কইয়েন না)
মাইয়ারা আছে চুল রঙ আর সোজা করনের ব্যায়বহুল ইস্টাইল নিয়া। পনেরো ষোল বছরের মাইয়ারা না খাইয়া ডায়েট কইরা শইল শুকায় আর টাইট টাইট ছোড ছোড গ্যাঞ্জি জিন্স প্যান্ট পিন্দা শাকিরা ব্রিটনি হইবার চায়। কাচা মরিচ গায়িকা তিশমা এবং মিলা ঠোটে রিং পিন্দা, উল্কি লাগায়া বাংলার ইতিহাসেতো রিতীমতো ঠাই কইরা নিছে।
উহাদের পোশাক এবং শাকিরার মত শইল দুলানির কতা বাদই দিলাম।
এই সব পুলাপানের লগে কুন রেষ্টুরেন্টে দেখা হইয়া গেলে এমন কইরা চায় যে ওর মনের কতা না কইলেও বুঝি "এই ক্ষেত কইথ্থাইকা আইছে। " এরপর শুরু করব ভুলভাল ইংরেজী কতা যাতে আমরা ওগো গোপন কতা না বুজি। আমি ওগোরে নিরাশ করিনা না বুজার ভাব মাইরাই থাকি। আর কাইন্যায় কাইন্যায় ওগো জিন্স গ্যাঞ্জিরে দেখি।
চুখে ল্যান্স মাইরা বিলাইর চুখ বানানিতো ওগো লাইগা ডাইল ভাত। আর ওড়না ছাড়া ফতুয়া জিন্স মনে অয় খুব শিঘ্রই জাতীয় পোশাক অইয়া যাইবো
মাঝ খানে মাইয়ারা কালা নকপালিশ মারতো। মনে অইতো সিনেমার ভুতনীর ভয়ংকর হাত। আমার বেবুজ ছুড বইনডা একবার ঈদে মিলার দেহাদেহি কালা নকপালিশ কিনতে চাইলো। এত বুজাই তবুও হেয় বুজ মানে না।
শেষে কইলাম তর কালা কালা নক দেকলে মাইনষে মনে করব চিপা খাইয়া নক মইরা কালা অইয়া গেছে।
ওগো লাইগা "ভাল মানুষ হও" এই উপদেশ ছাড়া আর কিছু কওনের নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।