আজ তুমি অন্যের...........প্রীতি!
মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইলাইহি রাজেউন......), বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে স্পিকার,প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
১১ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। দায়িত্ব নেয়ার তিন বছরের মাথায় বাংলাদেশের ১৯ তম রাষ্ট্রপতির জীবনাবসান ঘটল। মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এই নেতা একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশ গ্রহণ করেন।
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সভাপতির মন্ডলীর সদস্য ছিলেন। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
রাষ্ট্রপতির মরদেহ ঢাকায় আসবে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায়। বিমান বন্দরে আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
* ১২ টা ৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিক শোক শোভাযাত্রা সহকারে বঙ্গভবনে যাত্রা।
* ১ টা ৩০ মিনিটে বঙ্গভবনে গার্ড অব অনার প্রদান।
* ১ টা ৪৫ মিনিট থেকে ৩টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ, সাবেক রাষ্ট্রপতিগণ, প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতিগগণ, সংসদ সদস্যগণ, ডীন ও ডিপ্লোমেটিক কোর ও কুটনেতিক বৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ববৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধাঞ্জলী।
* ৩ থেকে ৫ টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে আত্মীয়-স্বজন এবং সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন।
* ৫ টা ৩০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাত্রা ও মরদেহ সংরক্ষণ।
* শুক্রবার পবিত্র জুম্মা নামাজের পর জাতীয় ঈদগাহ মাঠে প্রথম জানাযা এবং বিকাল ৪ টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর বনানী কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।