আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রক্তের বিনিময়ে হলেও জিন্দা পার্ক রায় হাজারো লোকের শপথ

রক্তের বিনিময়ে হলেও জিন্দা পার্ক রায় হাজারো লোকের শপথ শতশত প্রজাতির গাছ-গাছালি পরিপূর্ণ লেক, টিলার অরণ্যে সৌন্দর্য্যবর্ধক ও পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন স্থাপনাসমেত দীর্ঘ দিনের আন্তরিক যতেœ গড়া জিন্দাপার্কটি ধ্বংস করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল রাজউকের মাধ্যমে এর দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এর প্রতিবাদে ছাত্র, শিক, নারী পুরুষসহ হাজারো মানুষের শ্লোগানে ধ্বনি প্রতিধ্বনি হতে থাকে “রক্তের বিনিময়ে হলেও জিন্দা পার্ক রা করবো”। ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১১, রবিবার সকাল ১১:০০ টায় এলাকাবাসী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর উদ্যোগে নারায়রনঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল প্রকল্প সংলগ্ন জিন্দা পার্ক এলাকায় হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে আয়োজিত জনসমাবেশ, মানববন্ধন ও প্রতিকী রাস্তা অবরোধ কর্মসূচী থেকে উক্ত দাবী জানানো হয়। নামমাত্র পূঁজি নিয়ে কতিপয় যুবক তিন দশক পূর্বে সামাজিক প্রয়োজনীয়তা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের তাগিদ থেকে অগ্রপথিক পল্লী সমিতি নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে । পল্লীর আর্থ-সামজিক উন্নয়নে বিভিন্ন অবদানের পাশাপাশি শিা ও সংস্কৃতি এবং বিনোদন কেন্দ্ররূপে একটি সামাজিক অবকাঠামো গড়ার প্রয়াসে দান, ক্রয় ও মৌখিক লিজের মাধ্যমে জমি সংগ্রহপূর্বক যাত্রা শুরু করে অগ্রপথিক পল্লী সমিতি।

যাদের আন্তরিক উদ্যোগে তৈরি হয় বিদ্যালয়, লাইব্রেরী, খেলার মাঠ, মসজিদ মক্তব, ঈদগাঁহ, গোরস্তান, কিনিক, কার্যালয় আর প্রয়োজনীয় ও সৌন্দর্যবর্ধক বিভিন্ন স্থাপনাসমেত হাজারো প্রজাতির গাছ-গাছালিতে পরিপূর্ণ লেক, টিলা অরণ্য সমন্বিত এক নিসর্গ। যা জিন্দা পার্ক নামে অভিহিত। হাজারো সদস্যের সঞ্চয় আর অনুদানের অর্থে স্থাপিত এই পার্কের সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হয় অনুকরণীয় গণতান্ত্রিক বিশেষ ব্যবস্থায়। স্বপ্ন সাধনা ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল এই প্রকল্পে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর বৃ রোপন করা হয়েছে। যার স্বীকৃতি স্বরূপ অগ্রপথিক সমিতি ২০০৬ সালে বৃরোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরষ্কার পায়।

পরিবেশের কোন তি না করে সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে গড়া এই পার্কের সাথে বিভিন্নভাবে জড়িত আছে এই এলাকার হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকা। সারাদেশের জন্য অনুকরণীয় এ পার্কের দখল নিতে ২০০৮ সালে পার্কটি উচ্ছেদের মাধ্যমে রাজউক বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিভিন্ন পরিবেশবার্দী সংগঠনের আন্দোলনের প্রেেিত জিন্দা পার্কটি পার্ক হিসেবেই বহাল থাকে। সম্প্রতি জিন্দা পার্কটি “শেখ রাসেল রাজউক পার্ক” নাম দিয়ে রাজউক আগামী ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১, অবৈধ দখলদার বলে মূল উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ করতে একটি চিঠি দিয়েছে। আমরা মনে করি এর মাধ্যমে এলাকাবাসীর ঐক্যে ফাঁটল ধরিয়ে পার্কটি দখলের এবং ধ্বংসের উদ্যেশ্যেই রাজউক মূল উদ্যোক্তাদের অপনসারণের এ ফন্দি এঁটেছে।

উল্লেখ্য পার্কটি রণাবেনের দায়িত্ব মূল উদ্যোক্তাদের কাছে রাখার দাবীতে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। জনসমাবেশ, মানববন্ধন ও প্রতিকী রাস্তা অবরোধ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ঠ সাংবাদিক কামাল লৌহানী, কবি লিলি হক, পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, প্রোগ্রাম অফিসার আতিক মোর্শেদ, জিন্দা পার্ক এর সভাপতি মো: সফিকুল ইসলাম, বিচার বিভাগীয় প্রধান মো: জাকির হোসেন আকন্দ, আইন বিভাগীয় প্রধান স্পীকার রুস্তম আলী শিকদার, সচিব শাহীনুর রহমান শাহীন, এডভোকেট কামরুননাহার জুয়েল, হাজী আনসার আলী, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। নানা প্রতিকূলতায় ঢাকা মহানগরীর বিনোদনের স্থান ক্রমেই সংর্কীণ হয়ে আসছে। এই সীমাবদ্ধতার মাঝেও নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় গত ৩০ বছরে স্থানীয় এলাকাবাসীর নিজেদের ুদ্র ুদ্র বিনিয়োগ, মেধা আর শ্রমের মাধ্যমে তিলেতিলে যে পার্কগড়ে তোলেছে তা সারা দেশের অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। প্রাকৃতিক পরিবেশে এই পার্কটি আজ হাজারো তরুণের স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন।

পাশাপাশি এই পার্কটি আজ নগরবাসীর বিনোদনের অন্যতম স্থান হিসেবে বিবেচিত। আমরা মনে করি যাদের শ্রম ও মেধায় আজকের এই জিন্দা পার্ক তাদের উচেছদের মাধ্যমে মূলত এই পার্কটির অস্তিত্বই বিলীন হবে। পূর্বাচল প্রকল্পে অনেক ভিটেমাটি হারা মানুষ ও এ পার্কের রণাবেণের সাথে জড়িত। বিগত ৩০ বছরের হাজারো মানুষের বিনিয়োগ, শ্রম, মেধার অপূর্ব নিদর্শন জিন্দা পার্ক রায় ও এর যাবতীয় রনাবেণের দায়িত্ব উদ্যোগতাদের কাছেই রাখতে হবে। বিশিষ্ঠ সাংবাদিক কামাল লৌহানীর নেতৃত্বে জিন্দা পার্ক রা ও উন্নয়ন কমিটি করা হয়।

আগামীকাল জাতীয় প্রেসকাবে সকাল ১২:০০ টায় প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.