কোন প্রমাণ তিনি পেশ করতে পারেন নি, কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে এবং কারা সেই সেই ব্যক্তি যারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। অথচ কি ভয়ানক এক ধংসকারী কথা তিনি বলেছেন। ছোট্ট এই দেশের একই ভাষাভাষীর মানুষ যেখানে ভাই ভাই হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে, সুখে শান্তিতে বসবাস করবে, সেখানে তিনি এক নিদারুন বিভেদ এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের বীজ বুনে দিয়েছেন। সকলেই জানে এই সব রাজনীতিবিদরা কোন প্রমাণ ছাড়া একে অন্যকে দোষারোপ করে স্থায়ী শত্র“তার বীজ বুনে চলেছেন। আর তাই প্রতিদিন চলে রক্তক্ষয়, প্রতিদিন হানাহানি, অত্যাচার নির্যাতন।

আর এর নাম তারা দিয়েছেন রাজনীতি। ধিক এমন রাজনীতির। মহান আদালতের মহান বিচারপতি জনাব শামসুদ্দিন মানিক এবং ঠাকুর বাবুর কাছে অধীনের নিবেদন তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে কাল বিলম্ব না করে জাতির মধ্যে স্থায়ী ধংসের বীজ বপনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এবং এই মর্মে নির্দেশ জারী করুন যে কেউ কারো বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ উত্থাপন করতে পারবে না। প্রমাণ পেশ করতে না পারলে অভিযোগকারীকেই শাস্তি ভোগ করতে হবে।

যদিও জানি, ইসলামী দলের নেতাদের বিচারের নামে হত্যা করা না পর্যন্ত উক্ত আইন পাশ হবে না। কারণ মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিচার হচ্ছে, যারা সারা জীবনে কখনো কোন অস্ত্র হাতে তোলেন নি এবং কাউকে হত্যা বা ধর্ষণের আদেশ দেন নি। আর যারা মিথ্যা অভিযোগ করেছে তাদেরও কোন বিচার হবেনা। এখন দেখুন আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রীর ভয়ানক ফেরাউনী ধংসযজ্ঞের মন্ত্র। বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায় বলে মন্তব্য করছেনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি দলীয় নেতার্কমীদের সর্তক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র আমাদের কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, এরা আমাদের শত্রু। নিজেদের ছোটখাটো ভুল-ত্রুটির জন্য শত্রুদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া যাবে না। তারা সূক্ষ্মভাবে ষড়যন্ত্র করছে। কিছু ঘটে যাওয়ার পর অনুশোচনা ও অনুতপ্ত হওয়ার চেয়ে এখনই সর্তক হতে হবে। গতকাল রাজধানীর মুক্তি ভবনে জাতীয় শোকদিবস ও গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, রাজনৈতিকভাবে শেখ হাসিনাকে বারবার মোকাবেলা করতে র্ব্যথ হয়েছে ষড়যন্ত্রকারী। বিএনপি-জামায়াত চক্র এখন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ।