৭০ বছর বয়সী আব্দুর রশিদ গত ১৯ আগস্ট থেকে শাহবাগ থানা কাস্টডিতে আটক থাকার পর গতকাল সোমবার তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দেয়া হয়। শাহবাগ থানা কাস্টডির শিকের ফাঁক দিয়ে নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা বৃদ্ধ আ. রশিদকে তার পুলিশ হেফাজতে থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি এসব কথা জানান। তিনি আরো জানান, ঢাকায় তার এলাকার অনেক লোকজন ও নিজের আত্মীয়স্বজন থাকে। ঈদের সময় তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করলে কিছু টাকা-পয়সা দেয়।
আর এ কারণে তিনি ১৯ আগস্ট ঢাকায় আসেন।
ওই দিন নিউমার্কেটে তার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে যান। কিন্তু ওই আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে হলে পরের দিন যেতে হবে জেনে রাতে ঢামেক হাসপাতাল এলাকায় ঘুরাফেরা করে সময় কাটাতে চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় তাকে শাহবাগ থানায় ধরে আনা হয়। তিনি আরো জানান, ১৯ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের বেওয়ারিশ লাশের ওয়ারিশ হয়ে মামলা করে বিভিন্ন লোককে ফাঁসানোর বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানানোর জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করা হয়।
থানাহাজতের এ তিন দিনে দফায় দফায় বিভিন্নভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিনি নাকি বেওয়ারিশ লাশের ওয়ারিশ হয়ে মামলা করে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করেন।
আরো জানতে চেয়েছে এ পর্যন্ত কয়টি বেওয়ারিশ লাশের ওয়ারিশ সেজেছে, কয়জনকে ফাঁসিয়েছে এবং তার সাথে আর কারা জড়িত? কিন্তু এসব বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান বৃদ্ধ আ. রশিদ। অন্যদিকে তিন দিন থানায় আটক থাকা বৃদ্ধা আব্দুর রশিদের আটকের বিষয়ে থানায় জানতে চাইলে জানা যায়, আ. রশিদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে। মামলা নং-৪০, তারিখ : ২২-০৮-১১।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, আ. রশিদ একজন ভ্রাম্যমাণ মাদক ব্যবসায়ী। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বাগানগেট থেকে আটক করা হয়।
তার কাছ থেকে ১৭টি প্যাথেডিন উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাকে তিন দিন থানায় আটক রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। গ্রেপ্তারকৃত আ. রশিদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার তালিভাঙ্গায়। তার বাবা মৃত নবাব আলী। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।