আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বারো হাজার টাকায় এমবিবিএস ডাক্তার!

কলকাতা থেকে বারো হাজার টাকায় এমবিবিএস সার্টিফিকেট কিনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে ঢাকার মিরপুরে চিকিৎসার নামে লোক ঠকানোর অপরাধে এক ব্যক্তিকে ২ বছরের কারাদ- ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এএইচএম আনোয়ার পাশা ও র‌্যাব-৪ এর উপ-পরিচালক মেজর মোঃ শাখাওয়াত আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত শনিবার গোলাম কিবরিয়া নামের ওই ভুয়া চিকিৎসককে এ দ- দেন। র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজধানীর মিরপুর-১১ এর এ ব্লকের ২ নম্বর এভিনিউয়ের ৭ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়ির চেম্বারে রোগী দেখার সময় তাকে শনিবার দুপুরে আটক করা হয়। কিবরিয়া চিকিৎসাপত্রে নিজের পরিচয় হিসেবে লেখেন ডা. জি. কিবরিয়া. এমবিবিএস, এমডি, ডক্টর অব মেডিসিন (এএমসি) ইন্ডিয়া, মেডিসিন কনসালট্যান্ট, এমএ হসপিটাল, ঢাকা। কিবরিয়া আদালতের কাছে স্বীকার করেন, ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫ দিনের জন্য ভারতে গিয়ে কলকাতার চৌরঙ্গী রোড থেকে মাত্র বারো হাজার টাকায় এমবিবিএস এবং এমডি ডিগ্রির দুটি সার্টিফিকেট কেনেন।

এর আগে তিনি ২০০৮ সালে ঢাকার মিরপুর-১০ এ পিসি ল্যাব নামে একটি ডায়ানস্টিক সেন্টারের আংশিক মালিকানা কেনেন এবং ক্লিনিকের দোতলায় একটি বিলাসবহুল কক্ষে তার দৃষ্টিনন্দন চেম্বার স্থাপন করেন। তার সঙ্গে কথা বলে যে কোনো মানুষের ধারণা জন্মে, তিনি অত্যন্ত অভিজ্ঞ এবং বড় মাপের একজন ডাক্তার। সে সময় তিনি অনেক রোগী দেখতেন এবং পিসি ল্যাবের ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করতেন। আটকের পর তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে ২০০৩ সালে ভারত থেকে ডিগ্রি অর্জনের কথা জানালেও তার মার্কসিট পরীক্ষা করে সেটার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে তাকে পিসি ল্যাব থেকে ভুয়া ডাক্তারির অভিযোগে জরিমানা করা হয়।

সে সময় তিনি মুচলেকা প্রদান করেছিলেন আর কখনো ভুয়া ডাক্তারি করবেন না। কিন্তু কিছুদিন পর থেকে তিনি আবার চেম্বার দিয়ে পুরনো পেশা শুরু করেন। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্টার ডা. মোঃ আরমান হোসাইন তার কাগজপত্র পরীক্ষা করে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে সনাক্ত করে অভিযোগনামা প্রদান করেন। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল অ্যাক্ট, ২০১০ অনুযায়ী কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনো ব্যক্তি এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করতে পারেন না এবং ন্যূনতম এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রী ছাড়া নামের আগে ডা. পদবীও ব্যবহার করতে পারেন না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।