১২
২০ এপ্রিল ১০
দেখো ব্যালকুনীর রক চেয়ারের পাশে পাথরের ছোট্ট টেবিলে দুটো কাপে চা রেখেছি। যদি তুমি এখন এসে পরো। আমরা চা পান করতে করতে সূর্যকে বিদায় জানাব আজকের মতন। তারপর আকাশে রঙের খেলা আর মেঘ পুতুল নিয়ে খেলব। দেখ আমি এই বাম দিকের চেয়ারটাতে বসেছি।
তুমি ডানপাশের চেয়ার ছাড়া বসতে চাইতে না কখনো। মাঝে মধ্যে ভুল করে আমি ওখানে বসে পড়লে তুমি আমাকে উঠিয়ে দিতে। তোমার নাকি স্বস্তি লাগে না অন্য চেয়ারে বসলে। তোমার চেয়ারটা আমি ঝেড়ে মুছে পরিচ্ছন্ন করে রেখেছি। তুমি এসে বসো।
তোমার বিকালের প্রিয় চা তৈরী। দুজনে মিলে মজা করে ফুরুত ফুরুত শব্দ তুলব। দেখব কে কত জোড়ে শব্দ করতে পারে। তুমি আবার চা পিরিচে ঢালবে,
আমি বলব, না পিরিচে ঢেলে চা খাবে না।
কেন? তুমি চোখ বড় করে তাকাবে, চা পিরিচে ঢালতে ঢালতে বলবে, তুমিও এ ভাবে খাওনা ঢালো দেখ অনেক মজা লাগবে।
এই না না ছি
ছি! আবার কি
খুব গেয়ো লাগে
আমাদের আদি অকৃত্তিম বিষয় ফেলতে পারব না তুমি আমাকে ক্ষেপিয়ে দিতে আরো বেশী করে চা ঢালো পিরিচে। আরো জোড়ে শব্দ তুলে চুমুক দাও পিরিচে
ছলকে চা পরে গেলো আমার শাড়ীতে আমি কখন পিরিচে চা ঢেলে খেতে শুরু করেছি জানি না। শাড়ী পরে ছিলাম তুমি দেখবে বলে । লাল শাড়ীতে নাকি আমাকে ভীষণ মানায় তুমি চোখ ফিরাতে পারো না। খোলা চুলে থাকবে ফুল।
কপালে ছোট্ট টিপ।
আমার চায়ে মাখা শাড়ীর আঁচল উড়ে বাতাসে পঁচিস তলার এই ঘর ধূয়ে নেয়া বাতাসের ঝাপটায়। প্যানথহাউজের এই তিন বেডের কন্ডো কেনার সময় পরিকল্পনা ছিল আর কিছু দিনের মাঝে আমাদের বাবু হবে। বাবুকে দেখতে দেশ থেকে পালা করে তোমার মা, বাবা আসবেন আমার মা বাবা আসবেন। এর পর ভাই বোনরাও আসবে।
তাই একটা আমাদের ঘর একটা বাবুর ঘর আর একটা গেস্ট রুম এই হিসাব করে তিন রুমের এ্যার্পাটমেন্ট কিনলে।
আমাদের এই বিশাল বাড়ির সবটা জুড়ে এখন আমি একা নিঃসঙ্গ। বাতাসের সাথে উড়ে যাওয়া মেঘ হয়ে ভাসি। আগুন রঙা লাল শাড়ীতে আগুন রূপ নিয়ে অস্থির উন্মাদনায় বেদনায় নীল হই।
দুঃখিনি হৃদয় তোমার
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।