তাশফী মাহমুদ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমানার ওপর তৈরি করা মানচিত্রে আজ শনিবার ঢাকায় প্রথম দফায় সই করা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে দিল্লিতে নিযুক্ত হাইকমিশনার তারেক এ করিম এবং ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার রজিত মিত্তার সই করেন।
ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা।
ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল মান্নান গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ফোনে প্রথম আলোকে জানান, দুই দেশের চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের জন্য এক হাজার ১২৯টি স্ট্রিপ ম্যাপ (সূক্ষ্ম রেখাভিত্তিক মানচিত্র) তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি মানচিত্রের আটটি কপি করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে সব মানচিত্রে প্রথমে ঢাকায় ও পরে দিল্লিতে সই করা হবে। আজ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত দুই হাইকমিশনার ঢাকায় মানচিত্রগুলোতে সই করবেন। এরপর তাঁরা দিল্লিতে ওই মানচিত্রগুলোতে সই করবেন।
উপমহাদেশের বিভক্তির ৬৪ বছর পেরোনোর পর এসব মানচিত্রে সইয়ের মাধ্যমে সীমান্ত নিয়ে জটিলতা দূর হচ্ছে। ১৯৫৫ সালে এই মানচিত্র তৈরির কাজ শুরু হয়।
আর এর প্রক্রিয়া চলে চলতি বছর পর্যন্ত। অপদখলীয় জমি হস্তান্তর ও সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমানার ব্যাপারে ২২টি স্থানে মানচিত্র নির্ধারণ বাকি রয়েছে। এ ব্যাপারে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশ একটি চুক্তি সই করবে। ওই ২২টি স্থানের মানচিত্র তৈরির কাজ ২০১২ সালের জুনে শেষ হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।