ঈদকে কেন্দ্র করে যেন মেতে উঠেছের রাজধানীর ছিনতাইকারীরা। এ শহরের প্রায় সব রাস্তা এখন তাদের দখলে। নিরাপদ নেই কোনো রাস্তাই। চারদিকেই ছিনতাইকারী দল ওত পেতে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে যে কেউ ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াতে পারেন।
ঈদ যতোই এগিয়ে আসছে, ডিএমপি’র অপরাধপ্রবণ বিভিন্ন এলাকায় ততোই ছিনতাই কেবল বেড়ে চলেছে। এর জন্য অনেকেই পুলিশের ঢিলেঢালা টহলকেই দায়ী করেন।
এ সুযোগে ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। রমজানের শুরু থেকে রাজধানীতে অসংখ্য ছিনতাই হয়েছে। গতকাল যাত্রাবাড়ীতে ছিনতাই করে পালানোর সময় জনতার হাতে দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে।
এ ঘটনায় মো. সাব্বির হোসেন বাবু বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নং- ৫৭, তারিখ : ১৭-০৮-১১। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রদীপ কুন্ডু। যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় প্রায় প্রতি রাতেই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
রাত ১০টার পরে এলাকার মানুষও ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় চলাফেরা করতে ভয় পায়।
কারণ এলাকায় মাদকের প্রভাবে নেশাগ্রস্ত ছেলেরা ছিনতাইয়ের জন্য ওত পেতে থাকে। গতকালও মো. সাব্বির হোসেন বাবু বিবির বাগিচায় তার বাসা থেকে বের হয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। অন্ধকার গলিতে চার ছিনতাইকারী সাব্বির হোসেনকে ঘিরে ধরে। একজন তাকে চাকু দিয়ে হাতে আঘাত করে মোবাইল, টাকা,
হাতে থাকা কম্পিউটারের হার্ডডিক্স ছিনিয়ে নেয়। এমন সময় সাব্বির ‘ছিনতাইকারী’ ‘ছিনতাইকারী’ বলে চিৎকার শুরু করে দেয়।
আশপাশের লোকজন এসে দুজন ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলে। অন্য দু’জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। জনতা উত্তম-মাধ্যম দিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার টহল পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করে। রাতের বেলা যাত্রাবাড়ী থানায় গ্রেপ্তারকৃত দু’জনের সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। এরা হলো রনি (২৪) ওরফে বাবলা ও মো. ইউছুফ (২০)।
রনির বাবা- রজব আলী, সাং-নাওরী, থানা-নান্দাইল, ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা- ২৮/২/২ গোলাপবাগ, যাত্রাবাড়ী। ইউছুফের বাবা- ইসহাক শিকদার, সাং-তেলিখালী, থানা-ভান্ডারিয়া, জেলা-পিরোজপুর। তার বর্তমান ঠিকানা ধলপুর, যাত্রাবাড়ী। দুজনই পেশার ছিনতাইকারী। রনি জানায়, গত এক বছর ধরে সে এই এলাকায় ছিনতাই করে আসছে।
এর আগে কমলাপুরে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করত।
সেখান থেকে কাজ চলে যাওয়ার পর রনি ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত হয়। এ ব্যাপারে মো. ইউছুফের বক্তব্যও একই রকম। সেও নেশা করে। নেশার টাকা জোগাড় করার জন্যে শেষ পর্যন্ত ছিনতাই করতে শুরু করে।
প্রতিদিন তার নেশার জন্য ৫০০ টাকা লাগে। এই টাকা কে দেবে? তাই সে এ পথ বেছে নেয়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রদীপ কুন্ডু অপরাধকণ্ঠকে জানান, ঈদের সময় টাকা জোগাড়ের জন্যই ছিনতাইকারীরা সক্রিয়। এদের দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি দু’জনকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।