আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঐ বেটা তুই কান্দস ক্যান?

ঐ বেটা, ঐ! এইদিকে আয়! কি হইছে তোর? তুই কান্দস ক্যান ভোঁদাই? অ্যাঁ? কি? ঐ বেটারা মরছে তো তোর কি? ওরা তোর কি লাগে? তোর মায়রে ঐ ব্যাটাদের কাছে বিয়া দিছিলি না তোর বোনরে? কথা বলস ক্যান বাইনচোত? কারা মরছে? হ্যাঁ ফিল্ম বানাইত, তো হইছেটা কি? একটা মরছে তো কি হইছে ? দেশে কি ফিল্ম বানানোর মানুশের অভাব পরছে? দেশের সিনেমা হল কি সব বন্ধ হইয়া গেছে? সিনেমা হলে কি সিনেমা চলতাছে না? মানুষ কি হলে যাইতাছে না? এফ.ডি.ছি কি বন্ধ হইয়া গেছে? নায়িকারা কি মাজা দুলানো বন্ধ করে দিছে? তাইলে সমস্যা কি? এত কান্দাকাটির কি আছে? সাথে সোনা নাই মাদারচোত? বাসায় গিয়া একটা ফিলিম মেকার পয়দা কইরা নে হারামজাদা। আর ঐ হালায় কি সিনেমা বানাইত? তুই কি মনে করছোস আমি ওর সিনেমা দেখি নাই? কি আমার একখান সিনেমারে! কাদার মধ্যে ঘুরে আর গান গায়, গান গাইতে গাইতে এক্কেরে দেশ স্বাধীন কইড়া ফালাইছে। ঐ শূয়রের বাচ্চা, দেশ স্বাধীন করা কারে কয় তুই বুঝস? গান গাইয়া দেশ স্বাধীন হয়? তোমাগো ভ্যানভ্যানানী গান শুইণ্ণা পাক বাহিনী সব চিত কাইত হইয়া মইড়্যা গ্যাছে? এইদেশ স্বাধীন করছে কারা? এই দেশ পয়দা করছে কারা? কি? এখন কথা বাইর হয়না মুখ দিয়া? ঐ সিনেমা বিদেশী পুরুস্কার পাইছে? তো কি হইছে? দেশে পুরুস্কার পাওয়া মানুষের অভাব আছে? ঐ যে গান গায় যে সুন্দর মত মাইয়াটা, কি নাম জানি? আরে ঐযে গোলগাল, খুব সুন্দর ফিগার, ওহ মনে পড়ছে, ইভা রহমান, ও কি বিদেশি পুরুস্কার কম পাইছে? কত পুরুস্কার লাগবে তোর? পুরুস্কার একেবারে তোমার গোয়া দিয়া ঢুকাইয়া দিব। আর ওই ব্যাটা বিয়া করছে এক বিদেশি মাতারিরে। আর বিদেশি মালের কি ঠ্যালা! পুরা গাড়ির মানুষ মইরা শেষ, এই আপার গায়ে একটা খোঁচাও লাগে নাই।

কি তামসা!! ভালো মানুষটারে আই.ছি.উ তে নিয়া কত নকশা করল। ঐ মাতারির জামাই মরছে, তো আমার কি? আমার কি ঠ্যাকা পরছে? তারপরেও গেলাম বিদেশিনী আপাকে দেখতে হসপিটালে। ভাবসিলাম দেখতে মনে হয় বিদেশি নায়িকাদের মত হবে, তা কিসে কি, ধুর!! যাই হোক, ওনার কিছুই হয় নাই, ভালো মানুষটা চ্যাগাইয়া পইরা আছে। আর দুনিয়ার যত সাংবাদিক হারামজাদারা আছে, সব গিয়া একজায়গায় হাজির হইছে, আমাদের নেত্রী আপা অ্যাকসিডেন্ট করলেও তো এত সাংবাদিক আসতো না মনে হয়। অসুস্থ মানুষ দেখলে হাসিমুখে কথা বলতে হয়, তো এই হিসাবে আমিও একটু হাসি মুখে কথা বললাম, এই নিয়া কতো কাহিনী করলি তোরা, হায়রে বাঙালী।

কোন ডাক্তার রোগী দেখে হাসি দিলে তার থেকে ভালো মানুষ দুনিয়াতে আর নাই, আর আমি হাসিমুখে কথা বলছি দেখে আমি হয়ে গেলাম ইবলিশ শয়তান। যাক, বুঝলাম আমার হাসি সুন্দর না, হেসে ভুল করসি। তারপর অতি সাধারন একটা কথা কইলাম যে, অ্যাকসিডেন্টের জন্য আপনার ড্রাইভারেরও দোষ আছে। এইটা নিয়া পুরা দেশ কি লাফানটাই না লাফাইল! আচ্ছা আমাকে তুই বুঝা, এইটা কি এমন খারাপ কথাটা বললাম? অ্যাঁ? ঐ মাদারচোত, কথা বলস না ক্যান? সারা জীবন প্রবাদবাক্য বলস নাই, “একহাতে তালি বাজে না”? ঐ কথাটার মানে কি আমাকে তুই বুঝা। তোর গাড়ি আছে? গাড়ি চালাইছস জীবনেও? এইটা কি বুঝস যে দুইটা গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট করলে অবশ্যই দুইটা গাড়ির ড্রাইভারেরই দোষ আছে।

এখন এই সোজা বাংলা কথা যদি বাঙ্গালী না বুঝে, তাইলে আমি কি করব? আমি কি দেশের সবাইকে ধরে ধরে বাংলা শিখাবো? আর জানি কে একটা মরল সাথে? কি করতো জানি ঐ ব্যাটা? একবার শুনি সাংবাদিক, আর একবার শুনি ক্যামেরাম্যান, আসলে কি বাল ছিল কে জানে? তার চেহারা সুরাতের কি অবস্থা! কোন ভাল মানুষের চুল দাড়ি এমন থাকে? শিওর গাঞ্জাখোর ছিল, চেহারা দেখলেই বোঝা যায়। সে নাকি আবার কোন টিভি চ্যানেলের সি.ই.ও। শুনলাম তার বাপ নাকি কবি ছিল। শালা কবি ছিল তোর বাপ, আর কবি কবি ভাব নিস তুই? ওই গাঁজাখোররা দেখ গিয়ে হয় গাড়িতে বসে গাঞ্জা বানাচ্ছিল না হয় কোন ফসটি নসটি করছিল। খালি খালি এই সোজা রাস্তায় গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট করে নাই।

মাখনের মত পিছলা রাস্তা। নেশা করে গাড়ি না চালালে অ্যাকসিডেন্ট হবার কোন কারন নাই। টিভিতে দেখলাম এই গাঞ্জাখোরের বউ রাস্তায় মিটিং মিছিল করতাসে। আরে বেটি, তোর জামাই মরছে, তুই বাসায় বসে আল্লাহ আল্লাহ করবি, আল্লাহর কাছে কান্না কাটি করবি, ফকির খাওয়াবি, তুই রাস্তার মোড়ে খারাইয়া কান্দস ক্যান? ঢঙ মারানোর আর জায়গা পাও না? আর তোর সাহস কত বড়? চাইর আনার গাঁজাখোরের বউ, বলে প্রধানমন্ত্রী বাপকে বেচে খাচ্ছেন? দাড়া, তোর চোদ্দ গুষ্টি আমি যদি চোদ্দবার না বেচি, তাহলে আমি আমার কান কেটে কুত্তাকে খাওাব। কত্ত বড় সাহস আবার বলে আমরা নাকি রাজনীতি নিয়ে বাবস্যা করি! রাজনীতি কারে বলে তুই তার কি বুঝিস? আর রাজনীতি বাবস্যা না তো কি? আমার আজকে এই মন্ত্রী হতে কত টাকা ঢালতে হয়েছে তুই জানস? একটা ইলেকশান জিততে কত টাকা লাগে তুই জানস? বেটিও শিওর গাঞ্জা খাইত।

নাহলে এত সাহস কই পায়? রাস্তায় বাইর হলে মানুষ মরবেই, এইটা নিয়ে দেখ কত লাফালাফি! আরে বাড়া, বিশ্ব্বব্যাপি নিত্য কত হাজার হাজার মানুষ মরতেছে, তার কোন হিসাব নাই, চার পাঁচটা মানুষ অ্যাকসিডেন্টে মরছে, এই নিয়া দেখ কত লাফালাফি! দিন দুনিয়ার খবর রাখো কিছু? খবর বার্তা দেখ টিভিতে? তা কি আর দেখবা সোনা? সারাদিনতো ইন্ডিয়ান ল্যাংটা মাগিদের নাচ দেখ বসে বসে, আর এখন মরে গেছে পরে দেশী ফিল্ম মেকারের জন্য দরদ বেয়ে বেয়ে পড়ছে। এইসব আলগা দরদ আর ন্যাকা কান্না বন্ধ কর। যা, বাসায় গিয়ে কাথা মুরি দিয়ে শুয়ে থাক গিয়ে। নিজের মরনের চিন্তা কর, আল্লাহর কাছে কান্না কাটি কর, কাজে দিবে। অন্যের মরন নিয়ে মিটিং মিছিল করে কোন লাভ হবে না।

রাস্তাঘাটে সারাদেশের মানুষ হাতে হাত ধরে লাইন ধরে সারা জীবন দাড়িয়ে থাকলেও আমার বালটাও ফালানো যাবে না, বুঝতে পারছোস? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।