৫ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ আজ। জিম্বাবুয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে। আজ হারলে জিম্বাবুয়ে সিরিজ জিতে যাবে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই। বাংলাদেশকে সিরিজে টিকতে হলে আজ জিততেই হবে। সিরিজে ফেরার আজই শেষ সুযোগ।
প্রস্তুতি ম্যাচে যাচ্ছেতাই পরাজয়ের পর আমরা ভেবেছিলাম সাকিবরা সতর্ক হবেন। কিন্তু টেস্টে এসেও সেই হাল। একমাত্র টেস্ট হেরে যায় বাংলাদেশ। এক ম্যাচ সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হারা মানে হোয়াইট ওয়াশ। আমরা আশা করলাম, বাংলাদেশ লম্বা ম্যাচের বাইরে আছে অনেক দিন।
এক দিনের ম্যাচে পরিস্থিতি বদলে যাবে। যদিও বাংলাদেশের (১৪ মাসের) চেয়ে পাঁচ গুনেরও বেশী সময় (৭২ মাস) টেস্টের বাইরে ছিলো জিম্বাবুয়ে।
তবু একদিনের ম্যাচ নিয়ে আমাদের আশা ছিলো। সে আশায় গুড়ে বালি ! যাচ্ছেতাই ভাবে হারছে বাংলাদেশ। তামিম কথিত অর্ডিনারী বোলার ভিটরি পর পর দুই ম্যাচে তামিমকে আউট করেছেন এবং ৫ উইকেট করে নিয়েছেন।
উইজডেন বর্ষসেরা প্লেয়ারের বর্ষসেরা কৌতুক !
আসলে জেমি সিডন্স আমাদের ক্রিকেটের যে সুদূরপ্রসারী ক্ষতি করে গেছেন এটা তার প্রমান। সাথে জুটেছে সাকিবদের দলাদলি। প্রকাশ্য দলাদলি হলো বিকেএসপি-নন বিকেএসপি। এর বাইরে মাশরাফি আর রিয়াদের সাথে গোপন দলাদলিতো আছেই। এখন আশরাফুলের সাথেও দলাদলি শুরু করেছেন।
তার এই দলাদলিতে তামিমও জুটেছেন। শাহরিয়ার নাফিসের ঘাড়ে সবসময় আইসিএল নি:শ্বাস ছায়ার মতো লেপ্টে রাখা হয়।
এখনকার ব্রাজিল আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলাররা যেমন ক্লবের টাকার খেলায় দুর্দান্ত কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সুপার ফ্লপ। তেমন দশা সাকিবের। আইপিএল মাঠে দারুন খেললেন।
কাউন্টিও দারুন খেললেন। জাতীয় দলে এসে আধা-ঘুম আধা জাগরণ।
আমাদের এই উপমহাদেশ দলাদলির স্বর্গ। দলে দলাদলি থাকাটা তাই স্বাভাবিক। দলপতির কাজ হবে সেটা সামলে নিয়ে দলকে নেতৃত্ব দেয়া।
কপিল দেব, ইমরান খান কিংবা রানাতুঙ্গারা সেটা সামলাতে পেরেছেন বলে তাদের দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সৌরভ সেটা সামলাতে পেরেছেন বলে তার দল হয়ে উঠেছিলো টিম-ইণ্ডিয়া। দলের সবাই মহান শচীন টেণ্ডুলকারকে শিরোপার স্বাদ দেবার জন্য একাট্টা হয়েছিলো বলেই ধোনীর ভারত বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আফ্রিদী যে ম্যাচ পর্যন্ত সামলাতে পেরেছেন সে ম্যাচ পর্যন্ত পাকিস্তান দল ছিলো অপ্রতিরোধ্য। ভারতের সাথে ম্যাচের দিন সেটা সামলাতে পারেননি বলে সেমি ফাইনালে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্বপ্ন।
দলাদলিই ওয়েস্ট ইণ্ডিজ ক্রিকেটকে মরণের অতল খাদের দিকে ঠেলছে। এটা ছিলো জিম্বাবুয়ে দলেও। সেটা খুব সুন্দর করে কাটিয়ে উঠছে তারা। তার প্রমান আমরা মাঠে পাচ্ছি। ব্রেণ্ডন টেইলরের নেতৃত্ব দারুন কাজ করছে।
একই মাঠে সাকিবও আছেন।
কাম-অন সাকিব। কাম অন বয়েজ। এরপরও বাংলাদেশের সাথে আছি।
ফিরে এসো বাংলাদেশ ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।