আমি ভাইরাস ক্ষুদিরাম কে নিয়া দেকলাম অনেক জগতে অনেক লাফা লাফি হছে , তাই ছুটো করে কিছু কথা বলি , আজকের আমাদের এই যুগের মানুষ শত্রু আর মিত্র কে সেটা চিনতে ভুলে গেছে , না জেনে না বুজে ক্ষুদিরাম কে নিয়া সবাই হুদাই লাফাছে , বঙ্গভঙ্গ এর ডিসিশনটা ছিল পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু ও বাংলাদেশের মুসলমান জনপদের মধ্যে ক্ষমতার পার্থক্যটা কমানোর জন্য. পুরো বাংলার মানুষ বিশেষ করে এপারের মুসলমানরা ছিল কলকাতার আদালত, উকিল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির হাতে জিম্মি. অনেক ভাল শিক্ষাপ...্রতিষ্ঠানেই মুসলমানদের প্রবেশাধিকার ছিল না. বঙ্গভঙ্গ কার্যকর না হলেও এই বঙ্গভঙ্গের বদলে মুসলিম জনগনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্হাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়. আর ক্ষুদিরাম সাহেব সেই বঙ্গভঙ্গকে রদ করে হিন্দু বর্ণবাদী ও শোষনবাদী সমাজকে রক্ষার জন্যই সন্ত্রাসী ও হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করে. একটা বর্ণবাদী টেররিস্ট কখনই আমাদের বন্ধু বা হিরো হতে পারেনা. বাঙ্গালী তার ইতিহাস জানেনা তাই আজকে বাঙ্গালী তার শত্রুও চেনেনা, মিত্রও চেনে না.ভাই ক্ষুদিরামরা বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতে করার জন্যই তা বাতিল হয়...এতে পূর্ববঙ্গের মুসলমানরা ব্রিটিশ শাসকদের উপর আস্থা হারালে তাদের শান্ত করার জন্য ঢাকায় একটা বিশ্ববিদ্যালয় করবে বলে ঠিক করে...কিন্তু পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুরা এইটার ও বিরোধীতে করে এই বলে যে কৃষকদের শিক্ষার কি প্রয়োজন! বর্ণবাদী হিন্দু নিজে গিয়ে বোমা মারবে এতবড় বোকা তো আর তারা নয়, তারা সিলেক্টই করে অশিক্ষিত, না খাওয়া লোকদেরকে যারা এই ডার্টি জব করবে. ক্ষুদিরামের কোন লক্ষ্য ছিল না, সে ছিল নিতান্তই একটা কামলা শ্রেণীর ব্লাডি টেররিস্ট, যে টাকা, খাবার আর এক চিমটি ধর্মীয় বর্ণবাদের জন্য বোমা মারতে প্রস্তুত. তাহলে এই চীজকে হিরোর মর্যাদা দিয়ে তার ছবি পোস্ট করার যৌক্তিকতা কোথায়? আমি জানি এখন অনেক ভাদা আসবে আমাকে ছাগু বা কোনো কিছু বলে উপহাস করবে , কিন্তু যেটা সত্যি সেটা তো সত্যি , আর সত্যি বলার জনে না হয় হলাম ছাগু , কিন্তু কে আমাদের বন্ধু আর শত্রু সেটা জানা দরকার বুঝা দরকার
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।